ক্রিপ্টোকারেন্সি স্ক্যাম থেকে বেঁচে থাকার উপায় ?

নিজের মূলধন বাঁচানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই ৫ টি ক্রিপ্টোকারেন্সি স্ক্যাম থেকে সর্তক থাকতে হবে। কারণ, হ্যাকাররা ক্রিপ্টোকারেন্সি দ্বারা লেন-দেন করে থাকে। তাই হ্যাকাররা ক্রিপ্টোকারেন্সি এ্যাকাউন্ট হ্যাক করার জন্য সদা তৎপর থাকে। নিচে ৫ টি ক্রিপ্টোকারেন্সি স্ক্যাম নাম দেওয়া হলো-

পঞ্জি স্কিম।

ফিশিং ইমেইল।

জাল এক্সচেঞ্জ এবং ওয়ালেট ওয়েবসাইট।

জাল অ্যাপস।

ICO কেলেঙ্কারী।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট কি ?

লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট ব্যবহার করে, কিন্তু তারা কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে যথেষ্ট ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে। প্রথাগত ‘পকেট’ ওয়ালেট এর বিপরীতে, ডিজিটাল ওয়ালেট গুলি মুদ্রা সংরক্ষণ করে না। প্রকৃতপক্ষে, মুদ্রাগুলি কোনো একক স্থানে সংরক্ষণ করা হয় না বা কোনো আকারে কোথাও বিদ্যমান থাকে না। যা আছে সবই ব্লককচেইনে সঞ্চিত লেনদেনের রেকর্ড।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট হল সফটওয়্যার প্রোগ্রাম যা আপনার পাবলিক এবং প্রাইভেট কী এবং ইন্টারফেস যা বিভিন্ন ব্লককচেইনের থেকে লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যালেন্স পর্যবেক্ষণ করতে পারে, ক্রিপ্টোমুদ্রা পাঠাতে পারে এবং অন্যান্য কাজ পরিচালনা করতে পারে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসায় কি ঝুকি আছে ?

ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসায় সবচেয়ে বড় ঝুকি হলো হ্যাকিং। অব্যবস্থাপনার কারনে বহু ক্রিপ্টো কারেন্সি কোম্পানিও তাদের বিপুল অর্থ হারিয়েছে। কারণ, হ্যাকরদের হাত থেকে ওয়েবসাইট রক্ষা করতে তেমন কোন নিরাপত্তা গ্রহন করে না। বিশ্বের সবচাইতে বড়ো বিটকয়েন এক্সেঞ্জ Bit stamp টকিও ভিত্তিক Coin Check এবং Mt Gox, Bit Finex, Ethereum Classic সহ অনেক ক্রিপ্টো কোম্পানি হ্যাকিং এর স্বীকার হয়েছে। যার ফলে, এইসব কোম্পানীর গ্রাহকরা বিশাল লস গ্রহন করেছে।

উপার্জন করার লক্ষ্যে কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সী ক্রয়-বিক্রয় করা যায় ?

ক্রিপ্টোকারেন্সী ক্রয়-বিক্রয় একটু জটিল বিষয়, কারণ আপনাকে সঠিক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সী ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে যাতে আপনার কষ্টের টাকা হ্যাকারদের জন্য চুরি না হয়ে যায়। আমি আপনাদেরকে ২টি ওয়েবসাইটের কথা বলবো যার মাধ্যমে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সী ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন।

১. www.binance.com/en

২. www.etoro.com

ক্রিপ্টোকয়েনে বিনিয়োগ করার জন্য উত্তম সময় কখন ?

মূলত “বাই, সেল ও হোল্ড” এই ৩ টি বিষয় এর উপর ভিত্তি করে ক্রিপ্টোকয়েনে বিনিয়োগ করতে হবে। ক্রিপ্টোকয়েনে বিনিয়োগ করার উত্তম সময় হলো যখন ক্রিপ্টোকয়েনে মূল্য কম থাকে। কারণ, বেশী দামে ক্রিপ্টো মুদ্রা ক্রয় করলে লাভের সম্ভবনা অনেক কম থাকে এবং ক্রিপ্টো মুদ্রা দীর্ঘদিন হোল্ড করে রাখতে হবে। তাই ক্রিপ্টো মুদ্রার মূল্য কমার জন্য অপেক্ষা করতে হবে এবং মূল্য কমলে ক্রিপ্টো মুদ্রা ক্রয় করতে হবে।

ক্রিপ্টোকয়েনের/ ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে উপার্জন করা কি সম্ভব, যদি সম্ভব হয় তাহলে কি কি উপায়ে উর্পাজন করা যাবে ?

ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে যদি আপনি উপার্জন করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষ হতে হবে।

প্রধানত দুই ভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে উপার্জন করা যায়। যথা:- (১) মাইনিং, (২) বিনিয়োগ করে।

মাইনিং : ক্রিপ্টো মুদ্রা মাইনিং করতে আপনার একটি আধুনিক কম্পিউটার দরকার হবে, এবং কম্পিউটারে অবশ্যই ২-৪ জিবি গ্রাফিক্স কার্ড থাকতে হবে।

বিনিয়োগ : ক্রিপ্টো মুদ্রা কম মূল্যে ক্রয় করে বেশী দামে বিক্রয় করে আয় করা সম্ভব। অনেক বিনিয়োগকারী ক্রিপ্টো মুদ্রা কম মূল্যে ক্রয় করে বেশী দামে বিক্রয় করে থাকে। কারণ, ক্রিপ্টো মুদ্রার চাহিদার উপর ভিত্তি করে ক্রিপ্টো মুদ্রার দাম কম বেশী হয়।

কোন কোন ক্রিপ্টোকয়েনের চাহিদা বেশী ?

ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে বিটকয়েনের চাহিদা সবচেয়ে বেশী কিস্তু এর যোগান কম এবং মূল্য বেশী হওয়ায় মানুষ অন্যসব ক্রিপ্টো মুদ্রায় বিনিয়োগ করে থাকে। যার ফলে কিছু ক্রিপ্টো মুদ্রার জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। নিম্নে জনপ্রিয় ক্রিপ্টো মুদ্রার নাম তুলে ধরা হল-

১.   ইথোরিয়াম।

২.   রিপল।

৩.   লাইটকয়েন।

৪.   র্কাডানো।

৫.   ডগিকয়েন।

এছাড়াও, আরও কিছু কয়েন রয়েছে যেইগুলো জনপ্রিয়তা অর্জন করছে এবং মূল্যও বাড়ছে। আপনি চাইলে coinmarketcap.com লিংকে ভিজিট করে সকল প্রকার ক্রিপ্টো মুদ্রার চাহিদা এবং মূল্য দেখতে পারবেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কি ?

ক্রিপ্টো কারেন্সি একধরনের সাংকেতিক ডিজিটাল মুদ্রা। শুধুমাত্র ইন্টারনেট জগতেই এই মুদ্রা ব্যবহার করা হয়। বাস্তবে এই ধরনের মুদ্রার কোন অস্তিত¦ নেই। এটি এমন একধরনের মুদ্রা, যা কোন দেশের সরকার ছাপায়নি। বরং এই মুদ্রা ইন্টারনেট এক্সপার্টদের দ্বারা জটিল কোডের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে এই মুদ্রার ব্যবহার প্রচুর পরিমাণে বাড়তে থাকে, এবং অনেক কোম্পানী এই মুদা দ্বারা প্রোডাক্ট ক্রয়-বিক্রয় শুরু করেছে। তাছাড়া, অনেক বিনিয়োগকারী এই মুদ্রার উপর বিনিয়োগ করছে। তাই এই মুদ্রাকে বলা হয় “ডিজিটাল গোল্ড”।

ফরেক্স রোবট কি ?

আসলে ফরেক্স রোবট হচ্ছে মূলত একটি সফটওয়্যার যেখানে একটা ইস্ক্রিপ্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেডগুলো করে দিবে।আপনাকে আর আলাদাভাবে ট্রেড করতে হবে না। কিন্তু ফরেক্স রোবট মানি ম্যানেজমেন্ট অনুসরণ করে না। তাই আপনি যদি রবোট ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে বেশি পরিমাণ ডিপোজিট করতে হবে। তবে ফরেক্স রোবট ব্যবহার করে লাভবান হলেও বেশীদিন টিকে থাকা সম্ভব নয়, তাই এগুলো ব্যবহার না করাটাই ভাল।

ফরেক্স সোশ্যাল ট্রেডিং কি ?

ফরেক্স সোশ্যাল ট্রেডিং হলো একটি নতুন ও যুগান্তকারী উপায়। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ট্রেডারগণ একটি প্লাটফর্মের মাধ্যমে মিলিত হয়ে একজন আরেকজনের স্কিলকে কাজে লাগিয়ে আলোচনার মাধ্যমে লাভজনক ট্রেড করে থাকে। বিনিময়ে লাভের কিছু অংশ দলের প্রধান স্কিল ট্রেডারকে দিতে হয়। বর্তমানে ফরেক্স সোশ্যাল ট্রেডিং খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ, এর মাধ্যমে নতুন ট্রেডাররা ফরেক্স থেকে আয় করার পাশাপাশি ফরেক্স শিখতে পারছে। কয়েকটি সোশ্যাল ট্রেডিং প্লাটফর্মের নাম:- www.etoro.com, www.zulutrade.com.