জ্বর ঠোসা

জ্বর ঠোসা কেন হয়? এর প্রতিকার কি?


জ্বর এ ভোগার পর ঠোঁট এর উপরে বা নিচে ছোট ফুসকুড়ি উঠতে পারে যাকে জ্বর ঠোসা বলে । এ সময় ফুসকুড়ি গুলো তে হাত দেয়া অনুচিত। ফুসকুড়ির পানি ছড়ালে আরো ঠোসা উঠতে পারে। বাজারে প্রাপ্ত ভালো মানের গ্লিসারিন এর হালকা প্রলেপ লাগালে তাড়াতাড়ি ঠোসা নিরাময় হয়। অনেক সময় কিছু সময় পর ঠোসা এমনিতেও ভালো হয়ে যায়


সবার জন্য শুভকামনা।

মুখে ঘা

মুখে ঘা বা ওরাল আলসার কেন হয়? এর প্রতিকার কি?


অপুষ্টি, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে ঠোঁট এর কোনে ঘা হতে পারে। সাধারণত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও সি এর অভাবে এ রকম হয়। সিম এর বিচি, বিভিন্ন রকমের বাদাম, সূর্যমুখীর বিচি, পাতা জাতীয় সবজি, ব্রকোলি, লেবু, আমলকি, কলা, কমলা ইত্যাদি তে প্রচুর ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট দিনে একটি করে একমাস সেবনে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।

মাইগ্রেন

মাইগ্রেন কেন হয়? এর প্রতিকার কি?


দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, হরমোন এর তারতম্যের কারণে মাইগ্রেন হতে পারে। মাথা ব্যথা, চোখে আলো লাগলে বা আওয়াজে অসুবিধা, হরমোন এর তারতম্য, বমি ভাব ইত্যাদি এ রোগ এর লক্ষণ। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক এর পরামর্শ গ্রহণ করলে রোগ মুক্তি হতে পারে। অবহেলা করলে এ রোগ এর লক্ষণ বৃদ্ধি পায়।

সাইনোসাইটিস

সাইনোসাইটিস কেন হয়? এর প্রতিকার কি?


মাথা ও নাকের হাড় এর কোষঝিল্লির প্রদাহের কারণে মিউকাস জাতীয় রস হয় যার ফলে মাথার সামনে ভার অনুভূত হয় ও মাথা ব্যথা হয়। এটি সাইনোসাইটিস। গরম পানিতে অল্প মেন্থল মিশিয়ে ভাপ নিলে এক্ষেত্রে আরাম পাওয়া যায়। ব্যথা নাশক ওষুধ খেলে সাময়িক ব্যথা প্রশমন হয়। মাথা ব্যথা বেশি হলে ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে।

সবার জন্য শুভকামনা।

বুক জ্বালা পোড়া

বুক জ্বালা পোড়া কেন হয়? এর প্রতিকার কি?


অনেক্ষন খালি পেটে থাকলে, ভাজা পোড়া খেলে, গুরুপাক খাবার বা ফাস্ট ফুড খেলেও বুক জ্বালা পোড়া করতে পারে। অনেকেই বুক জ্বালা পোড়ার জন্য এন্টাসিড খেয়ে থাকেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে বা হার্ট এর অসুখের কারণেও জ্বালা পোড়া ভাব হতে পারে। তাই বুক জ্বালা পোড়া দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে।

সবার জন্য শুভকামনা।

পায়ু পথে ব্যথা

এনাল ফিশার বা মলদ্বার এ ব্যথা কেন হয়? এর প্রতিকার কি?


দীর্ঘ দিন কোষ্টকাঠিন্য থাকলে পায়খানার সময় পায়ুপথে ব্যথা হয় এবং পরে ছিলে গিয়ে রক্ত পড়তে পারে। সে সময় অনেকে পায়খানা করতে ভয় পায় যার ফলে কোষ্টকাঠিন্য বেড়ে যায়। আঁশ জাতীয় খাবার খেলে অবস্থার উন্নতি হতে পারে (কোষ্টকাঠিন্য এর পোস্ট দেখুন)। বড় বোল এ কুসুম গরম পানি রেখে তার উপর বসলে (পায়ু পথে হালকা গরম সেঁক) ব্যথা নিরাময় হতে পারে। ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী পায়খানার আগে মলদ্বারে চেতনা নাশক ওষুধ লাগানো যেতে পারে। অবস্থা জটিল হলে অবশ্যই ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে।

খুশকি

খুশকি কেন হয়?


মাথার ত্বক এর শুস্কতার জন্য খুশকি হয়। এ ছাড়া ছত্রাক এর আক্রমণ এর কারণেও খুশকি হতে পারে। চুল পরিষ্কার এর জন্য ভালো শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। গোসল এর আগে কুসুম গরম তেল দিয়ে মাথার তালু ম্যাসেজ করে শ্যাম্পু ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। বাজারে কিছু আন্টি ফাংগাল শ্যাম্পু পাওয়া যায়। সেগুলো সপ্তাহে দুইবার গোসল এর সময় ব্যবহার করা যেতে পারে।

কোষ্ট কাঠিন্য

ইদানিং প্রায় সকল খাবার ই refined বা প্রক্রিয়াজাত করা। যেমন আগে আমরা লাল চাল, লাল আটা, লাল চিনি খেতাম; এগুলু কে সুস্বাদু করতে গিয়ে এখন সব কিছু থেকে আঁশ দূর করে খাদ্যগুন নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এর অনেক ক্ষতিকর দিকের একটি হলো কোষ্টকাঠিন্য। উল্লেখিত আঁশ জাতীয় খাবার ছাড়াও আপেল, বাদাম, সজনে, শীম, ব্রকোলি, ওটস, ইসুব গুল ইত্যাদি খেলে উপকার পাওয়া যাবে। পরিমিত পানি পান ও শরীর চর্চা করলে ও কোষ্টকাঠিন্য দূর হয়।

সবার জন্য শুভকামনা।

শুস্ক ত্বক

শুস্ক ত্বক এর প্রতিকার কি?


অনেকে ত্বকের শুস্কতার সমস্যায় ভুগেন। শীতের সময় শুস্কতার সমস্যা বেশি হয়। এ সময় চামড়া শুকিয়ে যাওয়া, লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি, চামড়া ফেটে যাওয়া, বিশেষ করে পায়ের গোড়ালি বা ঠোঁট ফেটে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। এ সময় ফ্রেশ জুস, লেবু শরবত ও পরিমিত পানি খেতে হবে। শরীরে সরিষা তেল, বা অলিভ অয়েল বা ভালো লোশন ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। ভ্যাসেলিন মাখলে ও উপকার হয়। ভ্যাসেলিন ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে ও ব্যবহার করা যেতে পারে। শুস্কতা বেশি হলে ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে।

সবার জন্য শুভকামনা।

রক্ত স্বল্পতা

রক্ত স্বল্পতা কেন হয়?


রক্তে হিমোগ্লোবিন এর পরিমান কমে গেলে রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয়। বিভিন্ন রোগ যেমন অপুষ্টি, পাইলস, ক্যান্সার এর কারণে রক্ত স্বল্পতা হয়। মহিলাদের মাসিক এর সময়, গর্ভ কালীন সময় এবং প্রসব কালীন সময় রক্ত স্বল্পতা হয়। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন কলিজা, কচু শাক, কলা, আপেল ইত্যাদি তে প্রচুর আয়রন থাকে। এ ছাড়া ডাক্তার এর পরামর্শে আয়রন ট্যাবলেট খেলে এ রোগ হতে পরিত্রান পাওয়া যায়।

সবার জন্য শুভকামনা।