একজন দক্ষ ট্রেডার হওয়ার জন্য কোন কোন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে ?

একজন দক্ষ ট্রেডার হওয়ার জন্য আপনাকে টেকনিক্যাল এ্যানালাইসিস(ট্রেন্ডলাইন, সার্পোট-রেসিসটেন্ট, চার্টপ্যাটেন, ক্যান্ডল স্টিক), ফান্ডামেন্টাল এ্যানালাইসিস এবং সেন্টিমেন্ট এ্যানালাইসিস সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এই ৩ টি এ্যানালাইসিসের উপর ভিত্তি করে একজন দক্ষ ট্রেডার ট্রেডে এন্ট্রি করে।

এ্যানালাইসিস শিখা শেষ হলে আপনাকে মানি ম্যানেজমেন্ট সম্বন্ধে জানতে হবে। কারণ, ফরেক্স মার্কেটে টিকে থাকার মূল মন্ত্র হলো মানি ম্যানেজমেন্ট। আপনার অ্যাকাউন্টের মূলধন যদি লস করে ফেলেন, তাহলে তা পুনরুদ্ধার করা খুবই কষ্টকর। যদি আপনি মানি ম্যানেজমেন্ট মেনে ট্রেড করেন, তাহলে লস হওয়ার সম্ভবনা অনেক কম থাকে।

ফরেক্স ট্রেডের জন্য কিভাবে ভালো ব্রোকার নির্বাচন করবো?

ভালো ফরেক্স ব্রোকার নির্বাচন করার জন্য চারটি বিষয় অবশ্যই দেখে নিতে হবে। বিষয়গুলো হলোঃ- (১) রেগুলেটেড ব্রোকার কিনা, তা যাচাই করা (যেমন, USA এর National Futures Association “NFA” এর অর্ন্তভূক্ত), (২) স্প্রেড চার্জ কম নেয় নাকি বেশী নেয়, তা যাচাই করা, (৩), মোট কতগুলো কারেন্সী পেয়ার এবং কমোডিটি পেয়ার ট্রেড করার জন্য উন্মুক্ত আছে, তা যাচাই করা, (৪)https://www.forexpeacearmy.com/ ওয়েরসাইটে ব্রোকারের রিভিউ কেমন তা যাচাই করা।

একজন নারী স্বামীর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। এখন ঐ নারী স্বামীকে তালাক না দিয়ে আইনি সহায়তা নিতে পারবে ?

যদি কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে নির্যাতন করে। তাহলে, প্রথমে ওই নারী সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিবে। এরপর, চিকিৎসার কাগজ পত্র এবং বিবাহের কাবিননামা/নিকাহনামা নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করতে পারেন। এতে নির্যাতন কারী স্বামী কে তালাক দিতে হবে না।

যদি অর্থনৈতিক সমস্যা থাকে তাহলে আইন সহায়তাকারী লিগ্যাল এইড অফিসে গিয়ে অভিযোগ করতে পারেন।

মামলা চলাকালীন সময় বিদেশ গমন করা যায় কিনা ?

যদি আপনার নামে মামলা থাকে কিন্তু আদালত আপনাকে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে থাকে তাহলে আপনি বিদেশ যেতে পারবেন। কিন্তু তখন বিদেশ গমন করার ব্যাপারে আপনাকে আদালত এই ব্যাপারে জানাতে হবে। এবং আপনি কেন যেতে চান তা প্রমাণাদি সহ আদালতে পেশ করতে হবে।

দৈনিন্দন জীবনে আইনি পরামর্শের জন্য কি করা উচিত ?

বর্তমানে বাংলাদেশে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যার নাম Legal Home (www.legalhome.org)-এর মাধ্যমে আপনি আইনি সমস্যা সমাধানের জন্য সহায়তা পাবেন।বর্তমানে অনেক আইন বিভাগের ছাত্র, আইনজীবী লিগ্যাল হোমের সাথে সংযুক্ত থেকে কাজ করছে।তাই আপনি চাইলে খুব সহজে এই ওয়েবসাইট থেকে আইনি পরামর্শ নিতে পারবেন।এছাড়া, মানুষ এখন যেকোনো সমস্যার সমাধান ইন্টারনেট বা ফেসবুকে খুঁজে থাকেন। তাই লিগ্যাল হোম ওয়েবসাইটের ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে। ফেসবুক গ্রুপের লিংক-www.facebook.com/groups/legalhome. এই গ্রুপ থেকে আপনি বিনামূল্যে আইনি সমস্যার সমাধান খুব সহজে পেয়ে যাবেন।

আমি আইন বিভাগের ছাত্র না, তাই আমি আইন সম্পর্কে কিভাবে জানবো?

আইন সম্পর্কে জানা এবং আইন সমন্ধে বিস্তারিত জানা এই ভাবে ভাগ করে নিতে পারেন আইন সমন্ধে জানার জন্য।

যদি আপনি আইন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আইনের আপনি বই পড়ুন এবং আইন সম্পর্কিত ওয়েবসাইট থেকে আইন সমন্ধে জানুন।

আর যদি আপনি আইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আইনের বই পড়ার পাশাপাশি বিজ্ঞ কোনো আইনজীবীকে অনুসরণ করুন। সুযোগ পেলে আপনার আইন চর্চা প্রেটিক্যাল ভাবে এপলাই করুন। এতে আপনি সমন্ধে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

বিনা কারনে পুলিশ যদি গায়ে হাত তোলে, সেক্ষেত্রে নাগরিক কি মামলা করতে পারবে ?

পুলিশ কোনো ভাবেই আপনার গায়ে হাত তোলার কোনো আইনগত অধিকার নেই।

এরপরও যদি কোনো পুলিশ আইন ভঙ্গ করে আপনার গায়ে হাত তুলে, তাহলে আপনি বিজ্ঞ আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন। সেখানে বিচারের জন্য আপনি জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি চাইবেন।যদি প্রাথমিক ভাবে বিষয় টি প্রমাণিত হয় তাহলে অপরাধী পুলিশ ট্রায়াল ফেস করবেন। পরে যদি অপরাধ প্রমান হয় তাহলে তাকে শাস্তি পেতে হবে।

আইজিপি কমপ্লেইন সেল ০১৭৬৯৬৯৩৫৩৫, ০১৭৬৯৬৯৩৫৩৬ মোবাইল নম্বরে    কল করে এবং complain@police.gov.bd-এ ই-মেইলে করে অভিযোগ করতে পারবেন।

শ্রমিকদের কর্মী চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কাজে নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম আছে কি?

আন্তর্জাতিক এবং বাংলাদেশের আইনে কর্মী চুক্তির বিপক্ষে কোনো কথা বলা নেই। কারণ, এই চুক্তি টি শ্রমিক এবং মালিক উভয় পক্ষের জন্য উপকারী। এই চুক্তি করলে একজন শ্রমিক নিজের দায়িত্ব সমন্ধে জানতে পারে।আর এই চুক্তি স্ট্যাম্প পেপার, কোম্পানির প্যাড অথবা সাদা কাগজে লিখার মাধ্যমে সম্পাদিত হয়ে থাকে।

যদি কোম্পানির মালিক পক্ষ শ্রমিকের কাছ থেকে জোর করে সাক্ষর নিয়ে থাকে তাহলে তখন সেটা চুক্তি হিসেবে ধরা হবে না।

ভিপিএন ব্যবহার করা কি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুসারে অপরাধ ?

ভিপিএন ব্যবহার করা কিছু দেশে অপরাধ আবার কিছু দেশে অপরাধ না। কিন্তু প্রত্যেক দেশের কিছু কিছু ওয়েবসাইট ব্যবহার করা নিষিদ্ধ থাকে। এই সব ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে গিয়ে যদি আপনি ভিপিএন ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু আপনি অপরাধী। নিম্নে একটি ওয়েবসাইট লিংক দেওয়া হলো যেখানে ঐসব দেশের নাম আছে, যেইসব দেশে ভিপিএন ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।

www.comparitech.com/vpn/where-are-vpns-legal-banned/

কোনো ওয়েবসাইটে লেখালেখির কারণে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮”-এর ধারাঅনুযায়ী কি মামলা হতে পারে?

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৫ ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক বা মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত কোন ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের সুনাম নষ্ট করার জন্য প্রচার অথবা প্রচারের জন্য সহায়তা করেন, তাহলে এটি একটি অপরাধ। এই অপরাধেরজন্য ৩ বছরের কারাদণ্ড, ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।