কোন কোন অপরাধ গুলো বাংলাদেশে “নারী ও শিশু নির্যাতন” এর মধ্যে পরে ?

বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সরকার ২০০০ সালে তৈরী করে। আবার ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন করে আরো কঠোর করা হয়। বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সরকার ২০০০ সালে তৈরী করে। আবার ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন করে আরো কঠোর করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যেই সব অপরাধ অন্তৰ্ভুক্ত-

বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সরকার ২০০০ সালে তৈরী করে। আবার ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন করে আরো কঠোর করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যেই সব অপরাধ অন্তৰ্ভুক্ত- নারী পাচার, শিশু পাচার, নারী ও শিশু অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, ধর্ষণ, ধর্ষণ জনিত কারণে মৃত্যু, যৌন নিপীড়ন, আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা করলে, যৌতুকের এর জন্য নির্যাতন করলে অথবা মৃত্যু ঘটালে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য শিশুর অঙ্গহানি করলে।

বাংলাদেশে “নারী ও শিশু নির্যাতন” এর শিকার হলে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে ?

কেউ যদি নারী ও শিশু নির্যাতন জনিত ঘটনার শিকার হন, তাহলে আপনাকে নিম্ন লিখিত পদক্ষেপ গুলো নিতে হবে-

  • থানায় মামলা দায়ের করা, যদি থানায় মামলা না নেয় তাহলে আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা।
  • এই আইনের নিয়ম অনুসারে আপনাকে কোনো উকিল নিয়োগের প্রয়োজন নেই, সরকারি উকিলের মাধ্যমে আপনি আপনার মামলা পরিচালনা করতে পারবেন।
  • নারী ও শিশু নির্যাতনের বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। তাই এই কয়দিন আপনি আদালতের নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত থাকবেন।
  • যদি আপনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাহলে আপনি নিরাপত্তা মূলক হেফাজতে যেতে পারেন।

নারীদের সুরক্ষার জন্য কোন কোন আইন বেশি প্রয়োজনীয় ?

নারীদের সুরক্ষার জন্য যেইসব আইন আছে তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

  • প্রত্যেক মুসলিম নারীর দেনমোহর পরিশোধ করা।
  • ১৮ বছরের নিচে কোনো মেয়ে কে বিয়ে করা বা বিয়ে দেওয়া যাবে না।
  • স্ত্রীর অনুমতি ব্যতীত ২য় বিয়ে করা যাবে না।
  • মুখে তালাক দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। স্থানিয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের যথাযথ কার্যক্রম সম্পন্ন করার মাধ্যমে তালাক হয়ে থাকে।
  • তালাক হয়ে যাওয়ার পর নারী চাইলে আবার বিবাহ করতে পারবে।

কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে, তাহলে আমি কি করবো ?

কেউ যদি আপনার নাম পুলিশের কাছে অভিযোগ করে তাহলে আপনি সর্ব প্রথম নিজেকে শান্ত রাখুন।অভিযোগ করার পর তদন্তকারী পুলিশ আপনার উপর তদন্ত করবে। আর এই তদন্ত করার সময় আপনি পুলিশ কে সহযোগিতা করুন।আপনার অভিযোগ মিথ্যা হলে তদন্তকারী পুলিশ তদন্ত করার সময় জানতে পারবে যে আপনার নামে অভিযোগটি মিথ্যা।কিন্তু এমন মিথ্যা অভিযোগের কারণে আপনাকে হয়তো ২৪ ঘন্টা থানায় থাকতে হতে পারে। যদি আপনি তদন্তকারী পুলিশের কাছে সন্দেহভাজন হন।

যেকোনো মামলার সর্বশেষ সমাধান কি হয়েছে, তা কিভাবে জানতে পারবো ?

প্রতিটি আদালতের মামলায় একটি নম্বর থাকে সেই নম্বর অনুসারে প্রত্যেকটি নম্বরের মামলার বিচারকাত্জ সম্পন্ন করার পর সেই মামলাগুলোর তথ্য নথি করে রেখে দেয়। তাই আপনি চাইলে আদালতের কার্যালয় থেকে মামলার সর্বশেষ তথ্য জানতে পারবেন।কিন্তু আপনি যদি এই কাজটা উকিলের মাধ্যমে করেন তাহলে খুব সহজে কাজটা সম্পন্ন হবে।

যদি কারো নামে মামলা থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি কি কি কাজ করতে পারবে না ?

আমার জানা মতে, আপনি কিছু কিছু কাজ করতে পারবেন না তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

  • আপনি বি.সি.এস পরীক্ষায় পাশ করতে পারবেন না।
  • আপনি সরকারি চাকরি অথবা সাময়িক বাহিনীতে যোগদান করতে পারবেন না।
  • আপনি পাসপোর্ট বানাতে পারবেন না এবং বিশেষ অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না। 

কেউ যদি আমাকে গালি-গালাজ করে, তাহলে কি তার নামে মামলা করা যাই কিনা ?

কেউ যদি আপনাকে সামনা-সামনি গালি দেয় অথবা আপনাকে মোবাইল ফোন এর মাধম্যে গালি-গালাচ করে, এর ফলে যদি আপনি মনে করেন আপনার ম্যান হানি হয়েছে তাহলে আপনি উক্ত ব্যাক্তির নাম মামলা করতে পারবেন।

১৮৬০ সালের ফৌজদারি আইনের ৪৯৯ এবং ৫০০ নং ধারা অনুসারে আপনাকে যে গালি দিয়েছে তার সর্বোচ্চ ২ বছর পয্ন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানা হতে পারে।কিন্তু এই মামলা করার জন্য আপনার অবশ্যয় তৃতীয় ব্যক্তির রেফার প্রয়োজন হবে অন্যথায় আপনি মামলা করতে পারবেন না।

পুলিশ থানায় মামলা না নিলে আদালতে কিভাবে মামলা করব ?

প্রথমে আপনি বুঝার চেষ্টা করুন যে আপনার মামলার ধরণ কোনটা। যেমন, দায়রা মামলা নাকি ফৌজদারি মামলা।

দায়রা মামলা হলে আপনি কোনো বিজ্ঞ উকিলের শরণাপন্ন হন। উকিল আপনাকে কিভাবে মামলা করতে হবে এই বিষয়ে সাহায্য করবে।

ফৌজদারি মামলা হলে আপনাকে কোনো ম্যাজিস্টেটের শরণাপন্ন হতে হবে। যদি মেজিস্ট্যাটের মনে হয় মামলাটি আমলে নেওয়া যায় তাহলে আপনি মামলা করতে পারবেন।

বাংলাদেশে প্রশ্নপত্র ফাঁস দমনে কোনো আইন আছে কি ?

১৯৮০ ও ১৯৯২ সালের সংশোধনীর ৪ নম্বর ধারা অনুসারে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী অপরাধী কে ৩-১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া যাবে। বর্তমানে এই অপরাধ বেশি সংগঠিত হচ্ছে তাই পুলিশ এখন বেশি তৎপর এই অপরাধ দমন করার জন্য। তাই এই জঘন্য অপরাধ করা থেকে বিরত থাকুন।

বাংলাদেশে এমন কোন আইন আছে, যে আইন সমন্ধে জনগণ খুব কমই জানে ?

আমার জানা মতে, ১৯১৯ সালের একটা আইন যা হলো “কিশোর ধূমপায়ী আইন” এখনো বলবৎ আছে।

এই আইন অনুযায়ী যদি কোনো ১৬ বছর বা ১৬ বছরের নিচের কোনো ব্যাক্তির কাছে ধূমপান জাতীয় দ্ৰব্য বিক্রি করলে ১০ টাকা জরিমানা এবং দ্বিতীয় বার বিক্রি করলে ২০ টাকা জরিমানা।

পুলিশ যদি ১৬ বছর বা ১৬ বছরের নিচের কোনো ব্যক্তির নিকট ধূমপান জাতীয় দ্রব্য পায় তাহলে তা সিজ বা নষ্ট করে দিতে পারবে।