নাকের পলিপ

নাকের পলিপ কি ও এর প্রতিকার


নাকের ভিতর লাল, নরম, ব্যথাহীন মাংস কে পলিপ বলে। যাদের সাইনোসাইটিস, এজমা, বা এলার্জি থাকে তাদের এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। গরম ভাপ নেয়া, এলার্জি হয় এমন খাবার বাদ দেয়া, এজমার চিকিৎসা ইত্যাদির মাধ্যমে ভালো থাকা যায়। ছোট অপারেশন এর মাধ্যমে এ থেকে নিরাময় পাওয়া যায়।

সবার জন্য শুভকামনা।

পিরিয়ড এর সময় ব্যথা

পিরিয়ড এর সময় ব্যথা কেন হয় ও প্রতিকার কি?


পিরিয়ড বা মাসিক এর সময় সব মহিলাদেরই কম বেশি ব্যথা হয়ে থাকে। তল পেটে গরম সেঁক, কুসুম গরম পানিতে গোসল, তল পেটে মালিশ করলে ব্যথা কমতে পারে। এ ছাড়াও ভিটামিন বি-৬, বি-১, ই এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। নিয়মিত শরীর চর্চা করলেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। বিভিন্ন অসুখের কারণেও মাসিক এর সময় ব্যথা হতে পারে। তাই ডাক্তার এর পরামর্শ গ্রহণ এর মাধ্যমে এ থেকে পরিত্রান পাওয়া যেতে পারে।

সবার জন্য শুভকামনা।

এন্টিবায়োটিক

এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার বিধিমালা কি ?


এন্টিবায়োটিক এর অপব্যবহার আমাদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেকে আনবে। নিজ ইচ্ছায় বা ফার্মাসির সেলস ম্যান এর পরামর্শে কখনো এন্টিবায়োটিক সেবন উচিত নয়। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শে এন্টিবায়োটিক সেবন করলে অবশ্যই পুরো কোর্স ঔষধ খেতে হবে। ঔষধ সেবনের এক পর্যায়ে ভালো বোধ করলেও বাকি ঔষধ সেবন শেষ করতে হবে। পুরো কোর্স ঔষধ সেবন না করলে শরীরে এন্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স তৈরী হয় যার ফলে পরবর্তী কালে এন্টিবায়োটিক কাজ নাও করতে পারে।

সবার জন্য শুভকামনা।

মহিলাদের পা ও কোমরে ব্যথা

মহিলাদের পা ও কোমরে ব্যথা কেন হয় ও তার প্রতিকার কি ?

প্রাপ্ত বয়স্ক ও বয়স্ক মহিলাদের কোমর ও পায়ে ব্যথার প্রধান কারণ কেলসিয়াম এর ঘাটতি। ভিটামিন ডি এর সল্পতার জন্য ও এ সমস্যা হতে পারে। ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী ক্যালসিয়াম এর ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। রক্তে ভিটামিন ডি পরিমাপ করে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল ও খাওয়া যেতে পারে। তবে এ সমস্যা সমাধানের জন্য ছোটবেলা থেকে সতর্ক থাকা জরুরি। প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ মিনিট শরীরে সকালের রোদ লাগানো, প্রতিদিন ১ গ্লাস দুধ খাওয়া (যাদের দুধ খেতে অসুবিধা হয় তারা দই বা পনির খেতে পারেন) গেলে ভবিষ্যতে এ সমস্যা থেকে অনেকাংশে দূরে থাকা সম্ভব।

সবার জন্য শুভকামনা।

ছুলি বা সৌদ

ছুলি বা সৌদ (চর্ম রোগ ) এর কারণ ও প্রতিকার


শরীরের বিভিন্ন স্থানে সাদা ফোটা ফোটা বা ছোপ ছোপ দাগ কে অনেকে ছুলি বা সৌদ বলে। এটি আমাদের দেশে একটি সাধারণ চর্ম রোগ যা যে কোনো বয়সেই হতে পারে। এর কারণ এক বিশেষ ধরণের ছত্রাক এর সংক্রমণ। সাধারণত ঘাম এর কারণে বা ঘর্মাক্ত ও অপরিষ্কার কাপড় দীর্ঘ সময় পরে থাকার কারণে এটি হতে পারে। অপরিস্কার ও সেঁতসেঁতে পরিবেশে বাস করার জন্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার জন্য ও এ রোগ হতে পারে।

এটি কোনো কঠিন রোগ নয়। চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী গোসল এর সময় কিটোকোনাজেল সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহারে এ রোগের প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে। এ রোগ হতে প্রতিকারের জন্য নিয়মিত গোসল করা, আলো বাতাস পূর্ণ পরিবেশে বাস করা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি।

পুরুষ লিঙ্গের শক্তি কম

আমার পুরুষ লিঙ্গের শক্তি কম। এখন কি করতে পারি ?

আমি নতুন বিয়ে করেছি। আমার মনে হচ্ছে আমার আমার পুরুষ লিঙ্গের শক্তি কম। এখন কি করতে পারি। আমার সোনা দাড়ায় কিন্তু তা অত শক্ত হয় না। আমাকে একটা উপায় বলে দিন।
প্রথমত আপনি অপনার সঙ্গীর সাথে সময় কাটান। যৌণ সুধা জাগ্রত করুন। যৌণ সুধা যত বেশি হয় লিঙ্গ তত বড় ও শক্ত হয়। তারপরেও কাজ না হলে আপনি vigorex 100 খেতে পারেন। বিছানায় যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে vigorex 100 খাবেন। তবে আপনি প্রেসার এর রুগী হলে এই ট্যাবলেট খাবেন না। সর্বোপরি আপনি একজন ডক্টর এর পরামর্শ নিতে পারেন।

হঠাৎ ঝাপসা দেখা

হঠাৎ চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হলে করণীয় কি?
নিম্নলিখিত কারণে একজন হঠাৎ চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন :

১। উচ্চ রক্তচাপ
২। রক্তে চিনির পরিমান কম
৩। অতিরিক্ত গরমের কারণে প্রচুর ঘামা

এ অবস্থায় পায়ের নিচে বালিশ রেখে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিতে হবে। এরপর নিকটস্থ ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী কারণ নির্ণয়ের মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

হার্নিয়া

হার্নিয়া কেন হয় ?

শরীরের ভিতরের অংশ যেমন অন্ত্র যদি চাপ সৃষ্টি করে ও বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় তবে তা চামড়ায় ফুলে উঠে ও বাহির থেকে বোঝা যায়। এটি হার্নিয়া। শরীরের গঠনগত কারণে বা অপারেশন এর কারণে শরীরের ভিতরের পেশী দুর্বল হলে হার্নিয়া হতে পারে। এ সময় ফলের জায়গা লাল হয়ে যায় বা কালো হয়ে যায় ও হাঁটাচলার সময় অসুবিধা হয়। এ ধরণের লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে।  সুষম খাবার, আঁশযুক্ত ফল ও খাবার, নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে হার্নিয়া প্রতিরোধ করা যায়। ভারী জিনিস বা ওজন উত্তোলনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যাদের কোষ্টকাঠিন্য আছে তারা এটি নিরাময়ের জন্য নিদৃষ্ট খাবার খেতে হবে।  

সবার জন্য শুভকামনা।

জন্ডিস এর লক্ষণ

জন্ডিস এর লক্ষণ প্রতিকার কি ?

শরীর বিলোরুবিন এর পরিমান বেড়ে গেলে জন্ডিস হয়। এ সময় শরীরের চামড়া ও চোখ হলুদ বর্ণ ধারণ করে। ক্ষুধা মন্দা, বমি ভাব, দুর্বলতা, পস্রাব এর রং হলুদ ইত্যাদি জন্ডিস এর লক্ষণ। দৈনিক ৭-৮ গ্লাস পানি, পরিমিত দুধ, আঁশ জাতীয় খাদ্য, রঙিন ফল যেমন আম, কমলা, পেঁপে, সবজি ইত্যাদি নিয়মিত খেলে জন্ডিস থেকে দূরে থাকা যায়। এ রোগ হলে ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

সবার জন্য শুভকামনা।

পিত্তথলির পাথর

পিত্তথলির পাথর এর লক্ষণ প্রতিকার কি ?

 খাবার এর পর বিশেষ করে তেল জাতীয় খাবার খাওয়ার পর পেটে বা বুকের মাঝখানে তীব্র ব্যথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি এর অন্যতম লক্ষণ। প্রতিরোধের জন্য ভালো চর্বি যেমন সামুদ্রিক মাছ, অলিভ অয়েল খেতে হবে ও খারাপ চর্বি যেমন ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। আঁশ জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে, শর্করা ও চিনি বাদ দিতে হবে। আলট্রা সোনোগ্রাম এর মাদ্ধমে পিত্তথলির পাথর সম্পর্কে নিশ্চিত হাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে।

সবার জন্য শুভকামনা।