বন্ধুত্বের মাঝে মনোমালিন্য হলে কি করতে হবে ?

যদি আপনি বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে চান, তাহলে আপনি আপনার দোষ খুঁজে বের করবেন এবং আপনি তার কাছে মাফ চাইবেন। এতে আপনার বন্ধুত্ব নষ্ট হবে না। আবার আপনার বন্ধু যদি ভুল করে তাহলে তাকে ক্ষমা করে দিন, এতে আপনার বন্ধুত্ব আরো ভালো হবে। কিন্তু যদি বন্ধুত্বের মাঝে বার বার ভুল বুঝা-বুঝি হয়, তাহলে সেই বন্ধুত্ব না রাখাই ভালো।

বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য কি দরকার ?

বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য তেমন বেশি কিছু লাগে না। শুধু ২টা জিনিস দরকার হয় আর তা হলো ১. বিশ্বাস ২. সহযোগিতা।

বিশ্বাস: বিশ্বাস ভঙ্গ করলে যে কোনো বন্ধুত্ব অনায়েসে নষ্ট হয়ে যায়। কারণ, আপনার বন্ধু যদি আপনার উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেললে আর আপনার সাথে বন্ধুত্ব রাখতে চাইবে না।

সহযোগিতা: যখন কোনো বন্ধু বিপদে থাকে বা কষ্টে থাকে তখন তার সহযগিতা খুবই দরকার হয়। কিন্তু তখন যদি আপনি সহযোগিতা না করে উল্টো নিজেকে গুটিয়া রাখেন তাহলে আপনার বন্ধুত্ব টিকার সম্ভবনা খুবই কম থাকে।

তাই এই ২টা জিনিস ঠিক মতো পালন করার চেষ্টা করবেন।

একজন বন্ধুর কী কী গুণ থাকা দরকার ?

গুনের তালিকা ধরে কখনো বন্ধু খোঁজা যায় না. কিন্তু কিছু গুন্ প্রত্যেক বন্ধুর মাঝে থাকা উচিৎ, যা দ্বারা আপনার বন্ধুত্ব টিকে থাকে। নিম্নে একজন বন্ধুর গুন্ গুলো তুলে ধরা হলো-

  • আপনার পছন্দ কে গুরুত্ব দিবে আপনার বন্ধু।
  • আপনাকে কখনো কোনো ভালো কাজের ব্যাপারে না বলবে না।
  • আপনার মেধার সর্বোচ্চ বের করে আনার জন্য চেষ্টা করবে।
  • টাকা-পয়সা আপনার সাথে লেনদেন করতে ভয় পাবে না।
  • আপনার সকল কথা শুনবে এবং আপনাকে সঠিক উপদেশ দিবে।

প্রকৃত বন্ধু কাকে বলে ?

যে বন্ধু সবসময় আপনার পাশে থাকে। আপনাকে সহযোগিতা করতে কখনো পিছপা হয় না। যদি আপনার উপকার করতে না পারে কিন্তু আপনার কখনো ক্ষতি করে না। আপনাকে সঠিক উপদেশ দেয়। যার কাছে আপনি আপনার সব মনের কথা খুলে বলতে পারেন, তাকে প্রকৃত বন্ধু বলে।

বন্ধু কি ?

বন্ধু হলো ঐ জায়গা যেখানে সবকিছু বলা যায়। বন্ধু হলো এমন একজন, যার সাথে ফরমালিটি লাগে না। বন্ধু তাকে বলা যায়, যার সাথে কখন কেটে যায়, তা বুঝা যায় না। আপনার যেকোন কষ্ট দায়ক মুহূর্ত বা বিপদের সময় আপনি আপনার বন্ধু কে কাছে পাবেন। একজন সত্যিকারের বন্ধু পাওয়া জীবনের সর্বোচ্চ ভাগ্য।

কোন ধরণের ছেলেরা সাধারণত মেয়েদের সাথে সম্পর্কে যেতে চাই না ?

অল্প কিছু ধরণের ছেলে আছে যারা মেয়েদের সাথে সম্পর্কে যেতে চায় না। তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

  • বুদ্ধিমান ছেলেরা।
  • ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা ছেলেরা।
  • ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে যেসব ছেলেরা।

এই ৩ ধরণের ছেলেদের ইমপ্রেস করা অনেক কঠিন। কিন্তু একবার ইমপ্রেস করতে পারলে লাইফ এ পারফেক্ট মানুষ কে লাইফ পার্টনার হিসেবে পাওয়ার সুযোগ অনেক টা বেড়ে যায়।

হাই কোয়ালিটি ছেলেদের ইমপ্রেস করার উপায় কি ?

হাই কোয়ালিটির ছেলেদের পটানো একটু কষ্টসাধ্য। কারণ, এই টাইপের ছেলেরা অনেক বিষয়ে জ্ঞান রাখে এবং পার্টনার এর মাঝে কোয়ালিটি খুঁজে।তাই এদের পটানোর জন্য কি করতে হবে তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

  • হাই কোয়ালিটির ছেলেকে ইম্প্রেস করতে গেলে আপনার মধ্যে কমপক্ষে ১টা যে কোনো গুন ও ভদ্রমহিলা হতে হবে।
  • হাই কোয়ালিটির ছেলেকে ইম্প্রেস করতে হলে আপনাকে চরিত্ররবান, শিক্ষিতা, আধুনিক, এবং ধার্মিক হতে হবে ।

টিপস পরে মনে হতে পারে এতো কম টিপস! কিন্তু এই ২টা টিপস অনসুরণ করতে গেলে বুঝতে পারবেন “যে কত ধানে কত চাল”।

কিভাবে যে কোনো ছেলেকে ইমপ্রেস করা যায় ?

সাধারণত মেয়েরা খুব সহজেই ছেলেদের ইমপ্রেস করতে পারে। কিন্তু কিছু ছেলে এমন আছে যারা সহজে মেয়েদের সাথে সখ্যতা গড়ে না। তাই নিম্নে কিছু টিপস দেওয়া হলো যা অনুসরণ করলে পছন্দের ছেলে কে ইমপ্রেস করতে পারবেন।

  • নিজেকে সবসময় গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন। কারণ, ছেলেরা অগছালো হলেও কিন্তু অগোছালো মেয়ে পছন্দ করে না।
  • পছন্দের ছেলের খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করুন। তার সমন্ধে জানার চেষ্টা করুন। কারণ, ছেলের ব্যাপারে জানা থাকলে আপনি খুব সহজে ইমপ্রেস করতে পারবেন।
  • তার সাথে ধীরে ধীরে কথা বলা শুরু করুন এবং সখ্যতা গড়ে তুলুন।
  • যদি অন্য সব ছেলেদের অযথা কথা বলেন তাহলে কথা বলা বন্ধ করে দেন। কারণ, ছেলেরা এইসব ব্যাপারে বেশি সন্দেহ করে।

উপরোক্ত টিপস গুলো অনুসরণ করলে আপনি আপনার পছেন্দের ছেলে কে ইমপ্রেস করতে পারবেন।

কি বলে যেকোনো মেয়ে কে ইমপ্রেস করা যায় ?

যেকোনো মেয়েকে ইমপ্রেস করা কিন্তু সহজ বিষয় নয়. কারণ, বিভিন্ন মেয়ের পছন্দ বিভিন্ন রকম হয়। কিন্তু কিছু কথা আছে যা কৌশল অবলম্বন করে বললে যে কোনো মেয়ে কম বেশি ইমপ্রেস হয়। যেসব কথা বলে মেয়েদের ইমপ্রেস করা যায়, তা নিম্নে দেওয়া হলো-

  • মেয়েদের রূপের প্রশংসা করবেন। কারণ, মেয়েরা এই প্রশংসা বেশি পছন্দ করে।
  • তার পছন্দের বিষয়ে আপনার পজিটিভ মতামত প্রকাশ করুন।
  • তার ভালো গুণাবলী নিয়ে আলোচনা করুন।

মেয়েরা সাধারণত নিজেদের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে. তাই যত পারুন প্রশংসা করুন। তাহলে যে কোনো মেয়ে আপনার প্রতি ইমপ্রেস হবে।

ভালোবাসা কি ?

ভালোবাসা হচ্ছে একটা অনুভূতির নাম, যা বিভিন্ন সময়ে কারণে বা অকারণে কমে আবার বাড়ে।ভালোবাসার কারণেই আমরা ভালো কাজে উৎসাহ পাই। ভালোবাসা অনুভূতিটা এক কিন্তু এটা মানুষ ভেদে বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ পায়। যেমনঃ বাবা-মা কে ভালোবাসা আবার ভাই-বোন কে ভালোবাসা। ভালোবাসা একজনের প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে, আর অন্যের প্রতি স্নেহের মাধ্যমে।