ফাইবার এ্যাকাউন্ট ডিসেবল থেকে পরিত্রান এর উপায় কি ?

ফ্রীল্যান্সিং একাউন্ট সবসময় যত্ন সহকারে নিয়ম মেনে চালানো উচিত। কারণ, যদি আপনার একাউন্ট কোনো কারণে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। নিম্নে প্রধান কারণ গুলো তুলে ধরা হলো যে কি কারণে একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়-

এক কম্পিউটার বা একই ইন্টারনেট আইপির মধ্যে ২টি একাউন্ট পরিচালনা করলে।

  • অন্যের গিগ কপি করলে।
  • কোনো ক্লায়েন্ট আপনার ব্যাপারে অভিযোগ করলে।
  • অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের জন্য কোনো ক্লায়েন্ট কে চাপ দিলে।
  • একাউন্ট এর একটিভিটি ঠিক না থাকলে।

উপরোক্ত কারণে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে. যেমন, ১০০ এর মধ্যে ৯৯ ভাগ চান্স থাকে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার।

কিভাবে গিগ তৈরী করলে ফাইবারে অর্ডার পাওয়া যাবে ?

ফাইবার এ কাজ পেতে হলে আপনার অবসসই একটি সুন্দর গিগ থাকতে হবে। কারণ, ফাইবার এ কাজ পেতে হলে আপনাকে গিগ সুন্দর করে বানাতে হবে। কিভাবে গিগ বানালে এবং কি করলে ফাইবার এ কাজ পেতে সুবিধা হবে তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

  • অন্যের গিগ কপি না করে নিজে গিগ বানানো।
  • গিগ এর টাইটেল সুন্দর ভাবে দিতে হবে কিন্তু গিগ এর টাইটেল এস.ই.ও অপটিমাইজড হতে হবে।
  • সবসময় ক্লায়েন্ট রিকোয়েস্ট দিতে হবে।
  • যত জলদি সম্ভব ক্লায়েন্ট এর মেসেজের এর রিপ্লাই দিতে হবে।
  • নিজের গিগ এর মার্কেটিং ও এস.ই.ও করতে হবে।

উপরোক্ত কাজ গুলো সঠিক ভাবে সম্পন্ন করলে ফাইবার এ কাজ পাবার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে।

কিভাবে ফাইবার এর ক্লায়েন্ট ধরে রাখবেন ?

প্রথমত, ফাইবার কাজ এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করবেন ক্লায়েন্ট এর দেওয়া নির্দিষ্ট সময়। কারণ, ফাইবার এ নির্দিষ্ট সময়ে কাজ জমা দিতে হয়।

দ্বিতীয়ত, ক্লায়েন্ট এর মেসেজের রিপ্লাই যত জলদি সম্ভব দিবেন। কারণ, ক্লায়েন্ট সাধারণত কয়েকজন এ কাজে এর জন্য নক করে, যার সাথে কাজ এর ডিল ভালো ভাবে সম্পন্ন হয় তাকে কাজ দিয়ে থাকে। তাই যত জলদি পারেন ক্লায়েন্টের রিপ্লাই দিবেন।

তৃতীয়ত, ক্লায়েন্ট এর সাথে কাজ নিয়ে ভালোভাবে আলোচনা করবেন এবং কাজের আপডেট দিবেন. এতে ক্লায়েন্ট নিশ্চিন্তে থাকে।

উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে কাজ করলেই ফাইবার এ ভালো কাজ পাবেন।

আপওয়ার্কে কি ভাবে জবে বিড করলে কাজ পাওয়ার সম্ভবনা বেশী থাকে ?

আপওয়ার্কে যে কোনো প্রজেক্ট এ কাজ করার জন্য আপনাকে বিড করতে হবে। বিড এর মাধম্যে আপওয়ার্কে ৮৫% কাজ দেওয়া হয়। তাই বিড করার সময় কিছু কৌশল অবলম্বন করলে প্রজেক্ট কাজ করার সুযোগ অনেক বেড়ে যায় এবং ঘন্টা হিসেবে জব পাওয়া যায়। বিড করার সময় ক্লায়েন্ট এর নাম কভার লেটারে যোগ করে দিলে ক্লায়েন্ট বুঝতে পারে যে আপনি উনার প্রোফাইল দেখছেন। কভার লেটারে প্রজেক্ট এর ব্যাপারে আলোচনা করবেন কিন্তু সংক্ষিপ্ত ভাবে। কখনো কপি করা কভার লেটার দিবেন না, এতে কাজ পাওয়ার সুযোগ একদমই নেই বললেই চলে। নিজে টাইপ করে কভার লেটার লিখে জব এ বিড করবেন সবসময়।

কি কি কারণে আপওয়ার্ক এ্যাকাউন্ট ডিসেবল হয়ে যায় ?

ফ্রীল্যান্সিং একাউন্ট সবসময় যত্ন সহকারে নিয়ম মেনে চালানো উচিত। কারণ, যদি আপনার একাউন্ট কোনো কারণে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। নিম্নে কারণ গুলো তুলে ধরা হলো যে কি কারণে একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়-

  • ফেক প্রোফাইল ফটো ব্যবহার করলে।
  • একজন ব্যক্তি ২টি একাউন্ট ব্যবহার করলে।
  • কেউ যদি আপনার একাউন্ট এ লগইন করার চেষ্টা করে।
  • আপওয়ার্ক এর Timetracker সফটওয়্যার হ্যাক করার চেষ্টা করলে।
  • প্রোফাইল লোকেশন ফেক বা ভুল দিলে।
  • ফেক রিভিউ কারো কাছ থেকে ক্রয় করলে।
  • কোনো ক্লায়েন্ট যদি আপনার নাম অভিযোগ করে।

উপরোক্ত কারণে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে. যেমন, ১০০ এর মধ্যে ৯৯ ভাগ চান্স থাকে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার।

ফ্রীলান্সিং ক্যারিয়ার কতটা গুরুত্বপূর্ণ ?

আমার মতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফ্রীলাসিং ক্যারিয়ার এর মূল্য খুব ভালো। কারণ, ফ্রীল্যান্সিং একাউন্ট আপনার সিভি তে যোগ করে দিলে আপনি অনেক আই.টি ফার্ম এ এবং মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি তে অনায়েসে জব পেয়ে যাবেন। আমি অনেকেই দেখেছি, যারা প্রথম দিকে ফ্রীল্যান্সিং করতো কিন্তু এখন আই.টি ফার্ম বা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি তে জব করছে তাও ভালো স্যালারীতে। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার ফ্রীল্যান্সিং নিয়ে যুব সমাজ কে দক্ষ করে তুলছে। কারণ, ফ্রীলান্সিং কাজের মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স আসে।

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে এ্যানালাইসিসের গুরুত্ব কেমন, এবং কি ভাবে এ্যানালাইসিস করতে হয় ?

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে এ্যানালাইসিসের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে সঠিক এ্যানালাইসিসের মাধ্যমে আপনি অনেক আয় করতে পারবেন পাশাপাশি আপনি নতুন বিনিয়োগকারীদের গাইড ও করতে পারবেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লাভ হয় তখনি, যখন মার্কেট উদ্ধমুখি (বুলিশ) ট্রেন্ডে থাকে। তাই এর এ্যানালাইসিস সহজ। আপনি প্রথমে ট্রেন্ড লাইন সম্বন্ধে শিখুন, যাতে মার্কেট কোন ট্রেন্ড এ আছে তা জানতে পারেন। যেমন:- মার্কেট বুলিশ নাকি বিয়ারিশ ট্রেন্ডে আছে তা জানা। সার্পোট-রেসিসটেন্স সম্বন্ধে শিখুন, কারণ সার্পোট-রেসিসটেন্স দ্বারা ক্রিপ্টোকয়েনের প্রাইজ জোন বের করা হয়। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল ও সোশ্যাল সাইটের গ্রুপ থেকে কয়েন বাই করার ব্যাপারে ডাটা সংগ্রহ করতে পারবেন, যাকে সেন্টিমেন্ট এ্যানালাইসিস বলে। বিভিন্ন ক্রিপ্টো মুদ্রার নিউজ এর উপর চোখ রাখতে হবে। কারণ, নিউজের প্রভাব ক্রিপ্টো কয়েনের উপর প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে।  

ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং কি ?

প্রকৃতপক্ষে ক্রিপ্টোকারেন্সি সঠিকভাবে লেনদেন করার জন্য করার জন্য তেমন কোন বড় প্রতিষ্ঠান ও নেই। এই ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য একদল লোক ভলেন্টিয়ার বা স্বেচ্চাসেবক হিসেবে কাজ করে। বিনিময়ে ব্লকচেইন সিস্টেম সেসব ভলেন্টিয়ারকে ক্রিপ্টো কারেন্সি প্রদান করে, যাকে আমরা মাইনিং বলে জানি। তাছাড়া, ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য কাজ করে ডিজিটাল অর্থ উপার্জন কে বলা হয় মাইনিং। মাইনিং করার জন্য শক্তিশালী কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া একাজে বিপুল পরিমানে বিদ্যুৎ ও খরচ হয়।

ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা কি আয় করতে পারবে ?

ক্রিপ্টোকারেন্সির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে অনেক ক্রিপ্টো কোম্পানী গড়ে উঠছে এবং বিভিন্ন কোম্পানী নিজস্ব ক্রিপ্টো মুদ্রা তৈরী করছে, যেমন বর্তমানে ফেসবুক লিবরা (Libra) নামক ক্রিপ্টো মুদ্রা চালু করছে। কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবসা পরিচালনার জন্য দরকার হবে দক্ষ জনবল। তাই ক্রিপ্টো-ইকোনমিক্স নিয়ে জ্ঞান অর্জন করা ভালো। ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর মানুষকে দক্ষ করতে “Coinbase” Learn & Earn নামে একটি প্রজেক্ট চালু করেছে। যেখান থেকে আপনি শিখার বিনিময়ে ক্রিপ্টোকয়েন পাবেন। এই লিংকের মাধ্যমে আপনি আরও জানতে পারবেন- www.coinbase.com/earn

ক্রিপ্টো-ইকোনমিক্স কি ?

ক্রিপ্টো-ইকোনমিক্স এর সৃষ্টি হয়েছে দুইটি বিষয় এর উপর আলোকপাত করে, বিষয়গুলো হলো- ১. ক্রিপ্টোগ্রাফি, ২. ইকনোমিক্স। ক্রিপ্টো-ইকোনমিক্স বলতে ডিজিটাল অর্থনীতিতে পণ্য এবং পরিশেবা গুলির উৎপাদন, বিতরণ এবং ব্যবহার পরিচালনা করে৷ বøকচেইন হলো ক্রিপ্টো ইকোনোমিক্স এর মূল চালিকা শক্তি।