কি বলে যেকোনো মেয়ে কে ইমপ্রেস করা যায় ?

যেকোনো মেয়েকে ইমপ্রেস করা কিন্তু সহজ বিষয় নয়. কারণ, বিভিন্ন মেয়ের পছন্দ বিভিন্ন রকম হয়। কিন্তু কিছু কথা আছে যা কৌশল অবলম্বন করে বললে যে কোনো মেয়ে কম বেশি ইমপ্রেস হয়। যেসব কথা বলে মেয়েদের ইমপ্রেস করা যায়, তা নিম্নে দেওয়া হলো-

  • মেয়েদের রূপের প্রশংসা করবেন। কারণ, মেয়েরা এই প্রশংসা বেশি পছন্দ করে।
  • তার পছন্দের বিষয়ে আপনার পজিটিভ মতামত প্রকাশ করুন।
  • তার ভালো গুণাবলী নিয়ে আলোচনা করুন।

মেয়েরা সাধারণত নিজেদের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে. তাই যত পারুন প্রশংসা করুন। তাহলে যে কোনো মেয়ে আপনার প্রতি ইমপ্রেস হবে।

ভালোবাসা কি ?

ভালোবাসা হচ্ছে একটা অনুভূতির নাম, যা বিভিন্ন সময়ে কারণে বা অকারণে কমে আবার বাড়ে।ভালোবাসার কারণেই আমরা ভালো কাজে উৎসাহ পাই। ভালোবাসা অনুভূতিটা এক কিন্তু এটা মানুষ ভেদে বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ পায়। যেমনঃ বাবা-মা কে ভালোবাসা আবার ভাই-বোন কে ভালোবাসা। ভালোবাসা একজনের প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে, আর অন্যের প্রতি স্নেহের মাধ্যমে।

আমি যাকে ভালোবাসি, সে যদি অন্য কাউকে ভালোবাসে ?

বর্তমানে প্রেম ভালোবাসার মধ্যে এই সমস্যা প্রকট ভাবে বেড়ে গেছে। যার ফলে এখন বিচ্ছেদ হয় অনেক বেশী। কিন্তু এমন সমস্যায় পড়লে কিছু নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করবেন।নিম্নে নিয়ম গুলো তুলে ধরা হলো-

প্রথমত, তাকে ইগনোর করুন।

দ্বিতীয়ত, বাস্তবতা মেনে নিন।

তৃতীয়ত, নিজেকে ব্যস্ততার মাঝে রাখুন।

সবসময় মনে রাখবেন, জোর করে কখনো ভালোবাসা পাওয়া যায় না, আবার ভালোবাসা পেলেও দীর্ঘস্থায়ী হয়না সেটা।

কীভাবে বুঝবেন যে মেয়ে আপনার প্রেমে পড়েছে ?

কথায় আছে মেয়েদের বুক ফাটে তো মুখ ফুটে না, তাই মেয়েরা প্রেম ভালোবাসা প্রকাশ করে না। কিন্তু কিছু লক্ষণ দেখে বুঝা যাই যে মেয়েটি আপনার প্রেমে পড়েছে। নিম্নে লক্ষন গুলো তুলে ধরা হলো-

  • আপনি কিছু একটা করলে মেয়েটি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়বে।
  • আপনার সাথে ঘুরতে যাওয়া বা কথা বলার সুযোগ কখনো হাতছাড়া করবে না।
  • যে কোনো সমস্যার কথা সবার আগে মেয়েটি আপনাকে বলার চেষ্টা করে।
  • আপনি ফোন রিসিভ করতে বা ম্যাসেজ এর রিপ্লাই করতে দেরি করলে মেয়েটি যদি অস্থির হয়ে যায়।
  • মেয়েটি কেমন স্বামী/জীবনসঙ্গী চায় সেই বিষয়গুলো যদি সবসময় আপনাকে বলে।
  • অন্য মেয়ের সাথে আপনার সখ্যতা সহ্য করতে পারে না।
  • আপনি খুব কষ্টে থাকলে বা অনেক আনন্দে  থাকলে মেয়েটি বুঝতে পারে।
  • মেয়েটি আপনার সম্বন্ধে সবই জানে।

উপরোক্ত লক্ষণগুলো যদি কোনো মেয়ের মধ্যে থাকে তাহলে বুঝে নিবেন যে মেয়ে আপনার প্রেমে পড়েছে।

ভালোবাসার মানুষ কে কীভাবে নিজের করে পাবো ?

মানুষ যখন ভালোবাসায় জড়িয়ে যায়, তখন সে ভালোবাসার মানুষ কে কাছে পেতে চায়। কিন্তু নিজের কিছু একান্ত ভুলে, মানুষের ইছা তা পূরণ হয় না। তাই নিম্নে যে বিষয় গুলো রয়েছে, সেগুলো অনুসরণ করার চেষ্টা করুন। যাতে আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষ কে নিজের করে পান।

  • বদ অভ্যাস গুলো ত্যাগ করুন।
  • নিজেকে গুছিয়ে রাখুন।
  • ভালোবাসার মানুষের ব্যাপারে জানার চেষ্টা করুন।
  • পছন্দের মানুষ যদি ভালো মানুষ হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভালো মানুষ হতে হবে।
  • নিজেকে সমাজে গড়ে তুলুন।

উপরোক্ত বিষয় গুলো অনুসরন করবেন এবং আপনার ভালোবাসার মানুষ যেই কাজ গুলো পছন্দ করে সেই কাজ গুলো করবেন।

কী কী কাজ করলে ভালোবাসার মানুষটি সবসময় আমার কথা চিন্তা করবে ?

কি কি কাজ করলে আপনার মনের মানুষ সবসময় আপনার কথা চিন্তা করবে, সে বিষয় নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো-

  • ভালোবাসার মানুষটিকে কথা গুরুত্ব সহকারে শুনুনসম্মান করুন ও সম্মান করুন ।
  • ভালোবাসার মানুষটির সাথে সুখময় স্মৃতি তৈরি করুন। যেমন, কোথাও ঘুরতে যাওয়া কিংবা রোমাঞ্চকর কোন স্মৃতি।
  • বিভিন্ন উপলক্ষে উপহার দিতে ভুলবেন না ।অন্তত উপহারগুলো ব্যবহার করতে গিয়ে হলেও আপনার কথা তার ঠিকই মনে পড়বে।

উপরোক্ত কাজ গুলো ছাড়াও আরো কিছু কৌশল আছে যা দ্বারা ভালোবাসার মানুষটি সবসময় আপনার কথা চিন্তা করবে।

কীভাবে ভালোবাসা শেষ হয়ে যায়?

প্রেমের শুরুতে ছেলেটি বা মেয়েটি তার প্রিয়জনের চোখে সুদর্শন হওয়ার জন্য ফিটফাট থাকে।সুন্দর করে সাজা, সুন্দর জামাকাপড় পরা, শরীরের যত্ন নেয়া, ভালবাসি বলা, একে অপরের জন্য সময় বের করা । যেই একবার বিয়ে টা হয়ে গেলো, অমনি এসবে অবহেলা দেখা দেয়।ছেলেটা এখন অগোছালো, মেয়েটাও আর রূপচর্চায় মনোযোগী নয়, নিয়মিত ভালবাসি বলাটা একঘেয়ে মনে হয়।

কিন্তু দুইজনের ভাবখানা এমন যে সে তো শুধু আমার, এখন আর অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বিতার তো কোন সুযোগ নেই।অথচ, মন এমন যে কেউ যদি আপনার প্রিয়জনের চেয়ে একটু বেশি কেয়ার করে, মন সেই কপটতা ধরতে পারে না, এবং কোনো কিছু না ভেবেই তার দিকে ঝুকেঁ পড়ে। ঠিক তখনি ভালবাসায় মরচে ধরে এবং ভালবাসা আস্তে আস্তে শেষ হতে থাকে।

ভালোলাগা আর ভালোবাসার মধ্যে পার্থক্য কি ?

ভালোলাগা আর ভালোবাসার মধ্যে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও এই ২ টি সত্তা একে অপরের পরিপূরক। কারণ, যার প্রতি ভালোবাসা থাকবে তার প্রতি ভালোলাগা থাকতে বাধ্য। কিন্তু যাকে ভালো লাগবে তার প্রতি ভালোবাসা নাও থাকতে পারে।যেমন-

কাউকে দেখে হয়তো ভালো লাগলো, আবার যখন তার থেকে ভালো কাউকে দেখবো তখন আবার তাকে ভালো লেগে যাবে। তাই ভালোলাগাটা হচ্ছে পরিবর্তনশীল। কিন্তু ভালবাসাটা সেইভাবে পরিবর্তনশীল হয়না। কারণ, ভালোবাসা যে কোনো একজনের প্রতি হয়ে থাকে। যা আপনার মনে সারা জীবন থেকে যাবে প্রিয়জনের উপস্থিতি বা অনপুস্থিতিতে।

ভালোবাসা কি শর্তসাপেক্ষ নাকি শর্তনিরপেক্ষ ?

ভালোবাসার রূপ অনেক, এর মধ্যেই আবার ভালোবাসা শর্তসাপেক্ষ অথবা শর্তনিরপেক্ষ। উদাহরণ দিয়া বুজলে আপনারা খুব সহজে বুজতে পারবেন, যেমন- প্রেমিক প্রেমিকার বা স্বামী স্ত্রীর ভালবাসা শর্তসাপেক্ষ। ধরুন প্রেমিক বা প্রেমিকা কিংবা স্বামী বা স্ত্রী অন্য কারো সাথে একান্তে যদি সময় কাটাতে চায়, তাতে দুই জনের মধ্যে কেউ রাজি হবে না।কিন্তু সন্তানের প্রতি পিতামাতার যে ভালবাসা সেটা শর্তনিরপেক্ষ। সন্তান যে অপরাধই করুক না কেন মাতা-পিতা কেবল মাত্র সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেন।

কিভাবে ভালোবাসা টিকিয়ে রাখা যায় ?

স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা যেমন কঠিন ঠিক তেমনি ভালোবাসাও টিকিয়ে রাখাও অনেক কষ্টসাধ্য। তাই কিছু বিষয় এর উপর খেয়াল রেখে জীবন যাপন করলে ভালোবাসা টিকিয়ে রাখা একদম সহজ।নিম্নে বিষয় গুলো তুলে ধরা হলো-

  • পরষ্পরকে সম্মান করা।
  • সন্দেহ না করা এবং পরষ্পরকে বিস্বাস করা।
  • তর্কে না জড়ানো।
  • মেয়েরা সাধারণত আবেগ প্রবণ হয় আর ছেলেরা হয় যুক্তিবাদি, সে জন্য ছেলেদের মেয়েদেরকে যুক্তি দিয়ে ট্রিট না করা।
  • কাজের চেয়ে ভালোবাসার মানুষকে প্রাধান্য দেওয়া, সবসময় কাজের অজুহাত দিয়ে ভালোবাসার মানুষকে এড়িয়ে চলা যাবে না।
  • Sorry বলতে জানা ও মাঝে মাঝে কিছু বিষয়ে নত স্বীকার করা।

আমার মতে উপরোক্ত বিষয় এর উপর পর্যালোচনা করে জীবন যাপন করলে ভালোবাসা সবসময় টিকে থাকে।