প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁও সমন্ধে আলোচনা এবং কিভাবে যেতে হয় ?

নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মোগড়াপাড়া ক্রসিং থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার উত্তরে সোনারগাঁও অবস্থিত। ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষভাগে হিন্দু আমলে এই রাজধানী গড়ে উঠেছে বলে ধারণা করা হয়। বর্তমানে অনুপম স্থাপত্যশৈলীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য়ের নান্দনিক ও নৈসর্গিক পরিবেশে ঘেরা বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁও। সোনারগাঁও-এর আরেকটি নাম ছিল পানাম। পানাম নগরের উভয় পাশে মোট ৫২টি পুরোনো বাড়ী এই ক্ষুদ্র নগরীর মূল আকর্ষণ। এই ভবন গুলো ছোট লাল ইট দ্বারা তৈরী, তাছাড়া ভবন গুলো কোথাও বিচ্ছিন্ন, আবার কোথাও সন্নিহিত।

পানাম শহরের ঠাকুরবাড়ি ভবন ও ঈশা খাঁ’র তোরণকে একত্রে নিয়ে মোট প্রায় ১৬ হেক্টর জমির মধ্যে লোকশিল্প ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন গড়ে উঠেছে। এখানে একটি লোকজ মঞ্চ, একটি জাদুঘর, সেমিনার কক্ষ ও কারুশিল্প গ্রাম রয়েছে। প্রতি শুক্রবার থেকে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্য়ন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে।

আপনি যদি সোনারগাঁও যেতে চান, তাহলে আপনি গুলিস্তান অথবা যাত্রাবাড়ী থেকে বাস পাবেন। এই বাসের মাধ্যমে আপনি মোরগাপাড়া বাস স্ট্যান্ডে নামবেন সেখান থেকে আপনি সিএনজি অথবা রিক্সার মাধ্যমে পানাম নগর বা সোনারগাঁও যেতে পারবেন।

পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে আহসান মঞ্জিলের গুরুত্ব কেমন ?

আহসান মঞ্জিল ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে কুমারটুলি এলাকায় (সদরঘাট থেকে মাত্র ১০ মিনিটে হেটে যাওয়া যায়)। মুঘল আমলে আহসান মঞ্জিল জামালপুর পরগণার জমিদার শেখ এনায়েতউল্লাহ্’র রঙমহল হিসেবে পরিচিত ছিল। পরে তাঁর পুত্র মতিউল্লাহ্’র নিকট থেকে ফরাসিরা ক্রয় করে  বাণিজ্য কুঠিতে স্থাপন করে। ১৮৩০ সালে খাজা আলীমুল্লাহ্ ফরাসিদের নিকট থেকে কুঠিবাড়িটি কিনে নেন এবং নিজের আবাস স্থল হিসেবে গড়ে তুলে। এ বাসভবনকে কেন্দ্র করে খাজা আব্দুল গণি একটি ইউরোপীয় নির্মাণ ও প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠান মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানী নামক  দিয়ে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরী করান যার প্রধান ইমারত ছিল আহসান মঞ্জিল। বর্তমানে আমরা আহসান মঞ্জিলের যেই স্থাপত্য শিল্প দেখি, তার নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৮৫৯ সালে এবং ১৮৭২ সালে সমাপ্ত হয়।

ঢাকার প্রাণকেন্দ্র সদরঘাট থেকে মাত্র ১০ মিনিট লাগে আহসান মঞ্জিল যেতে।আপনি সদরঘাট এসে পায়ে হেটে অথবা রিকশা নিয়ে আহসান মঞ্জিল যেতে পারবেন

বর্তমানে প্রতিদিন ৮০০-৯০০ পর্যটক আসে আহসান মঞ্জিল এবং আহসান মঞ্জিলের ব্যবহার্য জিনিস-পত্র দেখতে।প্রতি বৃহস্পতিবার পর্যটকদের জন্য আহসান মঞ্জিল বন্ধ থাকে।

ভ্রমণের জন্য লালবাগ কেল্লা কেমন ?

মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাস নিয়ে ঢাকার লালবাগে দাঁড়িয়ে আছে লালবাগ কেল্লা। ১৬৮০ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় কিন্তু ১৯৮৪ সালে কাজ অসম্পূর্ণ রেখে বন্ধ করা হয়। সময়ের সাক্ষী হয়ে প্রশস্ত এলাকা নিয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে লালবাগ কেল্লা। লালবাগ কেল্লা তে গেলে আপনি দেখতে পারবেন দরবার হল ও হাম্মাম খানা, পরীবিবির সমাধি এবং উত্তর পশ্চিমাংশের শাহী মসজিদ।

বর্তমানে রবিবার পূর্ণ দিবস এবং সোমবার অর্ধ দিবস বন্ধ থাকে। এছাড়া, সপ্তাহের বাকি দিন গুলি পযর্টকদের জন্য খোলা থাকে। লালবাগ কেল্লা ঢাকায় অবস্থিত, তাই আপনি চাইলে খুব সহজেই আস্তে পারবেন।

পিরোজপুরের বিখ্যাত জায়গা কোনটি এবং কিভাবে যাওয়া যায় ?

বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার আটঘর কুরিয়ানা বাজার বাংলাদেশে খুবই বিখ্যাত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পেয়ারার ভাসমান বাজার,যা আটঘর কুরিয়ানা ইউনিয়নে অবস্থিত। স্বরূপকাঠি বাজারের পাশ থেকে বয়ে যাওয়া সন্ধ্যা নদী থেকে যে খালের উৎপত্তি, সেই খালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ভাসমান বাজার। এই ভাসমান বাজার কুরিয়ানা খাল থেকে শুরু হয়ে আটঘর পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে এই ইউনিয়নে আরও কিছু ভাসমান বাজার রয়েছে যেমন ভদ্রংকা, জিন্দাকাঠি, আদাবাড়ি, আদমকাঠি, ব্রাহ্মণকাঠি, ধলহার ইত্যাদি। এই ভাসমান বাজারটি দেখার উপযুক্ত সময় জুন থেকে সেপ্টেম্বর।

তো চলুন ঘুরে আসি এই ভাসমান পেয়ারার বাজার।

এই ভাসমান পেয়ারা বাজারে যেতে হলে আপনাকে বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে প্রথমে বরিশাল সদরে আসতে হবে, এখান থেকে আপনি দুইভাবে আটঘর কুরিয়ানার এই ভাসমান পেয়ারা বাজারে আসতে পারবেন।

প্রথমত: নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস বা অটোরিকশায়, আপনাকে বানারীপাড়ার রায়ের হাট বাসস্টপে নামতে হবে। সেখান থেকে ইজিবাইক, রিকশা বা মোটরবাইকে করে ১৫ মিনিটে কুরিয়ানার এই ভাসমান বাজারে পৌঁছানো যায়।

দ্বিতীয়তঃ আপনি বরিশাল শহরের বটতলা মোড়ে আসবেন এবং সেখান থেকে লেগুনা/ছোট গাড়ি নিয়ে আটঘর কুরিয়ানার ভাসমান বাজারে যাবেন। ভাসমান পেয়ারার বাজার এসব আটঘর থেকে কুড়িয়ানা পর্যন্ত বিস্তৃত।

এছাড়াও, আপনি ঢাকা থেকে বাসে বা লঞ্চে সরাসরি স্বরূপকাঠি উপজেলায় আসতে পারেন, ঢাকার গাবতলী থেকে স্বরূপকাঠির জন্য সকাল ও রাতের বাস পাওয়া যায়। ঢাকার সদরঘাট থেকে স্বরূপকাঠি ও বরিশালের লঞ্চ পাওয়া যায়। স্বরূপকাঠি পৌঁছানোর পর রিকশা বা ইজি বাইকে করে সহজেই এই আটঘর কুরিয়ানা ভাসমান পেয়ারা বাজারে পৌঁছানো যায়। এছাড়াও আপনি পিরোজপুর জেলা সদর থেকে স্বরূপকাঠি উপজেলায় একটি বাসে যেতে পারেন, যেখান থেকে আপনি ইজিবাইক বা রিকশায় আটঘর কুরিয়ানা পৌঁছাতে পারেন।

সিজারিয়ান মায়েদের যত্ন

সিজারিয়ান মায়েদের যত্ন কিভাবে নিবো ?

অপারেশন এর পর অনেক মায়ের তীব্র মাথা ব্যথা ও বমি হয়, এ সময় প্রচুর তরল খাবার যেমন পানি, সুপ্, ফলের রস খেতে হবে। মায়েরা ভারী কোনো বস্তু উঠানো বা নামানোর কাজ করবেননা। অপারেশন এর জায়গায় ঘা, লাল হয়ে যাওয়া, ব্যথা বা অন্য কোনো সমস্যা হলে দূরত্ব ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে। অপারেশন এর প্রথম ৬ মাস ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী বিশেষ বেল্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।

সবার জন্য শুভকামনা।

মায়েদের স্তনের যত্ন

মায়েদের স্তনের যত্ন কিভাবে নিবো  ?

শিশুকে পূর্ণ দুই বছর পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে তাই এ সময় মায়েদের স্তনের যত্ন জরুরি। প্রতিবার স্তনপান করানোর আগে ও পরে এক গ্লাস পানি খেতে হবে। স্তনপান করানোর আগে একটি পাতলা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে স্তন মুছে নিতে হবে। তরল খাদ্য বেশি খেতে হবে। অনেক সময় স্তন লাল হয়ে ফুলে যায়, সেক্ষেত্রে হালকা গরম সেক দিতে হবে।  এ সময় জ্বর বা অন্য সমস্যা হলে ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে।

সবার জন্য শুভকামনা।

জন্মের পর মায়েদের যত্ন

জন্মের পর মায়েদের যত্ন কিভাবে নিবো  ?

গর্ভকালীন ও গর্ভপরবর্তী সময়গুলো মায়েদের অনেক শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাই পরিবারের প্রতিটি সদস্য মায়ের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। গর্ভদান পরবর্তী ৬ মাস কোনো ভারী কাজ করা যাবেনা, পুষ্টিকর খাওয়া খেতে হবে। এ সময় কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবন মিশ্রিত করে একটি বোরো পাত্রে ‘হিপ বাথ’ নিতে হবে। এ সময় মানসিক দুশ্চিন্তা গ্রস্ত থাকা যাবেনা এবং পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।

সবার জন্য শুভকামনা।

জন্মের পর শিশুর যত্ন কিভাবে নিবো

জন্মের পর কিছুতেই শিশুর মুখে মধু দেয়া যাবেনা। বরং মায়ের বুকের শাল দুধ খাওয়াতে হবে। শাল দুধ শিশুর রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। জন্মের পর অবশ্যই শিশুকে মায়ের সংস্পর্শে রাখতে হবে। তার নাড়াচাড়া, চিৎকার, কান্নাকাটি, শাষ প্রশ্বাস ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে। জন্মের পর অনেক শিশুর জন্ডিস দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালের রোদ তার গায়ে ১৫-২০ মিনিট লাগাতে হবে। জন্মের পর প্রথম ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু খাওয়ানো যাবেনা।

সকল মা ও তাদের সোনামনিদের জন্য শুভকামনা।  

হবিগঞ্জ জেলার কিছু দর্শনীয় স্থান

নিম্নে হবিগঞ্জের কিছু দর্শনীয় স্থানের নাম দেওয়া হলো:

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান: ২০০৫ সালে প্রায় ২৪৩ হেক্টর জায়গা নিয়ে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় রঘুনন্দন পাহাড়ে এই উদ্যানটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

দ্যা প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট : হবিগন্জ জেলার বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী পাহাড়ে ৫ ষ্টার মানের দ্যা প্যালেস রিসোর্ট অবস্থিত।

রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য : হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থিত।

গ্রীনল্যান্ড পার্ক : হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার রানীগাঁও গ্রামে অবস্থিত।

হবিগঞ্জ জেলা সমন্ধে আরো জানতে চাইলে আপনি ইউটিউব অথবা গুগলের সাহায্য নিতে পারেন।

সুনামগঞ্জ জেলার কিছু দর্শনীয় স্থানের নাম

নিম্নে সুনামগঞ্জের কিছু দর্শনীয় স্থানের নাম দেওয়া হলো:

নীলাদ্রি লেইক : বাংলাদেশের কাশ্মীর নামে পরিচিত। সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের টেকেরঘাট নামক গ্রামে নীলাদ্রি লেইকের অবস্থান। নীলাদ্রি লেইক মূলত চুনাপাথরের পরিত্যাক্ত খনির লেইক।

বারেক টিলা : সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত।

যাদুকাটা নদী : সুনামগঞ্জ জেলায় বাংলাদেশ ভারতের উত্তর পূর্ব সীমান্তের কোল ঘেষে বয়ে চলেছে।

শিমুল বাগান : সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার মানিগাঁও গ্রামে প্রায় ১০০ বিঘারও বেশি জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই শিমুল গাছের বাগান।

টাঙ্গুয়ার হাওড় : এই হাওরের কথা সবাই কম বেশি জানে। প্রতি বছর অনেক মানুষ ঘুরতে আসে এই হাওরে। সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত দেশের ২য় বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি।

সুনামগঞ্জ জেলা সমন্ধে আরো জানতে চাইলে আপনি ইউটিউব অথবা গুগলের সাহায্য নিতে পারেন।