থাইরয়েড এর সমস্যা কি?

থাইরয়েড এর সমস্যা কি? এর প্রতিকার কি ?

থাইরয়েড এর একটি common সমস্যা হলো কম থাইরয়েড হরমোন নিঃস্বরণ যা হাইপোথ্যারোইড নামে পরিচিত। কোনো কারণ ছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল পড়া, ক্লান্ত বোধ করা, মহিলাদের অনিয়মিত মাসিক এ রোগের অন্যতম লক্ষণ।  থাইরয়েড এর সমস্যা কখনো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে তাই দ্রুত ডাক্তার এর পরামর্শ নেয়া উচিত। 

সবার জন্য শুভকামনা।

চোখের ইনফেকশন কেন হয়?

চোখের ইনফেকশন বা কনজাংটিভিটিস কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

চোখের ইনফেকশন বা কনজাংটিভিটিস ছোয়াচে ধরণের রোগ। এ রোগ হলে চোখ লাল হয়ে যায় এবং চোখে ঘন ঘন ময়লা জমে। চোখ এ হাতের স্পর্শ না করলে এ রোগ হতে ৯৯ ভাগ সুরক্ষা পাওয়া যায়। এ রোগ হলে চোখে ঘন ঘন পরিষ্কার পানির ঝাপ্টা দিতে হবে। সাধারণত এক সপ্তাহ বা তার ও কম সময়ে এমনিতে এ রোগ ভালো হয়ে যায়। তবে এর বেশি সময় এ রোগ না সারলে ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে।

ইউরিন ইনফেকশন কেন হয়?

ইউরিন ইনফেকশন কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

পুরুষ দের চেয়ে নারীদের ইউরিন ইনফেকশন বেশি হয়। পস্রাব দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা, পানি কম খাওয়া এর প্রধান কারণ। পস্রাব পায়খানার পর সঠিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে যেন স্পর্শকাতর এলাকা জীবাণুমুক্ত থাকে। বেশি সমস্যা হলে ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী ইউরিন কালচার টেস্ট করতে হবে এবং ফুল কোর্স এন্টিবায়োটিক খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমার এন্টিবায়োটিক এর পোস্ট দেখুন।

নিউমোনিয়া কেন হয় ?

নিউমোনিয়া কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

শীতের সময় শিশু ও বৃদ্ধ দের বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজন কারণ তাদের নিউমোনিয়া ভোগার সম্ভাবনা বেশি। জ্বর, কফ সহ  কাশি, শাসকষ্ট, খাওয়ায় অরুচি নিউমোনিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। রাতে ঘুমানোর পূর্বে বুকে, পিঠে, হাতের ও পায়ের তালুতে সরিষার তেল মাখলে উপকার পাওয়া যায়। নিউমোনিয়া সন্দেহ হলে অতি দ্রুত ডাক্তার দেখতে হবে।

সবার জন্য শুভকামনা।

Piles বা অর্শ্বরোগ

Piles বা অর্শ্বরোগ এর ব্যাথা কিভাবে কমাবো ?

আমার অর্শ্বরোগ আছে। মাঝে মাঝে ব্যাথা করে। ব্যাথা কমানোর কোনো উপায় আছে ?

আপনি অর্শ্বরোগ এর ব্যাথা কমাতে পারেন কিন্তু অপারেশন হলো এর একমাত্র সমাধান। আপনি হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেতে পারেন। দ্রুত ব্যাথা কমানোর জন্য কিছু ব্যাথা কমানোর স্প্রে পাওয়া যায়। তা ব্যাবহার করতে পারেন। তবে ব্যাথা নাশক না ব্যবহার করাই উত্তম। আপনি hip bath নিতে পারেন। এতে করে ব্যাথা কমে যাবে। গরম পানির সেক নিতে পারেন। একটি বোলে গরম পানি রেখে তাতে কিছুটা লবণ অথবা biodin অর্থাৎ ১% আয়োডিন এর মিশ্রণ দিয়ে তার উপর বসে ভাপ নিতে পারেন। এছাড়া আপনি তেল কম খাবেন। মোটা চাউল এর ভাত খাবেন। পায়খানা যেনো পাতলা থাকে ওই ধরনের খাবার খাবেন। পায়খানা পাতলা রাখার জন্য গ্লিসারিন dose নিতে পারেন।

গাঁটে ব্যথা কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

সাধারণত বয়স্ক দেড় গাঁটে ব্যথা বেশি হয়। এছাড়া রিউমাটয়েড আর্থাইটিস বা রিউমেটিক ফিভার  এর কারণেও গাঁটে ব্যথা হতে পারে।  এক্ষেত্রে প্রথমেই রক্তে ইউরিক অ্যাসিড এর পরিমান পরীক্ষা করতে হবে। রক্তে ইউরিক অ্যাসিড এর পরিমান বেশি হলে কিছু খাবার যেমন পুঁইশাক (পিচ্ছিল যে কোনো সবজি বা শাক), ডাল বর্জন করতে হবে। এ ধরণের রোগের প্রতিকারের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

টনসিলাইটিস কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

আমাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় লিমফ নোড বা লসিকা গ্রন্থি থাকে। গলার দুপাশের লসিকা গ্রন্থির প্রদাহ কে টনসিলাইটিস বলে। ঠান্ডা বা ভাইরাস জনিত জ্বর বা  একটি বিশেষ ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের কারণেও কারণে টনসিলাইটিস হতে পারে। টনসিলাইটিস হলে গ্রন্থি ফুলে যায়, লাল হয়ে যায়, ব্যথা হয় ও খাবার খেতে অসুবিধা হয়। সাধারণ টনসিলাইটিস ৩-৪ দিনের মধ্যে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে বছরে যদি ৩-৪ বা তার অধিক বার টনসিলাইটিস ও সাথে জ্বর হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তার এর শরণাপন্ন হতে হবে।

সবার জন্য শুভকামনা।

কাশি কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

কাশি দুই ধরণের: শুকনা ও কফ যুক্ত। সাধারণত ঠান্ডা, এলার্জির কারণে শুকনা কাশি হতে পারে। কুসুম গরম পানিতে লবন মিশিয়ে গড়গড়া করলে ব্যথা প্রশমন হয়। ভেষজ চা এ ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। আন্টি হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খেলে কাশি ভালো হয়।  শুস্ক কাশি এক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখতে হবে। কাশির সাথে কফ বা রক্ত আসলে বা জ্বর হলে বুঝতে হবে ফুসফুসে বা গলায়  সংক্রমণ হয়েছে তাই ডাক্তার দেখতে হবে।  মনে রাখতে হবে কাশি অনেক রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়। তাই এক্ষেত্রে অবহেলা করা অনুচিত

গলা ব্যথা কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

ঠান্ডা জনিত কারণে, এলার্জি, টন্সিল ইত্যাদির কারণে গলা ব্যথা হতে পারে। এছাড়া দাঁতে ইনফেকশন হলেও গলা ব্যথা হতে পারে। সাধারণত শীতকালে গলা ব্যথার প্রকোপ বেশি দেখা যায়। কুসুম গরম পানিতে লবন মিশিয়ে গড়গড়া করলে ব্যথা প্রশমন হয়। ভেষজ চা এ ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে।  ভোর সকালে বা সন্ধ্যার পরে হাটতে বা জগিং এ বের হলে মাফলার বা monkey ক্যাপ পড়লে ঠান্ডা প্রতিরোধ করা যায়। গলায় ইনফেকশন বা টন্সিল এর সমস্যা হলে ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।  সবার জন্য শুভকামনা।