কাউকে বিয়ের আগে কি কি জানা উচিত ?

কাউকে বিয়ে করার আগে অব্যয় তার ভবিষ্যত সম্পর্কে আপনার জানতে হবে। নয়তো আপনি ভবিষ্যতে সংসার জীবনে অসুখী হতে পারেন।  তাই বিয়ের আগে কিছু বিষয় অবশ্যই জেনে নিবেন। নিম্নে বিষয় গুলো তুলে ধরা হলো।

প্রথম বিষয়: ছেলে কি কোনো নেশায় আসক্ত কিনা, আর মেয়ে হলে জেনে নিবেন সে মোবাইল ব্যবহারে বেশি আসক্ত কিনা।

দ্বিতীয় বিষয়: ছেলের কোনো রোগ আছে কিনা, আর মেয়ে হলে জেনে নিতে হবে কোনো রোগ আছে কিনা।

তৃতীয় বিষয়: রক্তের গ্রুপ এর ব্যাপারে ২ জনেরই জ্ঞান থাকতে হবে জানতে হবে যে কার রক্তের গ্রুপ কোনটা।

চতুর্থ বিষয়: ছেলের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সমন্ধে জানুন , আর মেয়ে হলে তার অতীত সমন্ধে জানুন।

পঞ্চম বিষয়: ছেলে হলে জেনে নিবেন যে ছেলে ধূমপায়ী কিনা, আর মেয়ে হলে জেনে নিবেন যে মেয়ে মোবাইল এর প্রতি আসক্তি কিনা।

উপরোক্ত বিষয় গুলো জেনে বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া টা উত্তম কাজ।

বিয়ের আগে মেয়ের ব্যাপারে কী জানা উচিত ?

বিয়ের আগে একটা মেয়ের ব্যাপারে যেইসব বিষয় জানা উচিত তা নিম্নে দেওয়া হলো-

  • মেয়ের চরিত্র কেমন এই বিষয়ে জানবেন।
  • সবার সাথে মানিয়ে চলতে পারে কিনা তা জানবেন।
  • মা বাবার সাথে কেমন ব্যবহার করে সেই বিষয়ে জানবেন।
  • মেয়ের কোনো শারীরিক সমস্যা বা কোনো রোগ আছে কিনা, সেই বিষয়ে জানবেন।
  • মেয়ের অতীত সম্পর্কে জানবেন।
  • মেয়ের আত্মীয়দের ব্যাপারে জানার চেষ্টা করবেন।

এইসব বিষয় জেনে বিয়ে করা খুবই ভালো ভবিষৎতের জন্য।

মানুষের সাথে চলার সর্বোত্তম উপায় কি ?

জীবনে চলার পথে আপনাকে অনেক মানুষের সাথে মিশতে হবে। কিন্তু মানুষের সাথে এমন ভাবে মিশতে হবে যাতে আপনি কোনো কষ্ট না পান। এবং মানুষ আপনাকে ভালো জানুক। তাই নিম্নে কিছু উপায় দেওয়া হলো মানুষের সাথে মিশার জন্য-

  • বেশী বন্ধু বানাবেন না।
  • মানুষের কাছে সহজলভ্য হওয়ার দরকার নেই।
  • যার তার সাথে বেশি মিশতে যাবেন না । কারণ, বেশি মিশলে পরে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় ।
  • নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করুন এবং নিজের ভবিষ্যত সম্পর্কে চিন্তা করুন ।
  • যদি কোনো মানুষের প্রস্তাব ভালো না লাগে তাহলে সরাসরি ‘না’ বলতে শিখুন ।
  • নিজের ব্যক্তিগত বা গোপনীয় বিষয় যার তার সাথে আলোচনা করবেন না ।

আশা করি উপরোক্ত কৌশল মেনে চললে আপনি জীবনে কম কষ্ট পাবেন।

মানুষকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করার উপায় কী ?

নিম্নে উপায় গুলো দেয়া হলো-

  • মানুষের সাথে কথা বলার সময় হেসে কথা বলবেন। কিন্তু, যে কোনো মানুষের সাথে কথা বলবেন না।
  • পোশাক পড়ার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। উগ্র পোশাক না পড়া, মানসম্মত জুতা পড়া এবং রুচিশীল ভাবে সাজগোজ করা।
  • মানুষকে অপমান করবেন না। যেমন, কারণ নাম ব্যাঙ্গ করবেন না।
  • সবসময় কথা কম বলবেন, কারণ বেশি কথা বললে বেশি ভুল হওয়ার সম্ভবনা আছে। তাই কথা কম বলুন, এবং শুনুন বেশী।

কিভাবে অন্যের কাছে প্রিয় মানুষ হয়ে উঠবেন ?

অনেকে কাছে প্রিয় মানুষ হয়ে উঠতে হলে আপনাকে নিম্নের কিছু টিপস মেনে চলতে হবে-

  • ভদ্র ব্যবহার করতে হবে সবার সাথে।
  • সবসময় সত্য কথা বলতে হবে।
  • সবসময় পজিটিভ কথা বলুন, ভালো কাজে উৎসাহ দিন।
  • মানুষের আবেগ দেখে কথা পরিবর্তন করতে শিখুন।
  • আপনার চাইতে যোগ্যতায় ছোট মানুষ কে সম্মান দিয়ে কথা বলুন।
  • কারো সমস্যার সময় তাকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করুন।
  • মানুষের সাথে সবসময় হাসি মুখে কথা বলুন।
  • কথা দিয়ে কথা রাখা।

এইসব গুণাবলী আপনি নিজের মাঝে গড়ে তোলার অভ্যাস করুন।

কিভাবে একাকিত্ব কাটানো যায় ?

বর্তমানে মানুষ সব সময় টাকার পিছনে ছুটে রোবট হয়ে যাচ্ছে। তাই কেউ কারো সাথে মিশে না, যার ফলে মানুষ অনেক সময় একাকিত্ব বোধ করে। কিন্তু আপনার একাকিত্ব কাটানোর উপায় আপনাকে বের করতে হবে। এরপরও আমি আপনাকে কিছু টিপস দেওয়া হোল যাতে আপনি আপনার একাকিত্ব দূর করতে পারেন।

  • আপনি যেই কাজ পছন্দ করেন সেই কাজ তা করেন।
  • আপনার পছন্দের জায়গায় ঘুরতে যান।
  • পছন্দের গান শুনুন।
  • আর সবচাইতে ভালো হয় আপনার কোনো ট্যালেন্ট থাকলে তা প্র্যাক্টিস করুন।

উপরোক্ত কাজগুলো করলে আপনার একাকিত্ব কিছুটা দূর হয়ে যেতে পারে।

যদি কোনো একজন ব্যক্তি পরিবার বিমুখ হলে, কিভাবে তাকে পরিবারে ফিরিয়ে আনা যায় ?

অনেক মানুষ আছে যারা পরিবার বিমুখ হয়ে যায়। এবং একা  জীবন যাপন করতে চায়, যা খুবই বিপদজনক একজন মানুষের জন্য।  এতে করে সে মানসিক রুগী হয়ে যেতে পারে  অসৎ সঙ্গের কারণে জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে পরিবার বিমুখ ব্যক্তি কে পরিবারে ফিরিয়ে আন্তে হবে। নিম্নে কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হলো-

  • যদি ব্যাক্তি টি নেশাগ্রস্ত হয়, তাহলে তার নেশা ছাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
  • যদি ব্যক্তিটি পারিবারিক ঝামেলা পছন্দ না করে তাহলে, পরিবারের ঝামেলা থেকে তাকে দূরে রাখতে হবে।
  • যদি ব্যক্তির রাগ বেশি থাকার কারণে পরিবারের সদ্যদের থেকে দূরে থাকে তাহলে তার সাথে কম কথা বলে এবং তার দূরে থাকবেন। যদি সম্ভব হয় মানসিক ডাক্তার এর শরণাপন্ন হবেন।
  • যদি ব্যক্তি কোনো ঝামেলার জন্য পরিবার থেকে দূরে থাকতে চায় তাহলে তাকে কিছুদিন এর জন্য সময় দিন। এবং পরিবারে নিয়ে আসুন।

উপোরোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে দেখুন। এতে আমি আশা করি যে কাজ হতে পারে।

আপনার মতে যৌথ পরিবার ভালো নাকি একক পরিবার ভালো ?

আমার মতে একক পরিবার ভালো, কারণ একক পরিবারে অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করা যায়। তাছাড়া, বর্তমান সমাজে একক পরিবারের সংখ্যা খুবই বেশি। বিশেষ করে ঢাকায় একক পরিবারের সংখ্যা খুবই বেশি। নিম্নে একক পরিবারের সুবিধাগুলো তুলে ধরা হলো-

  • যে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত খুব সহজে নেওয়া যায়।
  • ঘরের কর্তার (মা-বাবা) সিদ্ধান্তে পরিবার পরিচালনা হয়।
  • স্বাধীনতা বেশি থাকে, নিজের ইচ্ছা মত চলা যায় এবং অর্থ সঞ্চয় খুব সহজে করা যায়।
  • পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের চাহিদা মিটানো যায়।

জীবনের উন্নয়নে পরিবার কেন গুরুত্বপূর্ণ ?

মানব জীবনে পরিবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আপনি খেয়াল করে দেখেন আপনার জীবনে অনেক বন্ধু এসেছে আবার চলে গেছে। আবার আপনার জীবনে কয়েকবার বা একবার ভালোবাসা এসেছে তা আবার চলেও গেছে, খুব কম সংখক মানুষ ভালোবাসায় সফল হয়। কিন্তু আপনি এখনো আপনার পরবিরের সাথে আছেন। যদি পরিবার না থাকতো তাহলে আপনার জীবন যাযাবর এর মতো হতো, জীবনে কোনো উন্নতি হতো না। তাছাড়া, পরবিয়ার না থাকার কারণে আপনি ভালো মন্দ বিচার না করে চলতে হতো যার ফলে আপনার ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যেত। তাই মানব জীবনে পরিবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ , কারণ মানুষের জীবনে প্রথম শিক্ষা লাভ হয় পরিবার থেকে।

কীভাবে সব বন্ধুদের সাথে ভালো বন্ধুত্ব বজায় রাখা যাবে ?

বন্ধুত্ব করার চেয়ে বন্ধুত্ব রক্ষা করা কঠিন। তাই কীভাবে সব বন্ধুদের সাথে ভালো বন্ধুত্ব বজায় রাখা যাবে, এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো-

  • সবসময় বন্ধুদের খোঁজ খবর নেওয়া।
  • যতটুকু পারেন বিপদের সময় বন্ধু কে সাহায্য করেন।
  • মাঝে মাঝে তাদের সাথে দেখা করেন।
  • তাদের সাথে কোথাও ঘুটে যাওয়ার সুযোগ পেলে ঘুরতে যান।
  • তাদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখুন।