কিভাবে জানবো যে আমার নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ বা মামলা করেছে ?

প্রথমত, আপনার নাম যদি মামলা হয় তাহলে আপনি অবশ্যই জানতে পারবেন। কারণ, প্রত্যেক মামলার জন্য একজন তদন্তকারী অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়। যে কিনা মামলা তদন্ত করে সুষ্ঠ প্রমাণাদির ভিত্তিতে আসামি গ্রেফতার করে।

কিন্তু এর পর যদি আপনার নাম কোর্টে মামলা থাকে কিন্তু আপনার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা নাই। তাই এর জন্য আপনি পুলিশ কিলিয়ারনেস নিতে পারেন। যদি আপনার নামে মামলা থাকে তাহলে আপনার পুলিশ কিলিয়ারনেস ইস্যু করতে পারবে না।

General dairy কিভাবে করবো ?

আমাদের কনো কিছু হারিয়ে গেলে General dairy বা সংক্ষেপে জিডি করা লাগে। জিডি অবশ্যই আপনার থানায় করবেন। একটি সাদা পাতায় অ্যাপ্লিকেশন এর মতো জিডি করতে হয়। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি নিজে না করে ওই থানায় জিডি এর দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করতে পারেন।
কোনটা ভালো ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ?
আমি একটি computer কিনতে চাই। আমি বাসায় বসে কাজ করি। আমার জন্য কোন কম্পিউটার ভালো হবে ? ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ।

দেওয়ানি আদালত ও ফৌজদারি আদালত-এর মধ্যে পার্থক্য জানাবেন কি?

দেওয়ানী আদালত: দেওয়ানী মামলাসমূহ (জায়গা জমি, অর্থসংক্রান্ত, এবং পদের অধিকার সংক্রান্ত) যে আদালতে উপস্থাপন করা হয় তাকে দেওয়ানী আদালত বলা হয়। এই আদালতের বিচারককে জেলা জজ বলা হয়।

দেওয়ানী মামলা করার জন্য প্রথমেই বিচারকের নিকট পিটিশন দাখিল করতে হয়।

ফৌজদারি আদালত: অপরাধ সম্পর্কিত মামলাসমূহ এবং অপরাধী কে যে আদালতে উপস্থাপন করা হয় তাকে আমরা ফৌজদারি আদালত বলে থাকি। আর এই আদালতের বিচারকে দায়রা জজ বলা হয়।

এই মামলায় প্রথমে আসামিদের গ্রেপ্তার করার পরে তাদের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

আসামি রিমান্ডে গেলে কি ধরনের শাস্তি ভোগ করতে হয়?

রিমান্ড কথাটির সোজা মানে হচ্ছে মামলা তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা বা পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসা। রিমান্ডে এনে আসামিকে কোনো প্রকার শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা সম্পূর্ণ বেআইনি। জোরপূর্বক বা আসামির ইচ্ছার বিরুদ্ধে আদায়কৃত স্বীকারোক্তি আদালতে তার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয় না।

কেউ যদি ব্ল্যাকমেইল করে তাহলে এর জন্য কি শাস্তি হতে পারে ?

বর্তমানে ব্ল্যাকমেইল করার প্রবণতা বাড়ছে। কারণ, বর্তমানে অনেক মানুষ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে আর এই পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে হ্যাকিং এর শিকার হচ্ছে এবং ব্ল্যাকমেইলের শিকার হচ্ছে।

তবে বাংলাদেশে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য আইন আছে। বাংলাদেশ দন্ড বিধি ১৮৬০ অনুযায়ী ব্ল্যাকমেইল এর জন্য সর্বোচ্চ ৩ বছর এর জন্য জেল হতে পারে।

জমি কেনার সময় ক্ষেত্রে কোন গুলো বিষয় দেখে নিতে হবে ?

জমি কেনার সময় যেইসব বিষয় দেখে নিতে হবে তা নিম্নে দেওয়া হলো-

  • ওয়ারিশ সূত্রে বিক্রেতা উক্ত জমি পান তবে সেই পূর্ব পুরুষ এর ওয়ারিশান সার্টিফিকেট নিতে হবে।
  • দেখতে হবে মালিকানাঘরে কার নামে রেকর্ড আছে বা পর্চা দেখতে হবে।
  • জমি যদি অন্য কোন হস্তান্তর দলিলের দ্বারা পান তবে সেই দলিল দেখতে হবে। এবং সেই দলিলে কোন বিধি নিষেধ বা বাধা আছে কিনা দেখতে হবে।
  • জমির খাজনা ও ট্যাক্স পরিশোধ আছে কিনা দেখতে হবে।
  • জমির প্ল্যান পূবক্ত দলিলে আছে কিনা বা জমির সীমানা নির্দিস্ট করা আছে কিনা বা শরিক গনের সঙ্গে বণ্টন সংক্রান্ত কোন গোলযোগ আছে কিনা।
  • জমিটি অন্য কাউকে লীজ বা ভাড়া দেওয়া আছে কিনা।
  • জমি অন্তত 30 বছর তল্লাশি করে দেখা যে কোন হস্তান্তর হয়েছে কিনা।
  • জমিটি সরকারি অধিগ্রহণ হয়েছে কিনা।
  • জমিটি কোন প্রতিষ্ঠানে বন্ধক রাখা আছে কিনা।
  • জমিতে কোন সিভিল কেস চলছে কিনা।
  • জমিটির দখলে কারা আছে।
  • মৌজা ম্যাপ অনুসারে দেখতে হবে যে জমিটি দেখানো হচ্ছে আর যে কাগজ দেওয়া হচ্ছে সেটি সঠিক কিনা। এবং অবস্থান গত জমিটি কাগজের সঙ্গে ঠিক আছে কিনা।
  • বিক্রেতার ভোটার কার্ডের ফটো কপি।
  • জমিতে কাগজে যে শ্রেণীর উল্লেখ আছে বাস্তবে তাই আছে কিনা। হয়তো রেকর্ড আছে পুকুর এবং বাস্তবে ভরাট হয়ে বাড়ি হয়েছে, কেনার পর বিপদে পড়বেন।
  • জমিতে বাড়ি থাকলে তার অনুমোদিত প্ল্যান আছে কিনা।

উপরোক্ত বিষয় গুলো দেখে জমি কিনবেন। তাহলে কোনো ঝামেলায় পড়বেন না।

ক্রিপ্টো-ইকোনমিক্স কি ?

ক্রিপ্টো-ইকোনমিক্স এর সৃষ্টি হয়েছে দুইটি বিষয় এর উপর আলোকপাত করে, বিষয়গুলো হলো- ১. ক্রিপ্টোগ্রাফি, ২. ইকনোমিক্স। ক্রিপ্টো-ইকোনমিক্স বলতে ডিজিটাল অর্থনীতিতে পণ্য এবং পরিশেবা গুলির উৎপাদন, বিতরণ এবং ব্যবহার পরিচালনা করে৷ বøকচেইন হলো ক্রিপ্টো ইকোনোমিক্স এর মূল চালিকা শক্তি।

একজন নারী স্বামীর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। এখন ঐ নারী স্বামীকে তালাক না দিয়ে আইনি সহায়তা নিতে পারবে ?

যদি কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে নির্যাতন করে। তাহলে, প্রথমে ওই নারী সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিবে। এরপর, চিকিৎসার কাগজ পত্র এবং বিবাহের কাবিননামা/নিকাহনামা নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করতে পারেন। এতে নির্যাতন কারী স্বামী কে তালাক দিতে হবে না।

যদি অর্থনৈতিক সমস্যা থাকে তাহলে আইন সহায়তাকারী লিগ্যাল এইড অফিসে গিয়ে অভিযোগ করতে পারেন।

মামলা চলাকালীন সময় বিদেশ গমন করা যায় কিনা ?

যদি আপনার নামে মামলা থাকে কিন্তু আদালত আপনাকে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে থাকে তাহলে আপনি বিদেশ যেতে পারবেন। কিন্তু তখন বিদেশ গমন করার ব্যাপারে আপনাকে আদালত এই ব্যাপারে জানাতে হবে। এবং আপনি কেন যেতে চান তা প্রমাণাদি সহ আদালতে পেশ করতে হবে।

দৈনিন্দন জীবনে আইনি পরামর্শের জন্য কি করা উচিত ?

বর্তমানে বাংলাদেশে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যার নাম Legal Home (www.legalhome.org)-এর মাধ্যমে আপনি আইনি সমস্যা সমাধানের জন্য সহায়তা পাবেন।বর্তমানে অনেক আইন বিভাগের ছাত্র, আইনজীবী লিগ্যাল হোমের সাথে সংযুক্ত থেকে কাজ করছে।তাই আপনি চাইলে খুব সহজে এই ওয়েবসাইট থেকে আইনি পরামর্শ নিতে পারবেন।এছাড়া, মানুষ এখন যেকোনো সমস্যার সমাধান ইন্টারনেট বা ফেসবুকে খুঁজে থাকেন। তাই লিগ্যাল হোম ওয়েবসাইটের ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে। ফেসবুক গ্রুপের লিংক-www.facebook.com/groups/legalhome. এই গ্রুপ থেকে আপনি বিনামূল্যে আইনি সমস্যার সমাধান খুব সহজে পেয়ে যাবেন।