সিজারিয়ান মায়েদের যত্ন

সিজারিয়ান মায়েদের যত্ন কিভাবে নিবো ?

অপারেশন এর পর অনেক মায়ের তীব্র মাথা ব্যথা ও বমি হয়, এ সময় প্রচুর তরল খাবার যেমন পানি, সুপ্, ফলের রস খেতে হবে। মায়েরা ভারী কোনো বস্তু উঠানো বা নামানোর কাজ করবেননা। অপারেশন এর জায়গায় ঘা, লাল হয়ে যাওয়া, ব্যথা বা অন্য কোনো সমস্যা হলে দূরত্ব ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে। অপারেশন এর প্রথম ৬ মাস ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী বিশেষ বেল্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।

সবার জন্য শুভকামনা।

মায়েদের স্তনের যত্ন

মায়েদের স্তনের যত্ন কিভাবে নিবো  ?

শিশুকে পূর্ণ দুই বছর পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে তাই এ সময় মায়েদের স্তনের যত্ন জরুরি। প্রতিবার স্তনপান করানোর আগে ও পরে এক গ্লাস পানি খেতে হবে। স্তনপান করানোর আগে একটি পাতলা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে স্তন মুছে নিতে হবে। তরল খাদ্য বেশি খেতে হবে। অনেক সময় স্তন লাল হয়ে ফুলে যায়, সেক্ষেত্রে হালকা গরম সেক দিতে হবে।  এ সময় জ্বর বা অন্য সমস্যা হলে ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে।

সবার জন্য শুভকামনা।

জন্মের পর মায়েদের যত্ন

জন্মের পর মায়েদের যত্ন কিভাবে নিবো  ?

গর্ভকালীন ও গর্ভপরবর্তী সময়গুলো মায়েদের অনেক শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাই পরিবারের প্রতিটি সদস্য মায়ের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। গর্ভদান পরবর্তী ৬ মাস কোনো ভারী কাজ করা যাবেনা, পুষ্টিকর খাওয়া খেতে হবে। এ সময় কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবন মিশ্রিত করে একটি বোরো পাত্রে ‘হিপ বাথ’ নিতে হবে। এ সময় মানসিক দুশ্চিন্তা গ্রস্ত থাকা যাবেনা এবং পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।

সবার জন্য শুভকামনা।

জন্মের পর শিশুর যত্ন কিভাবে নিবো

জন্মের পর কিছুতেই শিশুর মুখে মধু দেয়া যাবেনা। বরং মায়ের বুকের শাল দুধ খাওয়াতে হবে। শাল দুধ শিশুর রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। জন্মের পর অবশ্যই শিশুকে মায়ের সংস্পর্শে রাখতে হবে। তার নাড়াচাড়া, চিৎকার, কান্নাকাটি, শাষ প্রশ্বাস ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে। জন্মের পর অনেক শিশুর জন্ডিস দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালের রোদ তার গায়ে ১৫-২০ মিনিট লাগাতে হবে। জন্মের পর প্রথম ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু খাওয়ানো যাবেনা।

সকল মা ও তাদের সোনামনিদের জন্য শুভকামনা।  

হবিগঞ্জ জেলার কিছু দর্শনীয় স্থান

নিম্নে হবিগঞ্জের কিছু দর্শনীয় স্থানের নাম দেওয়া হলো:

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান: ২০০৫ সালে প্রায় ২৪৩ হেক্টর জায়গা নিয়ে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় রঘুনন্দন পাহাড়ে এই উদ্যানটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

দ্যা প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট : হবিগন্জ জেলার বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী পাহাড়ে ৫ ষ্টার মানের দ্যা প্যালেস রিসোর্ট অবস্থিত।

রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য : হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থিত।

গ্রীনল্যান্ড পার্ক : হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার রানীগাঁও গ্রামে অবস্থিত।

হবিগঞ্জ জেলা সমন্ধে আরো জানতে চাইলে আপনি ইউটিউব অথবা গুগলের সাহায্য নিতে পারেন।

সুনামগঞ্জ জেলার কিছু দর্শনীয় স্থানের নাম

নিম্নে সুনামগঞ্জের কিছু দর্শনীয় স্থানের নাম দেওয়া হলো:

নীলাদ্রি লেইক : বাংলাদেশের কাশ্মীর নামে পরিচিত। সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের টেকেরঘাট নামক গ্রামে নীলাদ্রি লেইকের অবস্থান। নীলাদ্রি লেইক মূলত চুনাপাথরের পরিত্যাক্ত খনির লেইক।

বারেক টিলা : সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত।

যাদুকাটা নদী : সুনামগঞ্জ জেলায় বাংলাদেশ ভারতের উত্তর পূর্ব সীমান্তের কোল ঘেষে বয়ে চলেছে।

শিমুল বাগান : সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার মানিগাঁও গ্রামে প্রায় ১০০ বিঘারও বেশি জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই শিমুল গাছের বাগান।

টাঙ্গুয়ার হাওড় : এই হাওরের কথা সবাই কম বেশি জানে। প্রতি বছর অনেক মানুষ ঘুরতে আসে এই হাওরে। সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত দেশের ২য় বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি।

সুনামগঞ্জ জেলা সমন্ধে আরো জানতে চাইলে আপনি ইউটিউব অথবা গুগলের সাহায্য নিতে পারেন।

মৌলভীবাজারের কিছু দর্শনীয় স্থানের নাম

নিম্নে মৌলভীবাজারের কিছু দর্শনীয় স্থানের নাম দেওয়া হলো :-

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান: ইহা একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় এই উদ্যানটি অবস্থিত।

মাধবকুন্ড জলপ্রপাত : মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত।

হামহাম জলপ্রপাত : মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি এলাকায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত।

মাধবপুর লেইক : মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।

দুসাই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা : দুসাই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা এর অবস্থান মৌলভীবাজার জেলার গিয়াসনগরে। ইহা World Luxury Hotel Awards প্রাপ্ত।

গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ : ৫ষ্টার মানের এই রিসোর্টটি মৌলভীবাজার জেলের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অবস্থিত।

মৌলভীবাজার জেলা সমন্ধে আরো জানতে চাইলে আপনি ইউটিউব অথবা গুগলের সাহায্য নিতে পারেন।

সিলেটে আর কি আছে দেখার, চা বাগান এবং জাফলং বাদে ?

সিলেটে চা বাগান এবং জাফলং ছাড়া আরো অনেক গুলো দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে প্রধান প্রধান জায়গা গুলোর অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। নিম্নে প্রধান প্রধান জায়গা গুলোর অবস্থান তুলে ধরা হলো :

বিছনাকান্দি : সিলেট শহর থেকে প্রায় ৩৯ কিলোমিটার দূরে গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।

রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট : সিলেট শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত।

লালাখাল : সিলেট শহর থেকে প্রায় ৪১ কিলোমিটার দূরে জৈন্তাপুর উপজেলায় অবস্থিত।

জৈন্তাপুর রাজবাড়ি : সিলেট শহর থেকে প্রায় ৪১ কিলোমিটার দূরে জৈন্তাপুর উপজেলায় অবস্থিত।

ড্রিমল্যান্ড অ্যামিউজম্যান্ট অ্যান্ড ওয়াটার পার্ক : সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় হিলালপুর গ্রামে অবস্থিত।

নাজিমগড় গার্ডেন রিসোর্ট : সিলেট সদরের খাদিমনগরের পাহাড়ের কোলে প্রায় ৬ একর জমির উপর অবস্থিত।

এক্সেলসিয়র সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্ট : সিলেট শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে খাদিমপাড়ায় তিনটি টিলার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এটি। প্রায় ১৭ একরের এই হলিডে রিসোর্টে রয়েছে মিনি চিড়িয়াখানা, অডিটোরিয়াম, শিশুপার্ক, থ্রিস্টার মোটেল ইত্যাদি।

হযরত শাহজালাল (রা:)-এর মাজার : সিলেটের মূল শহরে অবস্থিত।

লোভাছড়া নদী : সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত ঘেঁষা খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে স্বচ্ছ পানির নদী হচ্ছে লোভাছড়া।

তামাবিল: সিলেট শহর হতে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে সিলেট-শিলং সড়কের পাশে অবস্থিত।

ডিবির হাওড় : সিলেট জেলার জৈন্তাপুরে ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত।

হাকালুকি হাওড় : সিলেট এবং  মৌলভীবাজারের ৫টি উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ মিঠা পানির জলাভূমি হাকালুকি হাওড়।

সিলেট জেলা সমন্ধে আরো জানতে চাইলে আপনি ইউটিউব অথবা গুগলের সাহায্য নিতে পারেন।

শ্রীমঙ্গলের কোন কোন জায়গা ভ্রমণের জন্য উপযোগী ?

সিলেটের শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের জন্য খুব সুন্দর জায়গা। আমার মতে বর্ষাকালের শেষের দিকে ঘুরতে যাওয়া উত্তম সময়। শ্রীমঙ্গলের যেসব জায়গা আপনি অবশ্যই ঘুরতে যাবেন, সেই জায়গা গুলোর নাম হলো-

  • শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্ট এন্ড মিউজিয়াম।
  • বধ্যভূমি ৭১।
  • মাধবকুন্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্ক।
  • বাইক্কার বিল।
  • লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান।
  • নীলকণ্ঠ চা কেবিন (সাত রংয়ের চা)।

ঠোঁট এর কোনে ঘা

ঠোঁট এর কোনে ঘা কেন হয়? এর প্রতিকার কি?


অপুষ্টি, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে ঠোঁট এর কোনে ঘা হতে পারে। সাধারণত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও সি এর অভাবে এ রকম হয়। সিম এর বিচি, বিভিন্ন রকমের বাদাম, সূর্যমুখীর বিচি, পাতা জাতীয় সবজি, ব্রকোলি, লেবু, আমলকি, কলা, কমলা ইত্যাদি তে প্রচুর ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট দিনে একটি করে একমাস সেবনে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।

সবার জন্য শুভকামনা।