ডিজিটাল আইনের ধারা গুলো কি কি ?

ডিজিটাল আইনের কিছু ধারা আছে যা প্রয়োগ করে ডিজিটাল অপরাধীকে সাজা দেওয়া হয়।নিম্নে ধারা গুলো তুলে ধরা হলো-

১৭ ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোয় বেআইনি প্রবেশ করে ক্ষতি সাধন, বিনষ্ট করে বা চেষ্টা করে।তাহলে তাকে ৭-১৪ বছরের জেল এবং ২৫লক্ষ-১ কোটি টাকা জরিমানা হবে।

১৮ ধারা অনুযায়ী, কম্পিউটার সিস্টেমে বেআইনি প্রবেশ বা সহায়তা করলে সর্ব্বোচ ৩ বছরের জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা।

১৯ ধারা অনুযায়ী, বেআইনি ভাবে যদি কোনো ব্যক্তি কোনো কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম হতে অনুমতি ছাড়া তথ্য সংগ্রহ করে তাহলে সর্বোচ্চ ৭বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা।

২০ ধারা অনুযায়ী, কম্পিউটার সোর্সকোড ধ্বংস বা পরিবর্তন করলে সর্বোচ্ছ ৩বছরের সাজা এবং ৩লক্ষ টাকা জরিমানা।

২১ ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়সংগীত, জাতীয় পতাকা এবং জাতির পিতার বিরুদ্ধে কিছু বলেবা বলতে সাহায্য করে।তাহলে তাকে১০বছরের জেল ও ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দন্ড হতে পারে।

২৭ ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা,নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করে কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে বৈধ প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তাহলে সর্ব্বোচ ১৪ বছর কারাদণ্ড ও ১ কোটি টাকা জরিমানা।

২৮ ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করে, তাহলে তার সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা।

২৯ ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা কম্পিউটার সিস্টেমের পেনাল কোডের ৪৯৯ ভঙ্গ করে কোনো অপরাধ করেন তাহলে, সর্বোচ্চ ৩ বছরের সাজা এবং ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা।

৩০ ধারা অনুযায়ী, কোন ব্যাংক, বীমা বা আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট বা তথ্য বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করলে, তাহলে ৫ বছরের কারাদণ্ড, ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড হতে পারে।

৩২ ধারা অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাসরকারি বা কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্য বিনা অনুমতিতে নিয়ে থাকে, তাহলে তাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড, ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দন্ড পেতে হবে।

৩৪ ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো হ্যাকিং করেন তাহলে সর্ব্বোচ ১৪ বছরের সাজা ও ১ কোটি টাকা জরিমানা।

এই ধারা গুলো দ্বারা ডিজিটাল আইন ২০১৮ গঠিত।

ডিজিটাল আইন কি ?

ডিজিটাল যন্ত্রের মাধ্যমে অপরাধ সংগঠন প্রতিহত করার জন্য ডিজিটাল আইন ২০১৮ সালে তৈরী হয়।এই আইনের মাধ্যমে সকল ডিজিটাল কাজকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যাতে জনগণ খুব সহজে ডিজিটাল ক্ষেত্রে সঠিক নিরাপত্তা পায়।এই আইনের অনেক গুলো ধারা আছে যা অপরাধের ভিত্তিতে ধারা প্রয়োগ করে অপরাধীকে সাজা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে কোন আইন মেনে জমি-জমা বা সম্পদ ভাগ করে ?

বাংলদেশে জমি-জমা এবং অন্যান্য সম্পদ ভাগ-ভাগি করার ক্ষেত্রে সাধারণত ধর্মীয় আইন মানা হয়।বাংলাদেশে মুসলমান বেশি তাই ভাগ-ভাগির সময় মুসলিম আইন মানা হয়। আর হিন্দুদের ক্ষেত্রে হিন্দু উওরাধিকার আইন মেনে ভাগ করা হয়।এছাড়া, আপনি যদি সহজে সম্পদ বা জমি-জমা ভাগ করতে চান তাহলে আপনি http://xn--d5by7bap7cc3ici3m.xn--54b7fta0cc/ এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন।

কি কারণে আইন ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পরে ?

আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগের মিলিত রূপ হচ্ছে আইন ব্যবস্থা। কিন্তু কিছু কিছু কারণে যেকোনো দেশের আইন ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পরে। নিম্নে কারণ গুলো তুলে ধরা হলো-

  • গনতন্ত্রের সঠিক চর্চা না থাকলে।
  • আইন প্রোয়গকারী লোকের সংখ্যা কম থাকলে।
  • আইন বিভাগ যদি পরাধীন হয়।
  • আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যদি দুর্নীতি পরায়ণ হয়।
  • জনসচেতনতা কম থাকলে।

উপরোক্ত কারণ গুলোর ফলে আইন ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের সকল আইন নীতিমালা গুলো কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেখতে পারবো?

বাংলাদেশের আইন নিয়ে বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট আলোচনা হয়ে থাকে এবং আইনের নীতিমালা গুলো খুব সুন্দর ভাবে লিখে রাখে। যাতে সবাই আইন সমন্ধে জানতে পারে।আমার মতে http://bdlaws.minlaw.gov.bd ওয়েবসাইট আপনি সকল আইনের নীতিমালা গুলো জানতে পারবেন। এছাড়া আপনি চাইলে https://bn.quora.com-এ আইন নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন। যেখানে আপনি অনেক উকিল এবং আইন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী পাবেন।

লেবার কোর্ট কী?

অনেকেই লেবার কোর্টের বিষয় গুলো জানে না,তাই এই বিষয়ে আলোচনা করতে চাই।

শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষে ১৯৬৯ সালে শিল্প সম্পর্কিত অধ্যাদেশের ৩৫ (২) ধারাঅনুযায়ী লেবার কোর্ট গঠিত হয়।লেবার কোর্টে কেবলমাত্র শ্রমিকদের মামলা গ্রহণ করা হয়।লেবার কোর্টে কেবলমাত্র শ্রমিকদের মামলা গ্রহণ করা হয়। এই আদালতে শ্রমিকদের যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয় সেগুলো হলো:

  • বেতন না দেওয়া বা প্রতুশ্রুতি অনুযায়ী বেতন না দেওয়া।
  • নির্দিষ্ট সময়ে বেতন না দেওয়া।
  • উৎসব ভাতা বা বোনাস না দেওয়া।
  • চিকিৎসা খরচ না দেওয়া।
  • সাপ্তাহিক ছুটি না দেওয়া।
  • কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত সমেয়র জন্য মূল্য না দিলে।
  • অন্যায়ভাবে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করলে।
  • অযথা বরখাস্তের হুমকি দিলে।

উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে শ্রমিকরা লেবার কোর্টে মামলা করতে পারে।

নিবর্তনমূলক আইন কী?

যে আইনের আওয়ায় একজন ব্যাক্তিকে অপরাধ সংগঠনের পূর্বে আটক করার বিধান বাস্তবায়িত করা হয়ে থাকে তাই নিবর্তনমূলক আইন বলে পরিচিত।নিবর্তনমূলক আইন কিছু ক্ষেত্রে কার্যকরী এবং কিছু ক্ষেত্রে অকার্যকর হিসেবে ধরা হয়। পূর্বে সংবিধানে নিবর্তনমূলক আটকের কোনো বিধান ছিল না।

সামরিক আইন কাকে বলে ?

বহিরাক্রমন, অভ্যন্তরীন বিদ্রোহ, দাংগা হাংগামা প্রতিহত করে শান্তি শৃংখলা রক্ষা করার জন্য সামরিক বাহিনী কর্তৃক যে বিশেষ জরুরী অবস্থা জারী করা হয় তাকে সামরিক আইন  বলা হয়। সামরিক আইন কোনো সাংবিধানিক আইন নয়। মূলত রাষ্ট্রের সাংবিধানিক আইন বন্ধ করে সামরিক আইন বলবৎ করা হয়। সামরিক আইন সাধারণত রাষ্ট্রের নাগরিকদের সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করে।

নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করার নিয়ম কি ?

নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করার জন্য সর্ব প্রথম আপনাকে উপযুক্ত প্রমান রাখতে হবে। সেই প্রমানের ভিত্তিতে থানায় মামলা গ্রহণ করা হবে, আর যদি মামলা গ্রহণ না করে তাহলে আপনি আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে মামলা করতে পারবেন।

মিথ্যা নারী নির্যাতনের মামলায় করনীয় কি ?

এই রকম সমস্যার সম্মুখীন হলে আপনি অবশ্যই কোনো বিজ্ঞ উকিলের শরণাপন্ন হন। নয়তো আপনার গ্রেফতারি পরোয়ানা বের হয়ে গেলে আপনি বেশি ঝামেলায় পড়বেন। আর ভরসা রাখুন নিজের এবং আল্লাহর উপর, কারণ আদালত উপযুক্ত প্রমাণের মাধম্যে মামলার রায় দিয়ে থাকে।