ট্রাফিক আইন মেনে চলার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের এতো অনীহা কেন ?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা জানি আইন না মানলেই সুবিধা। একটা ছোট ক্রসিং করার জন্য একটা যানকে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয় আবার একজন পথচারীকে দোতলা সমান ওভারব্রিজে উঠতে-নামতে হয়। বেআইনিভাবে রাস্তা পার হলে তাদের কষ্ট অনেক কমে যায়। এছাড়া, কিছু চিরায়ত কারণে ট্রাফিক আইন মানতে চাই না, যা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

  • অভ্যাস না থাকা।
  • দ্রুত সুবিধা লাভ করার আশায়।
  • ট্রাফিক আইন সমন্ধে জ্ঞানের অভাব।

১৮ বছরের নিচের মেয়েকে নিয়ে যদি বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে থাকে, তবে তার বৈধতা কতটুকু ?

এই বিষয়ে আমি সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরছি এবং আরো কিছু আইনি বিষয় তুলে ধরছি যাতে আপনি ভালোভাবে বুঝতে পারেন।

18 বছর বয়সের বা তার নিচের কোন মেয়েকে যদি কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে পালিয়ে নিয়ে যায় তাহলে সেটা হবে অপহরণের অপরাধ। যদি বিয়ে করে তাহলে বাল্যবিবাহের অপরাধ। 18 বছরের নিচের কোন মেয়েকে যদি তার ইচ্ছাতেও যৌন সঙ্গম করা হয় তাহলে সেটা ধর্ষণ। এখানে সরকার সত্যপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করতে পারে, এছাড়া কেউ অভিযোগ না জানালেও এই ঘটনায় পুলিশ অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

আইন অনুযায়ী কোনো মুসলিম ছেলে কি কোনো হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে ?

ধর্মীয় আইন অনুসারে পারবে না, কিন্তু রাষ্ট্রীয় আইন Special Marriages Act,1872 অনুযায়ী কোর্টে ১৪ দিন আগে application ফাইল করে বিয়ে করতে পারবে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আরো কিছু আনুসাঙ্গিক বিষয় সম্পন্ন করতে হবে যা নিম্নে দেওয়া হলো-

  • পাত্র ও পাত্রীকে অবিবাহিত থাকতে হবে।
  • ছেলের বয়স ২১ বছর এবং মেয়ের বয়স ১৮ বছর হতে হবে।
  • জেলা নিবন্ধকের কাছে ১৪ দিন আগে নোটিশ দিতে হবে এবং নোটিশ দেওয়ার ১৪ দিন পর বিয়ে সম্পাদন করতে হবে।যে জেলার নিবন্ধক বরাবর নোটিশ প্রদান করবেন, নোটিশ প্রদানকারীকে অবশ্যই নোটিশ দেওয়ার কমপক্ষে ১৪ দিন আগে থেকে সেখানে বসবাস করতে হবে।
  • পাত্রপাত্রী সশরীরে উপস্থিত থেকে বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে এবং আইনজীবীর তত্ত্বাবধানে প্রস্তুতকৃত হলফনামায় পাত্র-পাত্রী স্বাক্ষরদানের পর ওই হলফনামা নোটারি পাবলিক কর্তৃক ‘নোটরাইজড’ করতে হবে।
  • প্রস্তুতকৃত হলফনামায় অবশ্যই ‘বিশেষ বিবাহ আইনের অধীন বিয়ে’ শব্দগুলো লিখতে হবে।
  • বিয়ের সময় অন্তত তিনজন সাক্ষী উপস্থিত থাকতে হবে।
  • বিয়েটি অবশ্যই রেজিস্ট্রারের উপস্থিতিতে সম্পন্ন করতে হবে এবং তা সরকারি খাতায় নিবন্ধন করতে হবে।

তাহলে আপনার বিবাহ সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হবে।

বাংলাদেশ আইন নিয়ে সবচেয়ে ভালো সফটওয়্যার কোনটি ?

“All laws of Bangladesh” অ্যাপটি আমার কাছে সবচেয়ে ভালো বলে মনে হয়েছে। এটি অফলাইনে পড়া যায়। এবং আইনের ধারা এ এক সফটওয়্যারেই পাওয়া যায়।

পুলিশ ভেরিফিকেশন কী?

পুলিশ ভেরিফিকেশন হচ্ছে, একজন মানুষের প্রাক পরিচয় যাচাই! উক্ত ব্যক্তির নামে কোন ধরনের ক্রিমিনাল মামলা আছে কিনা,সে রাষ্ট্র দ্রোহী,সরকার বিরধী কোন কোন কার্যক্রম এর সাথে জড়িত কিনা বা কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের এর আওতাভূক্ত কিনা এবং সাপোর্টিং পেপার্স ঠিক আছে কিনা।তা তদন্ত করে থানায় এর রিপোর্ট জমা দেওয়া।

কিভাবে জানবো যে আমার নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ বা মামলা করেছে ?

প্রথমত, আপনার নাম যদি মামলা হয় তাহলে আপনি অবশ্যই জানতে পারবেন। কারণ, প্রত্যেক মামলার জন্য একজন তদন্তকারী অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়। যে কিনা মামলা তদন্ত করে সুষ্ঠ প্রমাণাদির ভিত্তিতে আসামি গ্রেফতার করে।

কিন্তু এর পর যদি আপনার নাম কোর্টে মামলা থাকে কিন্তু আপনার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা নাই। তাই এর জন্য আপনি পুলিশ কিলিয়ারনেস নিতে পারেন। যদি আপনার নামে মামলা থাকে তাহলে আপনার পুলিশ কিলিয়ারনেস ইস্যু করতে পারবে না।

সাজেক কীভাবে যাবো?

ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়ার একমাত্র উপায় হলো বাস। বাস ভাড়া ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত আছে। আপনাকে বাসে করে খাগড়াছড়ি যেতে হবে। তারপর খাগড়াছড়ি শহর থেকে জিপ দিয়ে সাজেক যেতে পারবেন। জিপ এর ভাড়া ৬০০০ টাকা থেকে ৮০০০ টাকা পর্যন্ত। দুইজন হলে সিএনজি দিয়ে সাজেক যেতে পারবেন। সিএনজি এর ভাড়া আসা যাওয়া মিলিয়ে ৪৫০০ টাকা।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার কিভাবে যাবো ?

ঢাকা airport থেকে কক্সবাজার এর বিমান ভাড়া হলো ৪৫০০ টাকা থেকে ৪৮০০ টাকা। আপনি যত আগে টিকেট বুকিং দিবেন ভাড়া তত কম হবে। আর বিমানে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি যেতে পারবেন। বিমানে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে ৪৫ মিনিট সময় লাগে।

কিছুদিন পর ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেন চালু হবে। তখন আরামে কম খরচে কক্সবাজার যেতে পারবেন। বাসে করে কক্সবাজার যেতে ভাড়া সর্বনিম্ন ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত আছে। রাতে বাসে করে রওনা হলে আপনি সকালে কক্সবাজার পৌঁছাতে পারবেন।

ঢাকা থেকে খুলনা কিভাবে যাবো ?

ঢাকা থেকে খুলনা যেতে হলে আপনি মাওয়া ঘাট বা আরিচা ঘাট হয়ে যেতে পারেন। আপনি যমুনা ব্রিজ হয়েও যেতে পারেন তবে সে ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগবে। সায়দাবাদ থেকে ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা বাস ভাড়া দিয়ে আপনি খুলনা যেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার সমই লাগবে ৫ ঘণ্টা। তবে কিছুদিন পরে পদ্মা সেতু হয়ে গেলে তিন ঘণ্টায় যেতে পারবেন। আপনি আরিচা ঘাট হয়েও খুলনা যেতে পারেন। তবে আরিচা ঘাট থেকে খুলনা পর্যন্ত রাস্তা তুলনামূলক খারাপ। মতিজিল থেকে প্রায় ৭০০ টাকা বাস ভাড়া দিয়ে আপনি খুলনা যেতে পারেন। এতে সময়ও তুলনামূলক বেশি লাগে। আপনি ঢাকার কমলাপুর থেকে রেল করেও খুলনা যেতে পারেন। রেলগাড়ি যমুনা সেতু দিয়ে যায়। এক্ষেত্রে সময় লাগবে ১০ ঘণ্টার মতো। তবে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে এই সময় তিন ভাগের একভাগ নেমে আসবে। আপনি বিমানে করেও খুলনা যেতে পারেন। এতে ভাড়া পরবে ২৫০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা। সময় লাগবে ৩০ মিনিট। ঢাকা airport থেকে বিমানে উঠতে হয়।

কোনটা ভালো ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ ?

আমি একটি computer কিনতে চাই। আমি বাসায় বসে কাজ করি। আমার জন্য কোন কম্পিউটার ভালো হবে ? ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ।
আপনার যদি কাজের জন্য বাহিরে যাওয়া লাগে তাহলে ল্যাপটপ ভালো হবে। কিন্তু ডেস্কটপ কাজের জন্য ভালো। যেমন একটা core i ৫ ল্যাপটপ এর চেয়ে core i ৫ desktop ভালো কাজ করে। একটা ৮ জিবি ল্যাপটপ ram এর চেয়ে ৮ জিবি ডেস্কটপ RAM ভালো কাজ করে। একই configuration এর ল্যাপটপ এর চেয়ে ডেস্কটপ বেশি কার্যকর। যারা অনেক বেশি কাজ করে তাদের জন্য ডেস্কটপ ভালো। যারা গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করে তাদের জন্য ডেস্কটপ খুবি বেশি ভালো।