উত্তর মহাসাগর বা আর্কটিক মহাসাগর উত্তর গোলার্ধের সুমেরু অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম এবং সর্বাপেক্ষা কম গভীরতম মহাসাগর। এর আয়তন প্রায় ১,৪০,৫৬,০০০ কিমি, যা প্রায় রাশিয়ার সমান। এটি পৃথিবীর পাঁচটি প্রধান মহাসাগরের অন্যতম। ইন্টারন্যাশানাল হাইড্রোগ্রাফিক অর্গানাইজেশন (IHO) তথা আন্তর্জাতিক জললেখচিত্রন সংস্থা এটিকে মহাসাগরের স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে কোনো কোনো সমুদ্রবিদ এটিকে সুমেরু ভূমধ্যসাগর (Arctic Mediterranean Sea) বা সুমেরু সাগর (Arctic Sea) বলে থাকে।
আর্কটিক মহাসাগরের প্রায় সমগ্র অংশই ইউরেশিয়া ও উত্তর আমেরিকা মহাদেশ দ্বারা বেষ্টিত। বছরের বেশিরভাগ সময় এই মহাসাগরের অংশবিশেষ বরফে ঢাকা থাকে। শীতকালে সম্পূর্ণ মহাসাগরটিই বরফে ঢাকা পড়ে যায়, কিন্তু গ্রীষ্মকালে প্রায় ৫০% বরফ গলে যায়। উত্তর মহাসাগরের তাপমাত্রা ও লবণাক্ততা ঋতু অণুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়। সমুদ্রের বরফের আবরণীর গলন ও জমাট বাঁধার কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। পাঁচটি প্রধান মহাসাগরের তুলনায় এই মহাসাগরের জলের লবণাক্ততা কম। এর কারণ,
- বাষ্পীভবনের নিম্ন হার।
- বিভিন্ন বড়ো ও ছোটো নদী থেকে এসে মেশা মিষ্টি জলের প্রবাহ।
- পার্শ্ববর্তী উচ্চ লবণাক্ততাযুক্ত মহাসাগরগুলির সঙ্গে সীমাবদ্ধ সংযোগ থাকায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশানাল স্নো অ্যান্ড আইস ডেটা সেন্টার (NSIDC) উপগ্রহ তথ্যের মাধ্যমে উত্তর মহাসাগরের বরফাবরণী ও বরফ গলনের দৈনিক তথ্য রাখে।