নিবর্তনমূলক আইন কী?

যে আইনের আওয়ায় একজন ব্যাক্তিকে অপরাধ সংগঠনের পূর্বে আটক করার বিধান বাস্তবায়িত করা হয়ে থাকে তাই নিবর্তনমূলক আইন বলে পরিচিত।নিবর্তনমূলক আইন কিছু ক্ষেত্রে কার্যকরী এবং কিছু ক্ষেত্রে অকার্যকর হিসেবে ধরা হয়। পূর্বে সংবিধানে নিবর্তনমূলক আটকের কোনো বিধান ছিল না।

সামরিক আইন কাকে বলে ?

বহিরাক্রমন, অভ্যন্তরীন বিদ্রোহ, দাংগা হাংগামা প্রতিহত করে শান্তি শৃংখলা রক্ষা করার জন্য সামরিক বাহিনী কর্তৃক যে বিশেষ জরুরী অবস্থা জারী করা হয় তাকে সামরিক আইন  বলা হয়। সামরিক আইন কোনো সাংবিধানিক আইন নয়। মূলত রাষ্ট্রের সাংবিধানিক আইন বন্ধ করে সামরিক আইন বলবৎ করা হয়। সামরিক আইন সাধারণত রাষ্ট্রের নাগরিকদের সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করে।

নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করার নিয়ম কি ?

নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করার জন্য সর্ব প্রথম আপনাকে উপযুক্ত প্রমান রাখতে হবে। সেই প্রমানের ভিত্তিতে থানায় মামলা গ্রহণ করা হবে, আর যদি মামলা গ্রহণ না করে তাহলে আপনি আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে মামলা করতে পারবেন।

মিথ্যা নারী নির্যাতনের মামলায় করনীয় কি ?

এই রকম সমস্যার সম্মুখীন হলে আপনি অবশ্যই কোনো বিজ্ঞ উকিলের শরণাপন্ন হন। নয়তো আপনার গ্রেফতারি পরোয়ানা বের হয়ে গেলে আপনি বেশি ঝামেলায় পড়বেন। আর ভরসা রাখুন নিজের এবং আল্লাহর উপর, কারণ আদালত উপযুক্ত প্রমাণের মাধম্যে মামলার রায় দিয়ে থাকে।

কোন কোন অপরাধ গুলো বাংলাদেশে “নারী ও শিশু নির্যাতন” এর মধ্যে পরে ?

বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সরকার ২০০০ সালে তৈরী করে। আবার ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন করে আরো কঠোর করা হয়। বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সরকার ২০০০ সালে তৈরী করে। আবার ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন করে আরো কঠোর করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যেই সব অপরাধ অন্তৰ্ভুক্ত-

বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সরকার ২০০০ সালে তৈরী করে। আবার ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন করে আরো কঠোর করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যেই সব অপরাধ অন্তৰ্ভুক্ত- নারী পাচার, শিশু পাচার, নারী ও শিশু অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, ধর্ষণ, ধর্ষণ জনিত কারণে মৃত্যু, যৌন নিপীড়ন, আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা করলে, যৌতুকের এর জন্য নির্যাতন করলে অথবা মৃত্যু ঘটালে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য শিশুর অঙ্গহানি করলে।

বাংলাদেশে “নারী ও শিশু নির্যাতন” এর শিকার হলে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে ?

কেউ যদি নারী ও শিশু নির্যাতন জনিত ঘটনার শিকার হন, তাহলে আপনাকে নিম্ন লিখিত পদক্ষেপ গুলো নিতে হবে-

  • থানায় মামলা দায়ের করা, যদি থানায় মামলা না নেয় তাহলে আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা।
  • এই আইনের নিয়ম অনুসারে আপনাকে কোনো উকিল নিয়োগের প্রয়োজন নেই, সরকারি উকিলের মাধ্যমে আপনি আপনার মামলা পরিচালনা করতে পারবেন।
  • নারী ও শিশু নির্যাতনের বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। তাই এই কয়দিন আপনি আদালতের নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত থাকবেন।
  • যদি আপনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাহলে আপনি নিরাপত্তা মূলক হেফাজতে যেতে পারেন।

নারীদের সুরক্ষার জন্য কোন কোন আইন বেশি প্রয়োজনীয় ?

নারীদের সুরক্ষার জন্য যেইসব আইন আছে তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

  • প্রত্যেক মুসলিম নারীর দেনমোহর পরিশোধ করা।
  • ১৮ বছরের নিচে কোনো মেয়ে কে বিয়ে করা বা বিয়ে দেওয়া যাবে না।
  • স্ত্রীর অনুমতি ব্যতীত ২য় বিয়ে করা যাবে না।
  • মুখে তালাক দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। স্থানিয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের যথাযথ কার্যক্রম সম্পন্ন করার মাধ্যমে তালাক হয়ে থাকে।
  • তালাক হয়ে যাওয়ার পর নারী চাইলে আবার বিবাহ করতে পারবে।

কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে, তাহলে আমি কি করবো ?

কেউ যদি আপনার নাম পুলিশের কাছে অভিযোগ করে তাহলে আপনি সর্ব প্রথম নিজেকে শান্ত রাখুন।অভিযোগ করার পর তদন্তকারী পুলিশ আপনার উপর তদন্ত করবে। আর এই তদন্ত করার সময় আপনি পুলিশ কে সহযোগিতা করুন।আপনার অভিযোগ মিথ্যা হলে তদন্তকারী পুলিশ তদন্ত করার সময় জানতে পারবে যে আপনার নামে অভিযোগটি মিথ্যা।কিন্তু এমন মিথ্যা অভিযোগের কারণে আপনাকে হয়তো ২৪ ঘন্টা থানায় থাকতে হতে পারে। যদি আপনি তদন্তকারী পুলিশের কাছে সন্দেহভাজন হন।

যেকোনো মামলার সর্বশেষ সমাধান কি হয়েছে, তা কিভাবে জানতে পারবো ?

প্রতিটি আদালতের মামলায় একটি নম্বর থাকে সেই নম্বর অনুসারে প্রত্যেকটি নম্বরের মামলার বিচারকাত্জ সম্পন্ন করার পর সেই মামলাগুলোর তথ্য নথি করে রেখে দেয়। তাই আপনি চাইলে আদালতের কার্যালয় থেকে মামলার সর্বশেষ তথ্য জানতে পারবেন।কিন্তু আপনি যদি এই কাজটা উকিলের মাধ্যমে করেন তাহলে খুব সহজে কাজটা সম্পন্ন হবে।

যদি কারো নামে মামলা থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি কি কি কাজ করতে পারবে না ?

আমার জানা মতে, আপনি কিছু কিছু কাজ করতে পারবেন না তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

  • আপনি বি.সি.এস পরীক্ষায় পাশ করতে পারবেন না।
  • আপনি সরকারি চাকরি অথবা সাময়িক বাহিনীতে যোগদান করতে পারবেন না।
  • আপনি পাসপোর্ট বানাতে পারবেন না এবং বিশেষ অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না।