ভিটামিন ডি কেন শরীরের জন্য প্রয়োজন ?

ভিটামিন ডি কেন শরীরের জন্য প্রয়োজন ?

ওজন বেড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘামানো, ক্লান্ত বোধ করা, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কমে যাওয়া, গাঁটে ব্যথা, শুস্ক চামড়া, উচ্চ রক্তচাপ, ক্ষুধা মন্দা, কোষ্টকাঠিন্য, মাথা ঘুরানো ইত্যাদি ভিটামিন ডির ঘাটতির লক্ষণ। সামুদ্রিক মাছ, মাশরুম, কমলা, ডিমের কুসুম, কলিজা ইত্যাদি তে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে। সবচেয়ে সহজলোভ্ভো ও উপকারী ভিটামিন ডি পাওয়া যে সকালের রোদ এ। উল্লেখিত সমস্যা প্রকট হলে ডাক্তার এর পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

সবার জন্য শুভকামনা।

থাইরয়েড এর সমস্যা কি?

থাইরয়েড এর সমস্যা কি? এর প্রতিকার কি ?

থাইরয়েড এর একটি common সমস্যা হলো কম থাইরয়েড হরমোন নিঃস্বরণ যা হাইপোথ্যারোইড নামে পরিচিত। কোনো কারণ ছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল পড়া, ক্লান্ত বোধ করা, মহিলাদের অনিয়মিত মাসিক এ রোগের অন্যতম লক্ষণ।  থাইরয়েড এর সমস্যা কখনো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে তাই দ্রুত ডাক্তার এর পরামর্শ নেয়া উচিত। 

সবার জন্য শুভকামনা।

চোখের ইনফেকশন কেন হয়?

চোখের ইনফেকশন বা কনজাংটিভিটিস কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

চোখের ইনফেকশন বা কনজাংটিভিটিস ছোয়াচে ধরণের রোগ। এ রোগ হলে চোখ লাল হয়ে যায় এবং চোখে ঘন ঘন ময়লা জমে। চোখ এ হাতের স্পর্শ না করলে এ রোগ হতে ৯৯ ভাগ সুরক্ষা পাওয়া যায়। এ রোগ হলে চোখে ঘন ঘন পরিষ্কার পানির ঝাপ্টা দিতে হবে। সাধারণত এক সপ্তাহ বা তার ও কম সময়ে এমনিতে এ রোগ ভালো হয়ে যায়। তবে এর বেশি সময় এ রোগ না সারলে ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে।

ইউরিন ইনফেকশন কেন হয়?

ইউরিন ইনফেকশন কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

পুরুষ দের চেয়ে নারীদের ইউরিন ইনফেকশন বেশি হয়। পস্রাব দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা, পানি কম খাওয়া এর প্রধান কারণ। পস্রাব পায়খানার পর সঠিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে যেন স্পর্শকাতর এলাকা জীবাণুমুক্ত থাকে। বেশি সমস্যা হলে ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী ইউরিন কালচার টেস্ট করতে হবে এবং ফুল কোর্স এন্টিবায়োটিক খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমার এন্টিবায়োটিক এর পোস্ট দেখুন।

নিউমোনিয়া কেন হয় ?

নিউমোনিয়া কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

শীতের সময় শিশু ও বৃদ্ধ দের বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজন কারণ তাদের নিউমোনিয়া ভোগার সম্ভাবনা বেশি। জ্বর, কফ সহ  কাশি, শাসকষ্ট, খাওয়ায় অরুচি নিউমোনিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। রাতে ঘুমানোর পূর্বে বুকে, পিঠে, হাতের ও পায়ের তালুতে সরিষার তেল মাখলে উপকার পাওয়া যায়। নিউমোনিয়া সন্দেহ হলে অতি দ্রুত ডাক্তার দেখতে হবে।

সবার জন্য শুভকামনা।

শরিয়ত আইন কী?

শারিয়াহ হলো আল্লাহর আইন। কুরআন ও হাদিসের ওপর ভিত্তি করে শারিয়াহ আইন প্রতিষ্ঠিত। শরিয়াহর মূলত দুটি উৎস আছে একটি হলো ইজমা ও আরেকটি কিয়াস। তবে ইজমা ও কিয়াসও কুরআন-হাদিসের মূলনীতির ওপরেই হতে হবে।

পৃথিবীতে হাতেগোনা কিছু মুসলিম দেশে আংশিক শরিয়াহ আইনের চর্চা আছে। তবে কোথাও পূর্ণাংগ শরিয়াহ আইন প্রয়োগ করে না।

এসিড নিক্ষেপকারীর শাস্তি ?

যদি কোনো অপরাধী এসিড দ্বারা কোনো ব্যক্তির মিত্তু ঘটান তাহলে তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম অথবা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং এক লক্ষ তাকে জরিমানা হবে।

যদি কোনো অপরাধী এসিড নিক্ষেপ করে কোনো ব্যক্তিকে আহত করে এবং অঙ্গহানি করে তাহলে তাকে যাবজ্জীবন বা সাত বছরের সশ্রম অথবা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা হবে।

যদি কোনো অপরাধী এসিড নিক্ষেপ করার চেষ্টা করে তাহলে তার তিন বছরের সশ্রম অথবা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা হবে।

এছাড়া, আপনি দন্ডবিধি ৩২৬-ক ধারায় এসিড নিক্ষেপ নিয়ে সকল আইনের ধারা লিখা আছে।

বাংলাদেশে বর্তমান আইনে অপহরণের শাস্তি কী ?

অপহরণ বলতে কিডনাপ বা এবডাকশন বোঝায়।

অপহরণের শাস্তি মূলত অপহরণের উদেশ্যের উপর ভিত্তি করে। ৩৬৩ নং ধারা অনুযায়ী সাধারণ অপহরণের শাস্তি সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা।

আবার যদি মার্ডারের উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয় তাহলে (৩৬৪ নং ধারা অনুযায়ী)যাবজ্জীবন বা দশবছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে।

আটকে রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ করলে সাত বছর পর্যন্ত (৩৬৫ নং ধারা অনুযায়ী), কোন মহিলাকে জোর পূর্বক বিয়ে বা সেক্সের জন্য অপহরণ হলে দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে (৩৬৬ নং ধারা অনুযায়ী)।

এরকম আরো বহু ধরনের অপহরণ আছে এবং প্রত্যেকের আলাদা শাস্তি আছে। সবগুলো দেখে নিন বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩৫৯-৩৭৪ নং ধারা পযন্ত।

মামলায় সাক্ষ্য দানকারী ভুয়া সাক্ষ্য দিলে বাংলাদেশের আইন অনুসারে কি শাস্তি হওয়ার কোনো বিধান আছে নাকি ?

যদি কোনো ব্যক্তি আদালতে শপথ নেওয়া সত্ত্বেও এমন কথা বলে, যা মিথ্যা এবং সে সত্য বলে বিশ্বাস করে বা করে না, তবে উক্ত ব্যক্তি মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছে বলে পরিগণিত হয়।

শাস্তি: কোনো ব্যক্তি যদি কোনো বিচার বিভাগীয় কার্যক্রমের যেকোনো পর্যায়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়, তবে সে ব্যক্তির ৭ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে।

প্রাইভেট গাড়িতে কালো গ্লাস পেপার লাগালে কি কোনো আইনি সমস্যায় পড়বো নাকি ?

বাংলাদেশের আইনে কিছুদিন আগে গাড়িতে কালো গ্লাস ব্যবহার এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এরপরও যদি আপনি কালো গ্লাস পেপার ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে ট্রাফিক পুলিশ অথবা সার্জেন্ট এর কাছ থেকে জরিমানা বা মামলা খাবেন। তাই কালো গ্লাস পেপার ব্যবহা করা থেকে দূরে থাকুন।