পলিসিস্টিক ওভারি কি?

প্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের ওভারিতে অনেক সময় ছোট ছোট পানির থলে সৃষ্টি হয় যা ডিম্বাশয় কে আঙুরের থোকার মতো রূপ নেয়। এর কারণে ডিম্বাণু তৈরিতে বাধা সৃষ্টি হয়। অনিয়মিত মাসিক, বন্ধ্যাত্ব, ওজন বাড়া, ব্রণ এর উপস্থিতি ইত্যাদি এর লক্ষণ। লক্ষণ দেখা দিলে অনতিবিলম্বে ডাক্তার এর পরামর্শ ও চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। 

সবার জন্য শুভকামনা।

ফ্যাটি লিভার কি?

শহুরে জীবনে ফ্যাটি লিভার একটি পরিচত শারীরিক অবস্থা। শরীরে চর্বির পরিমান বেশি হলে সেগুলো যকৃৎ এ জমা হয় ও ফ্যাটি লিভার এর সৃষ্টি করে। এর তৎক্ষণাৎ প্রিতিক্রিয়া নাই তবে দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন সমস্যা র সৃষ্টি করে যেমন লিভার এর জটিল রোগ। ওজন কমানো ও পরিমিত সুষম খাদ্যাভ্যাস এ রোগ প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাত খুব ই জরুরি।  প্রতি তিন মাস অন্তর রক্ত পরীক্ষা করে লিপিড প্রোফাইল, ব্লাড সুগার পরিমাপ করা ও ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।

সবার জন্য শুভকামনা।

কিডনি তে পাথর এর লক্ষণ কি?

কিডনি তে পাথর এর লক্ষণ কি? এর প্রতিকার কি?

পস্রাবের সময় জ্বালা পোড়া, পিঠের নিচে দু পাশে তীক্ষ্ণ ব্যথা, পস্রাবের গতি কমে যাওয়া, বাজে গন্ধ, একই সাথে জ্বর ইত্যাদি হলো কিডনি তে পাথর হওয়ার লক্ষণ। এ রোগ নির্ণয়ের জন্য xray ও আলট্রা সোনোগ্রাম করানো লাগতে পারে যা ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে। এ রোগ প্রতিরোধ এর জন্য পরিমিত পানি পান করতে হবে (দিনে ৬-৮ গ্লাস )। লবন ও লবন জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।  দুধ, পনির, দই, কমলা জাতীয় ফল এ রোগ প্রতিরোধ এ কার্যকরী। নিয়মিত শরীরচর্চা এবং skipping এ ক্ষেত্রে খুব উপকারী।

সবার জন্য শুভকামনা।

প্রস্টেট এর সমস্যা কি ?

প্রস্টেট এর সমস্যা কি ? এর প্রতিকার কি ?

৪০ উর্ধ পুরুষদের প্রস্টেট এর সমস্যা (বড় হয়ে যাওয়া) হতে পারে। ওজন বেশি হলে, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ থাকলে এ রোগের ঝুঁকি বেশি। ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ পাওয়া, ফোটায় ফোটায় প্রস্রাব হাওয়া, সম্পূর্ণ প্রস্রাব করার অক্ষমতা এ রোগের প্রধান লক্ষণ। নিয়মিত শরীর চর্চা, অতিরিক্ত চা বা কফি না খাওয়া, চাপ হলেই আটকে না রেখে প্রস্রাব করা, ঠান্ডা পরিবেশ থেকে বেঁচে থাকা ইত্যাদি প্রস্টেট বেড়ে যাওয়া রোধ করতে পারে। এ রোগ হলে ডাক্তার দেখতে হবে এবং পরামর্শ মোতাবেক অপারেশন করা প্রয়োজন হতে পারে।

সবার জন্য শুভকামনা।

ভিটামিন ডি কেন শরীরের জন্য প্রয়োজন ?

ভিটামিন ডি কেন শরীরের জন্য প্রয়োজন ?

ওজন বেড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘামানো, ক্লান্ত বোধ করা, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কমে যাওয়া, গাঁটে ব্যথা, শুস্ক চামড়া, উচ্চ রক্তচাপ, ক্ষুধা মন্দা, কোষ্টকাঠিন্য, মাথা ঘুরানো ইত্যাদি ভিটামিন ডির ঘাটতির লক্ষণ। সামুদ্রিক মাছ, মাশরুম, কমলা, ডিমের কুসুম, কলিজা ইত্যাদি তে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে। সবচেয়ে সহজলোভ্ভো ও উপকারী ভিটামিন ডি পাওয়া যে সকালের রোদ এ। উল্লেখিত সমস্যা প্রকট হলে ডাক্তার এর পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

সবার জন্য শুভকামনা।

থাইরয়েড এর সমস্যা কি?

থাইরয়েড এর সমস্যা কি? এর প্রতিকার কি ?

থাইরয়েড এর একটি common সমস্যা হলো কম থাইরয়েড হরমোন নিঃস্বরণ যা হাইপোথ্যারোইড নামে পরিচিত। কোনো কারণ ছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল পড়া, ক্লান্ত বোধ করা, মহিলাদের অনিয়মিত মাসিক এ রোগের অন্যতম লক্ষণ।  থাইরয়েড এর সমস্যা কখনো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে তাই দ্রুত ডাক্তার এর পরামর্শ নেয়া উচিত। 

সবার জন্য শুভকামনা।

চোখের ইনফেকশন কেন হয়?

চোখের ইনফেকশন বা কনজাংটিভিটিস কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

চোখের ইনফেকশন বা কনজাংটিভিটিস ছোয়াচে ধরণের রোগ। এ রোগ হলে চোখ লাল হয়ে যায় এবং চোখে ঘন ঘন ময়লা জমে। চোখ এ হাতের স্পর্শ না করলে এ রোগ হতে ৯৯ ভাগ সুরক্ষা পাওয়া যায়। এ রোগ হলে চোখে ঘন ঘন পরিষ্কার পানির ঝাপ্টা দিতে হবে। সাধারণত এক সপ্তাহ বা তার ও কম সময়ে এমনিতে এ রোগ ভালো হয়ে যায়। তবে এর বেশি সময় এ রোগ না সারলে ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে।

ইউরিন ইনফেকশন কেন হয়?

ইউরিন ইনফেকশন কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

পুরুষ দের চেয়ে নারীদের ইউরিন ইনফেকশন বেশি হয়। পস্রাব দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা, পানি কম খাওয়া এর প্রধান কারণ। পস্রাব পায়খানার পর সঠিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে যেন স্পর্শকাতর এলাকা জীবাণুমুক্ত থাকে। বেশি সমস্যা হলে ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী ইউরিন কালচার টেস্ট করতে হবে এবং ফুল কোর্স এন্টিবায়োটিক খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমার এন্টিবায়োটিক এর পোস্ট দেখুন।

নিউমোনিয়া কেন হয় ?

নিউমোনিয়া কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

শীতের সময় শিশু ও বৃদ্ধ দের বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজন কারণ তাদের নিউমোনিয়া ভোগার সম্ভাবনা বেশি। জ্বর, কফ সহ  কাশি, শাসকষ্ট, খাওয়ায় অরুচি নিউমোনিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। রাতে ঘুমানোর পূর্বে বুকে, পিঠে, হাতের ও পায়ের তালুতে সরিষার তেল মাখলে উপকার পাওয়া যায়। নিউমোনিয়া সন্দেহ হলে অতি দ্রুত ডাক্তার দেখতে হবে।

সবার জন্য শুভকামনা।

Piles বা অর্শ্বরোগ

Piles বা অর্শ্বরোগ এর ব্যাথা কিভাবে কমাবো ?

আমার অর্শ্বরোগ আছে। মাঝে মাঝে ব্যাথা করে। ব্যাথা কমানোর কোনো উপায় আছে ?

আপনি অর্শ্বরোগ এর ব্যাথা কমাতে পারেন কিন্তু অপারেশন হলো এর একমাত্র সমাধান। আপনি হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেতে পারেন। দ্রুত ব্যাথা কমানোর জন্য কিছু ব্যাথা কমানোর স্প্রে পাওয়া যায়। তা ব্যাবহার করতে পারেন। তবে ব্যাথা নাশক না ব্যবহার করাই উত্তম। আপনি hip bath নিতে পারেন। এতে করে ব্যাথা কমে যাবে। গরম পানির সেক নিতে পারেন। একটি বোলে গরম পানি রেখে তাতে কিছুটা লবণ অথবা biodin অর্থাৎ ১% আয়োডিন এর মিশ্রণ দিয়ে তার উপর বসে ভাপ নিতে পারেন। এছাড়া আপনি তেল কম খাবেন। মোটা চাউল এর ভাত খাবেন। পায়খানা যেনো পাতলা থাকে ওই ধরনের খাবার খাবেন। পায়খানা পাতলা রাখার জন্য গ্লিসারিন dose নিতে পারেন।