মিঠামইন হাওর

কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন হলো উপজলা। হাওর এলাকা হওয়া সত্ত্বেও মিঠামইন হলো প্রাচীন জনপদ। মিঠামইন হাওরে জুন-সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অনেক মানুষের সমাগম হয়। কারণ, এইখানে হাওর ছাড়া আরো কিছু জায়গা আছে ঘুরে দেখার মত। জায়গা গুলোর নাম হলো:

  • মলিকের দরগা।
  • দিল্লির আখড়া।
  • রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বাড়ি।

তাছাড়া, আপনি যদি রাত্রি যাপন করতে চান তাহলে সেখানে হোটেল আছে।

কিশোরগঞ্জ আসার জন্য কমলাপুর থেকে সকাল ৭ টায় অন্ত:নগর ১১ সিন্ধু প্রভাতী (বুধবার বন্ধ) কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এছাড়া, ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা সংলগ্ন গোলাপবাগ বা মহাখালী থেকে যাতায়াত অথবা অনন্যা সুপার বাসের মাধ্যমে আপনি কিশোরগঞ্জ সদর আসতে পারবেন। তারপর রেল-স্টেশন বা বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজি/অটো অথবা রিজার্ভ গাড়ী নিয়ে বালিখলা ঘাটে আসলেই পৌঁছে যাবেন মিঠামইন হাওরে।

জনপ্রিয় নিকলী হাওর

দিগন্ত জলরাশির বুকে নৌকায় করে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নিকলী হাওর আদর্শ জায়গা। কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। আপনি এইখানে জেলে জীবনের কিছুটা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। হাওরের তরতাজা মাছ খেতে পারবেন, নৌকায় করে ঘুরতে ঘুরতে দেখতে পারবেন জলের মাঝখানে ছোট ছোট গ্রাম, ব্যস্ত জেলেদের মাছ ধরা, ছোট ছোট জলাবন। এই হাওর এলাকা খুবই সুন্দর যে লিখে বুঝানো যাবে না। প্রত্যেক বছর বর্ষাকালের সময় অগণিত মানুষ নিকলী হাওর ঘুরতে আসে।

কিশোরগঞ্জ আসার জন্য কমলাপুর থেকে সকাল ৭ টায় অন্ত:নগর ১১ সিন্ধু কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এছাড়া, ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা সংলগ্ন গোলাপবাগ থেকে যাতায়াত অথবা অনন্যা সুপার বাসের মাধ্যমে আপনি কিশোরগঞ্জ সদর আসতে পারবেন। সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে ১ ঘন্টার মধ্যে নিকলী হাওর পৌঁছে যাবেন।

নরসিংদী জেলার মধ্যে কোন জায়গা গুলো ভ্রমণের জন্য উত্তম ?

নরসিংদী জেলায় ভ্রমণের জন্য কিছু জনপ্রিয় জায়গা আছে, কিন্তু অনেক মানুষ এইগুলোর নাম জানে না। তাই আমি নিম্নে নামগুলো তুলে ধরলাম, যাতে আপনারা খুব সহজে জানতে পারেন।

  • লটকন বাগান।
  • আটকান্দি মসজিদ।
  • সোনাইমুড়ী টেক।
  • বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান জাদুঘর।
  • গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়ি।
  • উয়ারী বটেশ্বর।
  • লক্ষন সাহার জমিদার বাড়ি।
  • বালাপুর জমিদার বাড়ি।
  • ড্রিম হলিডে পার্ক।
  • হেরিটেজ রিসোর্ট।

এই জায়গাগুলো খুব সুন্দর এবং ভ্রমণের জন্য আদর্শ। আপনি যদি এই বিষয়ে আরো জানতে চান, তাহলে ইন্টারনেন্টে সার্চ করতে পারেন।

হেরিটেজ রিসোর্ট

একটু আলাদা ভাবে চিত্তোবিনোদন করতে চাইলে ময়মনসিংহের হেরিটেজ রিসোর্ট খুবই ভালো। কারণ, হেরিটেজ রিসোর্টে আছে আধুনিক কটেজ, সুইমিং পুল, ওয়েভ বিচ, ওয়াটার ভিলা, পুল ভিলা, জিম, স্পা, কনফারেন্স হল, কোভেনশন সেন্টার, কালচারাল হল, মাল্টি কুজিন রেস্টুরেন্ট আছে। প্রাকৃতিক সবুজে মোড়ানো হেরিটেজ রিসোর্টে আছে ফিশিং এবং বোট রাইডিং এর সুবিধা। রিসোর্ট ঘুরে দেখার জন্য আছে ক্লাব কার এর সুবিধা। ছোট বাচ্চাদের জন্য আছে বিশেষ ব্যবস্থা।

ছুটির দিনে যদি রিসোর্ট ভ্রমণ করেন তাহলে ডে লং প্যাকেজের জন্য জন প্রতি ২৩০০ টাকা দিতে হবে। ছুটির দিন ছাড়া জন প্রতি ২০০০ টাকা দিতে হবে।

নিজস্ব পরিবহন অথবা ঢাকার সায়েদাবাদ, মহাখালী, কমলাপুর, গুলিস্তান ও বনানী থেকে নরসিংদী যাওয়ার বাস পাওয়া যায়।

ড্রিম হলিডে পার্ক

নরসিংদী জেলার পাঁচদোনার চৈতাবাগে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে প্রায় ৬০ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে ড্রিম হলিডে পার্ক। এই পার্কে রয়েছে রাইডার ট্রেন, ওয়াটার বাম্পার কার, স্পীডবোড, বাইসাইকেল, রকিং বস, সোয়ানবোট, জেড ফাইটার, এয়ার বাইসাইকেল, অস্ট্রেলিয়ার ইমু পাখি, কৃত্রিম পর্বত, ডুপ্লেক্স কটেজ, এবং ওয়াটার পার্ক।

ঢাকার সায়েদাবাদ, মহাখালী, কমলাপুর, গুলিস্তান ও বনানী থেকে নরসিংদী যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। এইসব বাসে গেলে আপনি ড্রিম হলিডে পার্কের মূল ফটকের সামনে নামতে পারবেন।

টাঙ্গাইলের সাগরদিঘী

ঐতিহাসিক সাগরদিঘী টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার পূর্বে প্রায় ১৩ একর জায়গা নিয়ে গঠিত। পাল আমলের সাগর রাজার নেতৃত্বে সাগরদিঘী খনন করা হয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে সাগরদিঘী খুবই জনপ্রিয়।

সাগরদিঘী যেতে হলে প্রথমে আপনাকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট আসতে হবে। সেইখানে থেকে আপনি অটো রিক্সার মাধ্যমে টাঙ্গাইলের সাগরদিঘী পৌঁছে যেতে পারবেন।

২০১ গম্বুজ মসজিদ

টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে অবস্থিত ২০১ গম্বুজ মসজিদ। ২০১৩ সালের জানুয়ারী মাসে মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যান ট্রাস্টের উদ্যোগে ১৫ বিঘা জমির উপর এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যে পৃথিবীর সর্বাধিক সংখ্যক গম্বুজ মসজিদের স্বীকৃতি এবং মিনারের উচ্চতার দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানের স্বীকৃতি পায়। মসজিদের ছাদে ২০১ টি গম্বুজ থাকায় এই মসজিদটি ২০১ গম্বুজ মসজিদ নাম পরিচিত।

২০১ গম্বুজ মসজিদ দেখতে চাইলে প্রথমে আপনাকে টাঙ্গাইল সদরে আসতে হবে। সেখান থেকে সিএনজি দিয়ে গোপালপুর উপজেলায় এসে অটো অথবা সিএনজির মাধ্যমে ২০১ গম্বুজ মসজিদে যেতে পারবেন।

টাঙ্গাইলের কিছু ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ির নাম

টাঙ্গাইল জেলায় কিছু জমিদার বাড়ি রয়েছে। যেগুলো খুব যত্ন সহকারে সরক্ষিত করা হচ্ছে, এবং পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। নিম্নে টাঙ্গাইলের জমিদার বাড়ির নাম গুলো দেওয়া হলো:

মহেড়া জমিদার বাড়ি (টাঙ্গাইল সদর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত)।

করটিয়া জমিদার বাড়ি (টাঙ্গাইল শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে পুটিয়ার নদীর তীরে অবস্থিত)।

পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি (টাঙ্গাইলের পাকুটিয়া গ্রামে অবস্থিত)।

মোকনা জমিদার বাড়ি (নাগপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়ন পরিষদের ধলেশ্বরী নদীর তীরে অবস্থিত)।

নাগরপুর চৌধুরী বাড়ি (নাগরপুর উপজেলায় অবস্থিত)।

পরীর দালান (গোপালপুর উপজেলার হোমনগর গ্রামে অবস্থিত)।

এই বাড়ি গুলো সমন্ধে বিস্তারিত জানতে চাইলে আপনি গুগল অথবা ইউটুবে সার্চ পারেন।

পীরগাছা রাবার বাগান

১৯৮৬ সালে ৩ হাজার একর জায়গা জুড়ে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার রাবার গাছ নিয়ে গড়ে উঠেছে পীরগাছা রাবার বাগান। যেকোনো ঋতুতে, দিনে কিংবা রাতে এই রাবার বাগানের পরিবেশ রূপ বদল করতে থাকে। যা আপনার মন কে ভালো করে তুলতে পারবে। এছাড়া, আছে রাবার কারখানা যেখানে রাবারের বড় বড় শীট তৈরী করা হয়, যা দেখে আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলি আরো ভারী হবে। এছাড়া, মোটরসাইকেল দিয়ে পুরো রাবার বাগান ঘুরে দেখা যায় মাত্র ৩০০-৬০০ টাকা মোটরসাইকেল এর ভাড়া দিয়ে।

আপনি যেখানে থাকুন না কেন, প্রথমে আপনাকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় আসতে হবে।সেখান থেকে রিক্সা বা সিএনজি দিয়ে পীরগাছা রাবার বাগান যাওয়া যায়।

টাঙ্গাইলের আতিয়া মসজিদ

টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানার আতিয়া গ্রামে অবস্থিত ৪০০ বছর পুরোনো স্থাপনার নাম হলো আতিয়া মসজিদ। মসজিদটির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে লৌহজং নদী। ১৬১০ সালে জমিদার সাইদ খান পন্নী এই মসজিদটি নির্মাণ করে। মসজিদটি সম্পূর্ণ নকশা খচিত এবং ৩ টি গম্বুজ রয়েছে। ১৮০০ সালের ভূমিকম্পে আতিয়া মসজিদ ক্ষতিগ্রস্থ হলে ১৮৭৩ এবং ১৯০৯ সালে এর সংস্কার করা হয়।

টাঙ্গাইলের পুরাতন বাস স্ট্যান্ডে নেমে রিক্সা বা সিএনজি নিয়ে পাথরাইল বটতলা আসতে হবে। বটতলা থেকে পায়ে হেটে অথবা রিক্সার মাধ্যমে আতিয়া মসজিদ যাওয়া যায়।