পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে আহসান মঞ্জিলের গুরুত্ব কেমন ?

আহসান মঞ্জিল ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে কুমারটুলি এলাকায় (সদরঘাট থেকে মাত্র ১০ মিনিটে হেটে যাওয়া যায়)। মুঘল আমলে আহসান মঞ্জিল জামালপুর পরগণার জমিদার শেখ এনায়েতউল্লাহ্’র রঙমহল হিসেবে পরিচিত ছিল। পরে তাঁর পুত্র মতিউল্লাহ্’র নিকট থেকে ফরাসিরা ক্রয় করে  বাণিজ্য কুঠিতে স্থাপন করে। ১৮৩০ সালে খাজা আলীমুল্লাহ্ ফরাসিদের নিকট থেকে কুঠিবাড়িটি কিনে নেন এবং নিজের আবাস স্থল হিসেবে গড়ে তুলে। এ বাসভবনকে কেন্দ্র করে খাজা আব্দুল গণি একটি ইউরোপীয় নির্মাণ ও প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠান মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানী নামক  দিয়ে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরী করান যার প্রধান ইমারত ছিল আহসান মঞ্জিল। বর্তমানে আমরা আহসান মঞ্জিলের যেই স্থাপত্য শিল্প দেখি, তার নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৮৫৯ সালে এবং ১৮৭২ সালে সমাপ্ত হয়।

ঢাকার প্রাণকেন্দ্র সদরঘাট থেকে মাত্র ১০ মিনিট লাগে আহসান মঞ্জিল যেতে।আপনি সদরঘাট এসে পায়ে হেটে অথবা রিকশা নিয়ে আহসান মঞ্জিল যেতে পারবেন

বর্তমানে প্রতিদিন ৮০০-৯০০ পর্যটক আসে আহসান মঞ্জিল এবং আহসান মঞ্জিলের ব্যবহার্য জিনিস-পত্র দেখতে।প্রতি বৃহস্পতিবার পর্যটকদের জন্য আহসান মঞ্জিল বন্ধ থাকে।