গাঁটে ব্যথা কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

সাধারণত বয়স্ক দেড় গাঁটে ব্যথা বেশি হয়। এছাড়া রিউমাটয়েড আর্থাইটিস বা রিউমেটিক ফিভার  এর কারণেও গাঁটে ব্যথা হতে পারে।  এক্ষেত্রে প্রথমেই রক্তে ইউরিক অ্যাসিড এর পরিমান পরীক্ষা করতে হবে। রক্তে ইউরিক অ্যাসিড এর পরিমান বেশি হলে কিছু খাবার যেমন পুঁইশাক (পিচ্ছিল যে কোনো সবজি বা শাক), ডাল বর্জন করতে হবে। এ ধরণের রোগের প্রতিকারের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

টনসিলাইটিস কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

আমাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় লিমফ নোড বা লসিকা গ্রন্থি থাকে। গলার দুপাশের লসিকা গ্রন্থির প্রদাহ কে টনসিলাইটিস বলে। ঠান্ডা বা ভাইরাস জনিত জ্বর বা  একটি বিশেষ ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের কারণেও কারণে টনসিলাইটিস হতে পারে। টনসিলাইটিস হলে গ্রন্থি ফুলে যায়, লাল হয়ে যায়, ব্যথা হয় ও খাবার খেতে অসুবিধা হয়। সাধারণ টনসিলাইটিস ৩-৪ দিনের মধ্যে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে বছরে যদি ৩-৪ বা তার অধিক বার টনসিলাইটিস ও সাথে জ্বর হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তার এর শরণাপন্ন হতে হবে।

সবার জন্য শুভকামনা।

কাশি কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

কাশি দুই ধরণের: শুকনা ও কফ যুক্ত। সাধারণত ঠান্ডা, এলার্জির কারণে শুকনা কাশি হতে পারে। কুসুম গরম পানিতে লবন মিশিয়ে গড়গড়া করলে ব্যথা প্রশমন হয়। ভেষজ চা এ ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। আন্টি হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খেলে কাশি ভালো হয়।  শুস্ক কাশি এক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখতে হবে। কাশির সাথে কফ বা রক্ত আসলে বা জ্বর হলে বুঝতে হবে ফুসফুসে বা গলায়  সংক্রমণ হয়েছে তাই ডাক্তার দেখতে হবে।  মনে রাখতে হবে কাশি অনেক রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়। তাই এক্ষেত্রে অবহেলা করা অনুচিত

গলা ব্যথা কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

ঠান্ডা জনিত কারণে, এলার্জি, টন্সিল ইত্যাদির কারণে গলা ব্যথা হতে পারে। এছাড়া দাঁতে ইনফেকশন হলেও গলা ব্যথা হতে পারে। সাধারণত শীতকালে গলা ব্যথার প্রকোপ বেশি দেখা যায়। কুসুম গরম পানিতে লবন মিশিয়ে গড়গড়া করলে ব্যথা প্রশমন হয়। ভেষজ চা এ ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে।  ভোর সকালে বা সন্ধ্যার পরে হাটতে বা জগিং এ বের হলে মাফলার বা monkey ক্যাপ পড়লে ঠান্ডা প্রতিরোধ করা যায়। গলায় ইনফেকশন বা টন্সিল এর সমস্যা হলে ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।  সবার জন্য শুভকামনা।