কেউ যদি ব্ল্যাকমেইল করে তাহলে এর জন্য কি শাস্তি হতে পারে ?

বর্তমানে ব্ল্যাকমেইল করার প্রবণতা বাড়ছে। কারণ, বর্তমানে অনেক মানুষ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে আর এই পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে হ্যাকিং এর শিকার হচ্ছে এবং ব্ল্যাকমেইলের শিকার হচ্ছে।

তবে বাংলাদেশে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য আইন আছে। বাংলাদেশ দন্ড বিধি ১৮৬০ অনুযায়ী ব্ল্যাকমেইল এর জন্য সর্বোচ্চ ৩ বছর এর জন্য জেল হতে পারে।

জমি কেনার সময় ক্ষেত্রে কোন গুলো বিষয় দেখে নিতে হবে ?

জমি কেনার সময় যেইসব বিষয় দেখে নিতে হবে তা নিম্নে দেওয়া হলো-

  • ওয়ারিশ সূত্রে বিক্রেতা উক্ত জমি পান তবে সেই পূর্ব পুরুষ এর ওয়ারিশান সার্টিফিকেট নিতে হবে।
  • দেখতে হবে মালিকানাঘরে কার নামে রেকর্ড আছে বা পর্চা দেখতে হবে।
  • জমি যদি অন্য কোন হস্তান্তর দলিলের দ্বারা পান তবে সেই দলিল দেখতে হবে। এবং সেই দলিলে কোন বিধি নিষেধ বা বাধা আছে কিনা দেখতে হবে।
  • জমির খাজনা ও ট্যাক্স পরিশোধ আছে কিনা দেখতে হবে।
  • জমির প্ল্যান পূবক্ত দলিলে আছে কিনা বা জমির সীমানা নির্দিস্ট করা আছে কিনা বা শরিক গনের সঙ্গে বণ্টন সংক্রান্ত কোন গোলযোগ আছে কিনা।
  • জমিটি অন্য কাউকে লীজ বা ভাড়া দেওয়া আছে কিনা।
  • জমি অন্তত 30 বছর তল্লাশি করে দেখা যে কোন হস্তান্তর হয়েছে কিনা।
  • জমিটি সরকারি অধিগ্রহণ হয়েছে কিনা।
  • জমিটি কোন প্রতিষ্ঠানে বন্ধক রাখা আছে কিনা।
  • জমিতে কোন সিভিল কেস চলছে কিনা।
  • জমিটির দখলে কারা আছে।
  • মৌজা ম্যাপ অনুসারে দেখতে হবে যে জমিটি দেখানো হচ্ছে আর যে কাগজ দেওয়া হচ্ছে সেটি সঠিক কিনা। এবং অবস্থান গত জমিটি কাগজের সঙ্গে ঠিক আছে কিনা।
  • বিক্রেতার ভোটার কার্ডের ফটো কপি।
  • জমিতে কাগজে যে শ্রেণীর উল্লেখ আছে বাস্তবে তাই আছে কিনা। হয়তো রেকর্ড আছে পুকুর এবং বাস্তবে ভরাট হয়ে বাড়ি হয়েছে, কেনার পর বিপদে পড়বেন।
  • জমিতে বাড়ি থাকলে তার অনুমোদিত প্ল্যান আছে কিনা।

উপরোক্ত বিষয় গুলো দেখে জমি কিনবেন। তাহলে কোনো ঝামেলায় পড়বেন না।

গাঁটে ব্যথা কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

সাধারণত বয়স্ক দেড় গাঁটে ব্যথা বেশি হয়। এছাড়া রিউমাটয়েড আর্থাইটিস বা রিউমেটিক ফিভার  এর কারণেও গাঁটে ব্যথা হতে পারে।  এক্ষেত্রে প্রথমেই রক্তে ইউরিক অ্যাসিড এর পরিমান পরীক্ষা করতে হবে। রক্তে ইউরিক অ্যাসিড এর পরিমান বেশি হলে কিছু খাবার যেমন পুঁইশাক (পিচ্ছিল যে কোনো সবজি বা শাক), ডাল বর্জন করতে হবে। এ ধরণের রোগের প্রতিকারের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

টনসিলাইটিস কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

আমাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় লিমফ নোড বা লসিকা গ্রন্থি থাকে। গলার দুপাশের লসিকা গ্রন্থির প্রদাহ কে টনসিলাইটিস বলে। ঠান্ডা বা ভাইরাস জনিত জ্বর বা  একটি বিশেষ ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের কারণেও কারণে টনসিলাইটিস হতে পারে। টনসিলাইটিস হলে গ্রন্থি ফুলে যায়, লাল হয়ে যায়, ব্যথা হয় ও খাবার খেতে অসুবিধা হয়। সাধারণ টনসিলাইটিস ৩-৪ দিনের মধ্যে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে বছরে যদি ৩-৪ বা তার অধিক বার টনসিলাইটিস ও সাথে জ্বর হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তার এর শরণাপন্ন হতে হবে।

সবার জন্য শুভকামনা।

কাশি কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

কাশি দুই ধরণের: শুকনা ও কফ যুক্ত। সাধারণত ঠান্ডা, এলার্জির কারণে শুকনা কাশি হতে পারে। কুসুম গরম পানিতে লবন মিশিয়ে গড়গড়া করলে ব্যথা প্রশমন হয়। ভেষজ চা এ ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। আন্টি হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খেলে কাশি ভালো হয়।  শুস্ক কাশি এক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখতে হবে। কাশির সাথে কফ বা রক্ত আসলে বা জ্বর হলে বুঝতে হবে ফুসফুসে বা গলায়  সংক্রমণ হয়েছে তাই ডাক্তার দেখতে হবে।  মনে রাখতে হবে কাশি অনেক রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়। তাই এক্ষেত্রে অবহেলা করা অনুচিত

গলা ব্যথা কেন হয়? এর প্রতিকার কি?

ঠান্ডা জনিত কারণে, এলার্জি, টন্সিল ইত্যাদির কারণে গলা ব্যথা হতে পারে। এছাড়া দাঁতে ইনফেকশন হলেও গলা ব্যথা হতে পারে। সাধারণত শীতকালে গলা ব্যথার প্রকোপ বেশি দেখা যায়। কুসুম গরম পানিতে লবন মিশিয়ে গড়গড়া করলে ব্যথা প্রশমন হয়। ভেষজ চা এ ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে।  ভোর সকালে বা সন্ধ্যার পরে হাটতে বা জগিং এ বের হলে মাফলার বা monkey ক্যাপ পড়লে ঠান্ডা প্রতিরোধ করা যায়। গলায় ইনফেকশন বা টন্সিল এর সমস্যা হলে ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।  সবার জন্য শুভকামনা।

ভালো ব্যবসা করার জন্য কিভাবে কাস্টমারের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলবো ?

  • ভালো ব্যবসা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই এবং সবসময় কাস্টমারের সুবিধার কথা চিন্তা করতে হবে।
  • কাস্টমারের বিশ্বাস অর্জন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই মানসম্মত প্রোডাক্ট বাজারে দিতে হবে।
  • প্রোডাক্ট এর ব্যাপারে কাস্টমারের কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করতে হবে।
  • প্রোডাক্ট এর মান উন্নয়ন করার জন্য সবসময় চেষ্টা করুন।
  • প্রোডাক্ট এর ব্যাপারে কাস্টমার কে জানানোর জন্য মার্কেটিং করুন। যাতে কাস্টমার খুব সহজে আপনার প্রোডাক্ট এর ব্যাপারে জানতে পারে।

ভাল স্ত্রী কিভাবে হওয়া যায় ?

একজন ভালো স্ত্রী হওয়ার জন্য আমার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু উপায় বলে দিলাম। যা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

  • ত্যাগ শিকার করতে শিখুন।
  • সংসারের প্রতি যত্নশীল হউন।
  • স্বামীকে প্রচুর পরিমানে ভালোবাসুন।
  • নিজের শশুর-শাশুড়ির সাথে ভালো ব্যবহার করুন।
  • স্বামীর ইনকামের উপর খুশি থাকুন।
  • কখনোই বেশী আশা করবেন না।
  • উচ্চভিলাষী চিন্তা ভাবনা ত্যাগ করুন।
  • সংসারে অভাব থাকলে নিজে আয় করার চেষ্টা করুন।
  • অর্থ জমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ভাল স্বামী কিভাবে হওয়া যায় ?

মনোবিদরা ভালো স্বামী হওয়ার জন্য কিছু উপায় বলে দিয়েছেন। যা নিম্নে তুলে ধরা হয়েছে-

  • স্ত্রীকে ভালোবাসুন। তাকে বোঝার চেষ্টা করুন।
  • স্ত্রীর প্রতি যত্নবান হউন। তার শারীরিক ও মানসিক ব্যাপারে খেয়াল রাখুন।
  • স্ত্রীর সাথে শিশু সুলভ আচরণ করবেন না।
  • স্ত্রীকে বিশ্বাস করুন। অযথা কোনো বিষয়ে সন্ধেও করবে না।
  • স্ত্রীর সাথে রোমান্টিক হন। এবং স্ত্রীকে বন্ধু বানান।

কি করলে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকে ?

  • দুজন দুজনের প্রশংসা করুন।
  • দুজন দুজনের সাথে কখনো মিথ্যা বলবেন না। প্রয়োজনে কথা গোপন করুন কিন্তু মিথ্যা বলবেন না।
  • দুজন দুজনকে সম্মান করতে শিখুন। সাথে একে অপরের পরিবার কে সম্মান করুন।
  • কখনো দুজন দুজনের দুর্বল বিষয় বা দোষ নিয়ে উপহাস করবেন না। বরং ধীরে ধীরে ঠান্ডা মাথায় তার দুর্বলতা বা দোষ গুলো তুলে ধরুন এবং তা শুধরানোর উপায় বলুন।
  • দুজন দুজনের সামনে হাসি মুখে থাকার চেষ্টা করুন।
  • একে ওপরের চিন্তা-ভাবনার উপর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করবেন না। বরং একে অপরকে বুঝার চেষ্টা করুন।

আমার কাছে যতটুকু ভালো মনে হলো ততটুকু আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। আমি মনে করি এই বিষয় গুলো মেনে চললে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সব সময় ভালো থাকবে।