অন্যরকম ভালোবাসা, এক আজব প্রেমের কাহিনি। দুজন মানুষের স্বার্থহীন দৃষ্টিনন্দন প্রেম ও কঠোর বাস্তবতা নিয়ে একটি প্রেম কাহিনী।
PART -1 :
Part -2 :
অন্যরকম ভালোবাসা এর পটভূমি :
ঠাস কের গােল একটা থার মারেলা লাকটা। তার িজভ আমার েনর উপর কামড় িদিল যািক ভােব। এখনও
সই জায়গাটা লেছ।
‘ আহহহহ……’ বেল একটা সুখটােনর গজন করল লাকটা। আমার ন শরীর িভেজ গেছ ঘােমর চেট। জামা পরেত
পরেত লাকটা বেল উঠেলা,
– কত দেবা বল?
– যা রফা হেয়েছ, তাই িদও।
– ওসব রফা টফা জািন না। তার িজসেমর দাম কত, সটা তুই বল। আজ আিম খুব খুিশ হেয়িছ….. যা চাস মুেখ
বেল ফাল।
আিম ফাল ফাল কের চেয় রইলাম। িক বলব বুেঝ উঠেত পারিছ না। এিদেক তলেপেটর বথাটা আবার
হেয়েছ। কােনা উর না পেয় লাকটা বেল উঠল,
— এই ন, এটা তার জন। পের আবার আসেবা।
বেল, এক তাড়া নাট ছুঁেড় িদেয় বিরেয় গল লাকটা। আিম সভােবই পেড় রইলাম িবছানায়। শরীর ভয়ানক া।
গাটা শরীের বথা। ঠাঁেট হাত িদেয় দখলাম, সখান থেকও হালকা র পড়েছ। আসেল আমার খয়াল রাখার তা
কউ নই। তার থেকও বড় কথা হল আমােদর কউ থােক না।
গ :
আিম মর। আমার নামটা খুব চনা আপনার। রাত হেল আমায় খুঁেজ পান িনেজর ঘেরর আেশপােশ। পন চািরনী,
কিবতার ছের মতন। তেব, হাঁ অন লােক চেন আমায় অন নােম।
বাজাির মেয় বেল কথা। বাজাের নাম চােমলী। রাত হেলই আমার ঘেরর দরজা খুেল যায়। সকেল বর হেয় আেস।
কউ শািড়, কউ ছাট পাশাক, কউ আবার রাজকীয় লেহা পেড়। িক, পশা ভয়র িন। টাকা আেছ
অেনক, িক সান নই এতটুও, আর যা আেছ, তা হল ধু এক যনা। তেব স আমায় যনা পেত
দয়িন। পাগেলর মতন ভােলাবাসেতা স আমায়। ক যমন কের এক িমক তার িমকার সে ঘুিমেয় থােক,
ক তমনই। স কােনািদন দূের ঠেলও দয়িন আমােক। আর আমায় মরেতও দয়িন। বারবার বাঁিচেয় রেখেছ।
মেন হয় যন স আমার কত কােছর। িক ওই য, চৗকাঠ, ওটা পেরােলই তার কানা আিম জািননা। আিমও এই
চৗকাঠ ছেড় বেরাইিন কখেনা। বাইেরর জগৎটােক ভয় লােগ। ভীষণ ভয়। ওেদর ভাষায়, ‘ িজসম কা সওদা ‘
করেত পািরনা। তাই আিম হয়ত এখেনা গিনকার পদমযাদা পাইিন। ঘের কউ আেস না। মদ গাঁজা খেয় খের
ডাকেত পািরনা য। আসেল স ওসব ছাই পাঁশ খেত দয় না। স আমায় আগেল রাখেতা। এখেনা রােখ। অেনক দূর
থেক আগেল রােখ। তেব একবার একটা ঘটনা ঘেটিছল। সই ঘটনাটা আমার গাটা জীবনটােক বদেল িদেয় এক
নতুন পেথ িনেয় এেসিছল। হয়ত সটাই িছেলা আমার ভাগ।
মেন পেড় যায় সই দুিদেনর কথা। যিদন থম এেসিছলাম এই লালবািড়েত। চাখ খুলেতই দখেত পাই এক জাড়া
ভয়ানক চাখ। আমােক িঘের রেয়েছ অুত পাশােকর িকছু মেয় আর একটা সাদা ধাঁয়া। কউ হাসেছ, কউ বা
কণা করেছ। িকভােব এেস পেড়িছলাম এখােন, সটা জািন না। ধু এটু মেন আেছ, আিম এখােন থাকেত চাইিন।
পালােত চেয় িছলাম, িক চুেলর মু ধের টেন এেন ফেল িদেয়িছল এই ঘেরই। বগম জন চাখ রািঙেয় বেলিছল
– তার এত বড় সাহস। তােক এখান থেক চেল যেত চেয়িছিল? তােক ক এখান থেক পালােত বেলেছ বল?
– কউ বেলিন! এখােন কান সু মানুষ থােক না। তামরা আমােক জার কের এখােন টেন এেন রেখেছা। আিম
আমার মা বাবার কােছ যাব।
– মা বাবা! ঃ ! ওখােন িগেয় িক করিব? তুই চেল গেল তা ওেদর loss
– কন? আিম চেল গেল ওেদর লস কন?
– বাা! এ মেয়র তা দিখ মুেখ মুেখ খুব চাপা! ওের বাকা মেয়! কম বয়েস ছেল চিরেয় বড়ািস। আর ওিদেক
তার বাবা মা িক কের তার ভাই বােনেদর পড়ানা করাে সটা দখিল না?
– িক বলছ িক তুিম! আিম তা িকছুই বুঝেত পারিছ না!
– হা হা হা… আের ওরাই তা তার সওদা কের গেছ আমার কােছ! টাকা িনেয় যাওয়ার সময় এটা বেল গেছ য, তুই
ওই বািড়েত গেল ওরা তােক জেল ডুিবেয় মারেব।
– িক! এসব িক বলেছা তুিম! আিম তা ধুই সােহবেক ভালেবেসিছলাম। তার শাি িক এই হাড়কাটা গিল?
– তােক এখােন বেচ না িদেল, তার বাবা মােক ঐ ােমর লাকজন িপেয় মের ফলত। শান, তার ভাই
বানেদরেক িনেয় ওেদর বশ চেল যােব। ঘর থেক একটা বশা তা দূর হেলা।
– চুপ, একদম চুপ…. আিম বশা নই। আিম পালােবা, পালােবা আিম এখান থেক, এখান থেক পালােবা…
– এই জায়গা থেক পালািব ? তা পািলেয় যািব কাথায় িন? এই গিলেত য একবার ঢুেক পেড়, স তা আর বর
হেত পাের না সানা। স ছেল হাক বা তার মতন মেয়। ছেলেলা িফের আেস তােদর মতন অরার টােন,
আর তারা থািকস নশার মায়াজােল। তারা হিল এই েরর রাজকনা। বাইের তােদর কউ চেন না। কউ
জােন না। তাই রাজকনার উিচত িনেজর ঘেরই িফের যাওয়া।
সিদন খুব কঁেদিছলাম । তারপর যখন রাত বােড়, তখন ওরা আেস। ওই িনশাচর াণীেলা। তােদর চাখ মুখ
িহং, নখ েলা ভাঁতা, িক আমার িপেঠ সেলার দাগ বশ । অবশ আমায় সবাই িহংেস কের এখােন।
বািকেদর কােছ আিম নািক রাুসী। কারন, আমার পটা নািক এেকবাের লী িতমার মতন। িক, রােতর
বলায় স িতমার মুেখ িমেশ যায় কত অযািচত জর িচ , স খবর আর ক রােখ। আর কারই বা দায় পেড়েছ
স খবর রাখার। তখন থেক, ক তখন থেক িনেজেক মের ফলেত ইে হত। িক বাঁচেতও তা ইে হয়।
আমােক বাঁিচেয় রােখ, আমারই রিঙন েলা।
তেব আমার িখেদ খুব কম। তাই হয়ত, একরােত একটা জই আমার জন যেথ িছল। তেব িখেদটাই তা আর সব
নয়। বঁেচ থাকেত গেল য ওষুধ লােগ, ওষুধ। সটাও ভুেল িগেয়িছলাম। থম থম যখন ের গা পুেড় যত।
তখন এই লীর ঘের কউ আসেতা না। তাই কান টাকাও জুটত না কপােল। এমিনই এমিনই পেড় থেক থেক সু
হেয় যতাম। মােস অত একবার, তা এটা হতই। িক কউ এিগেয় আসেতা না। লাল বািড়েতও খবর যেতা না।
সকেল মরত িহংেসর আেন, আর আিম এিদেক চ ের পুেড় মরতাম। িক, সই রাতটা বশ অনরকম িছল
আমার কােছ। যিদও শরীরটা বশ খারাপ িছেলা। এিদেক পেটর ও িকছুটা টান পেড়েছ। তাই দরজাটা সিদন খুেলই
রেখিছলাম। একটু আিফমও ধার িনেয়িছলাম । আজ একটু হেলও, লড়াই আমােক করেতই হেব।
এখােন আিম একা নই, সবাই লড়াই কের। রাজ কের। না, আিম কােনা রাণী নই, আিম কােনা রাজমারীও নই।
আিম এক দবদাসী মা। িনেজেক দবদাসী বললাম বেল ঘাবেড় যােন! তবুও বলব, হাঁ আিম এক দবদাসী। এই
অকার গিলর দবদাসী। কারণ এই গিলর মা ছাড়া দুগা মূিত তির হয়না য। তাহেল আমরা দবদাসী হলাম
িকনা বলুন তা।
িক, আজ সসব কথা থাক। কারন ঘের একজন এেলা। আধ ঘা পের মুেখর উপর টাকা ছুেড় িদেয় বিরেয়
গেলা। উ! িক ভয়ানক বাথা করেছ তলেপেট। মেন হে যন কউ খুব জাের পেটর িভতেরর নািড় ভুঁিড় খামেচ
ধরেছ। তাই আজ একটু আিফম িনলাম। আর িকছুণ পর বাথাটাও কমেত করেলা। তেব একটা গরম রের
াত িনেচর িদেক বেয় চেলেছ। িক সটা খয়াল অবশ করলাম না। আবার একজন এেলা। এেস ম করল,
‘ দরজা ব কেরা।’ ……
কেরা! তুিম কের ডাকেলা?! সই ডাক েন, আিম তার চােখর িদেক দখলাম। মুখটা হালকা দািড়েত ঢাকা। একটা
কােনর ছাপ আেছ বশ। ঘের ঢুেকই স মাথা িনচু কের বেস রইল। িপঠটা কাঁপেছ তার। আিম কােছ িগেয় বললাম,
‘ িক র বাবু। িকছু করিব না? যিদ না কিরস তাহেল টাকা িদেয় চেল যা।’
কথাটা েন স মুখ তুেল আমার িদেক তাকােলা। তার চাখটা হালকা লাল হেয় আেছ।
বলল,’ আমার মন শা নই। আমার কােছ এেস আমায় একটু শা কেরা।’
আিম িগেয় তার কােল বসলাম। তার কথা বাতা েন কােনামেতই মেন হয় না য স কােনা খারাপ লাক বেল।
িক এখােন তা ভােলা কউ আেস না। তেব?
– িক হেয়েছ তার? তার িকেসর এত দুঃখ।
স কােনা উর িদেলা না। আিম তার চুেল হাত বালােত লাগলাম । এক িনেমেষ িনেজর বথার কথা ভুেল িগেয়
লাকটার মেনর গভীের িবলীন হেত চাইলাম।
– এই বাবু, এিদেক দখ। কাঁিদস না।
বেল তার মুখটা িনেজর নরম পেটর উপের চেপ ধরলাম। সখােন একটা উ জেলর াত আমার কামর ভজােত
থাকল। আিম আর জার করলাম না। কাঁদুক। যত ইে কাঁদুক।
(২)
পরিদন সকােল ঘুম ভাঙেলা। কখন য িনেজর অজাে ঘুিমেয় পেড়িছ জািন না। সকােল উেঠ দিখ পােশ একটা িচ
পেড় আেছ ,আর সােথ িকছু ওষুধ। িচটা খুেল পড়লাম। লখা আেছ,
‘ তামার নাম চােমলী। তাই তা? আিম কাল এেস তামার অেনক সময় ন কেরিছ। তার জন একটু দুঃখ হে ।
তেব দখলাম তামার গােয় খুব র এেসেছ। তাই কেয়কটা ওষুধ রেখ গলাম। সেলা খেয়া। আিম আবার িফের
আসেবা। ‘
অবাক হেয় গলাম । আমার গা টা সিত বশ গরম । নশার ঘাের সসব তমন টর পাইিন। িক এখন কমন
যন একটা অি হে। সে ল করলাম আমার িবছানাটা। রে লাল হেয় গেছ সটা। সে অসহ যনা হে।
গােয় র র ভাব।
সেেত আমার ঘেরর দরজা বই থাকল। িভতর থেক িছটিকিন িদেয় রেখিছলাম। ের গা পুেড় যাে। িকছু
রাা করেত পািরিন । ঘুিমেয় পেড়িছলাম। একটা পিরিচত কের ডােক ঘুম ভােলা।
– চােমলী ! ও চােমলী ! ওেঠা , একটু িকছু খেয় নাও!
– এ এিক…. তুিম …., তুিম কখন এেল
– অেনকখন ! তুিম ঘুিমেয় পেড়েছা বেল আিম আর িবর কিরিন। ওষুধ েলা খেয়ছ!
— ওষুধ! না। খাইিন। তুিম চেল যাওয়ার পর মেন হয় একটু রপাত হেয়েছ!
আমার কথা েন স িবািরত চােখ তাকােলা িবছানার িদেক। তারপর িচৎকার কের বলল
— তুিম িক পাগল! তামার শরীর ওই জ েলা তিবত কের গেছ , আর তুিম িকছু না কের চুপচাপ েয় েয়
িনেজর মৃতুর জন অেপা করেছা!
– না সটা নয়, ক আেছ আমার!
– ওসব বােজ অজুহাত ব কর । তামরা িনেজেদরেক এত ক দাও কন। খেয় নাও এটা। আজ আিম না এেল তা
মেরই যেত হয়ত। দিখ কাথা থেক র বেরাে!
বেলই এক ঝটকায় আমার সম পাশাক খুেল ফলেলা । তারপর পা দুেটা ফাঁক কের আমার যািনর তেলা
পরীা করল । আমার কান লা নই। তাই কােনা িতবাদ করলাম না। এরপর স িনেজর বাগ থেক তুেলা বার
কের তেলা পিরার করেত লাগেলা । তারপর বলল
–আজেক এই ওষুধেলা খাও, আর আিম যতিদন না বলব ততিদন কােনা কামারেক ঘের ঢুকেত দেব না।
বেল স চেল গল। ক এই লাকটা, আমার এত খয়াল কন রাখেছ। সেতা আমার নাম ও জােন না । আিম তার ক
হই? তামােক িচিনও না, ক হ তুিম! িক শরীরটা এতটাই অবস লাগেছ, সটাও িজাসা করেত পারলাম না।
এটু বুঝলাম য , িভতর থেক আটকােনা িশকল টা খুেল বিরেয় গল িকছুণ পের।
(৩)
ক িতন চারিদন পেরর কথা। অেনকটাই সু লাগেছ এখন, কারণ রােত স আেস। দখভাল কের আমার। থাকেত
না পের আজেক িজাসা কেরই ফললাম,
– তুিম ক গা বাবু?
– কন? হটাৎ এই ?
– আিম তামার িক কউ হই? নাহেল তুিম আমার জন এত িকছু কন করছ ?এখােন তা কউ কাউেক দেখ না।
কউ কাউেক ভােলাবােস না।
– না আিম কউ না! আমার কােনা নাম নই, পিরচয় নই
– তাহেল!
– িক তাহেল!
– তাহেল, আমার এত খয়াল রাখেছা কন? িক াথ তামার?
এমন উদাসীন উের আিম একটু রেগ িগেয়িছলাম। িক আমার অভতায় িবর হেলা না স। তমনই শা হেয়
িজাসা করল ,
– এসব ের উর জেন িক করেব তুিম? তেব এটা বলেত পাির য, আিম তামার কউ নয়। িক, কন তামার
জন এসব করিছ স উর আমার কােছও নই।
– হয়ত আেছ। সব ের উর থােক। বুেক সৎ সাহস থাকেল , সটাও বলা যায়।
– তামার যন খুব সাহস ?
– হাঁ আেছ তা! িছঁেড় খােব জেনও রাজ পাশাক খুেল িদই, এটা সাহস নয় তা আর িক!
– চুপ !
বেল মুখটা চেপ ধরল। তারপর আেরা কােছ এেলা তার ঠাঁট দুেটা। মুখ থেক হাতটা সিরেয় ঠাঁেট ঠাঁট রাখেলা
আমার। হাত দুেটা অিচেরই চেল এেলা কামের। আেরা কােছ টেন িনল আমােক। পরবত ১০ িমিনট যন একটা
ঘােরর মেধ িদেয় কাটেলা। অবেশেষ স আমায় জিড়েয় ধের মুখ লাকােলা আমার বুেকর মেধ।
একটু পের বেল ওেঠ
– এখন মেন হে, খািনক সাহস পেয়িছ। তামার ের উর দওয়ার জন বুেক বল পেয়িছ
আিম মৃদু হেস বললাম,
– তা কােেক পেল এই সাহস বাবু!
– ওই য তামার বুক থেক ধার করলাম।
– ধাত দুু, িক বলিছেল বল
– সিদন আমার আেগ য লাকটা এেসিছল, স তামার সবেচেয় থম কামার িছল তাই তা? আর সই
জােনায়ার, কান রয়াত না কের, তামােক এমন অবায় ফেল চেল গিছল। এটা দেখ আমার মায়া পেড় গিছল
তামার উপর।’
– তাই! আা , যিদ আমােক ওভােব না দখেত, তাহেল তুিমও িক আমার সােথ ওই একই কাজ করেত? সিত কের
বেলােতা।’
– না আিম খারাপ লাক হেত পাির িক জ নই।
– তাহেল ক তুিম!
– আিম! আিম ক , আিম িনেজও সটা জািন না! তেব তামার চাখ দুেটা দেখ মেন হেয়িছল, তুিম কাউেক চাও।
আজ আিম বুঝেত পারলাম য তুিম যােক চাও, আিম আসেল সই মানুষটাই হেত চাই।
এটা শানার পের তােক বুেক জিড়েয় ধরলাম আিম। বিদন হেয় গল এভােব কউ ভালেবেস এরকম কথা আমায়
বেলিন। তােক বুেক জিড়েয় িনেয় আিম হাউ হাউ কের কঁেদ উঠলাম। যন মেন হিল কান এক দূর সেকর
মানুষ আমায় আয় িদেয়েছ তার মেন। না না, এটা ধু আয় নািক, এ য আেয়র চেয়ও অেনক বিশ িকছু।
এেতা আিম জািননা, ধু জািন য আিম তােক একটু একটু কের ভােলােবেস ফলিছলাম। এতিদন বঁেচ থাকেত ইে
করেতা না িক তখন বঁেচ থাকার একটা কারণ পেয়িছলাম আিম।
এরপর স রাজ রােত আসেতা আমার কােছ। আমােক িকছু টাকা পয়সা িদেয় যত আর বলেতা যন আিম কান
কামারেক ঘের না ঢুকাই। এ খবর লাল বািড়েত ও গল না কারণ আিম আমার আসল আীয় দর কােছ
যমনভােব াত ক তমনভােব এরাও আমােক দূের ঠেল রেখেছ। যাক এটােতা মের ভােলাই হল।
িক আমার উপর তার িকেসর মায়া। আর স এত টাকা পায় কাথা থেক? িজাসা কেরিছলাম একিদন, িক স
ের কান উর আেসিন। মৃদু হেস ধু বেলিছেলা
– ওসব ছােড়া। এেলার উর আিম দেবানা। তেব এটু জািন য রাত হেল আমার শি বেড় যায়। ….
তখন আিম সব পাির সব। যা চাইেব তাই এেন িদেত পাির।’
– পারেব! সিত? তেব একটা আবদার করেতই পাির। রাখেব?… আমায় িচরিদেনর জন তামার কের িনেত পারেব?
বেলা পারেব?… পারেব না? িক হেলা চুপ কন?
– আিম আিস। এর কান উর আিম দেবা না।’
িকছু িজাসা করার আেগই চেল গিছেলা স। আিম দৗেড় বাইের গলাম, তােক আটকােত চেয়িছলাম। িগেয়
দখলাম নই। কউ নই বাইের। এত ত স হািরেয় গেলা এই আেলার মতন আঁধােরর শহের? এই ঘটনার পর
বশ িকছুিদন কেট গল। না, স আর এেলা না। আমার আশার পাহাড় ধীের ধীের ভে পড়ল। না, বলা ভােলা
ঁিড়েয় গল। তার সবায় আমার শরীর া ক হেয় িগেয়িছল। িক, স আর কতিদন আমার কােছ। আিম
িনিত িছলাম য স আর কখেনা আসেব না। এক গিণকার সে সারাটা জীবন কাটােনা যায় না, সটা সও জােন।
তাই তার জন আিম ধু এক শযা সীনী ছাড়া আর কউ না। আা! এসব ভেব লাভ িক! পেটর টােন শরীর
িবি করার কাজ আবার করলাম। এটা িবি না, এটােক দহ বক রাখা বেল। িকছুেণর জন হেলও িক
বক রাখেত হয়।
আবার ১৫ িদন পর বাইের এেস দাড়ালাম। সামেন িদেয় হঁেট যাওয়া দালােলর দেলর মুেখ একটাই , ‘ এত সুরী,
তবু মুখটা অমন কেনা কন? আজ হটাৎ বাইের কন? আেরা কত িক!
রাজ আেস অেনেক। রাজ বাথায় কাতরােত থািক। তারপর ও উেঠ দাড়ােত হয়। তেব ধীের ধীের অেভস হেয়
যেত থােক এসব। বাথা েলা মুেছ যায় নশার অতেল। িহলিহেল সাপ েলা িভতের ঢােক, িবষ ঢােল, বিরেয়
যায়। মেন হয় যন িভতরটা েল পুেড় শষ হেয় যাে। না, আজও বািড়র কথা মেন পেড় না। সসব ও িছেলা
দুঃের মতন। রাত যত বাড়েত থােক সই েলাও তত একটু একটু কের ভুেল যেত থািক। আিফেমর নশায় বুঁদ
হেয় যাই। ক য আেস, ক য জাের থাড় মের যায়, িকছুই মাথায় ঢােক না।
পােশর ঘের থাকা মেয় এেস িজাসা কেরিছেলা, ‘ কমেন থােকা একা একা। কামারও নাও না তমন , পট চেল
কামেন? সই থম থেক দকিস, তামার ঘের কাউেক তা যেত িদিকিন বাপু । তবু তুিম এত টাকা পাও
কােেক।’
আিম েন তাব হেয় গিছলাম। তেব িক, তােক ও দেখিন? সবই িক তাহেল আমার মেনর ভুল? সবই িক
আিফেমর নশা? স উর খুঁজেত পাওয়ার ইেটা বেড় যেত লাগেলা। িক, সব ইেই তা একটা সময় থেম
যায়।
একিদন রােত হটাৎ একসে িতনজন এেলা। মুখ থেক মেদর গ বর হে ভয়ানক। সিদন আমার শ িছেলা
ভােলাই। আিম িতবাদ করলাম য, একসে িতনজনেক সব না। িক তারা শােন না। আমায় ছুঁেড় িবছানায়
ফেল দয় । এক িনেমেষ কেড় নয় সব পাশাক। একজন আমার হাত চেপ ধের, আর একজন আমার মুখ।
ায় িতন ঘা! িতন ঘার টানা অতাচােরর পের বিরেয় গেলা ওরা। আিম রােগ যনায় কাদেত লাগলাম। িনচ
িদেয় আবারও র গিড়েয় পড়েছ। মেন হে যন সব িকছু িছঁেড় একাকার হেয় যাে। কামর থেক িনচ অবিধ
যন আিম বঁেচ নই। সব িকছু অবশ হেয় গেছ। িক… িক আমার কাা শানার মত য কউ নই! ধীের ধীের
অান হেয় গলাম।
– মর, ও মর। িক হেয়েছ তামার। ওেঠা ! আিম শামল’
চাখ খুেল দিখ বুেকর উপর শািড়টা কানরকেম চাপা িদেয় রেখ স বেস আেছ পােশ। আিম অুেট বেল উঠলাম
– শামল!… তুিম!!
– হাঁ আিম, তামার এই অবা ক করল!
– তুিম, তুিম এতিদন আেসািন কন?
– সসব কথা পের হেব, িক হেয়েছ তামার সােথ আবার? এরকম হেয়েছ িক কের? ক করেলা?
আিম আর কােনা উর িদেত পারলাম না। চাখ জুেড় আসিছল। একটা ক , একটা যনা আমার মেনর সম জার
যন কেড় িনেয়েছ। অান হেত হেত মনটা যন আবার আনে ভেরও উঠেলা । স এেসেছ, হাঁ স এেসেছ, আমার
জন িফের এেসেছ।
বলা বাড়েলা, অেনকটাই সু লাগেছ এখন l আমার ত েলােত য কের ওষুধ লাগােনা রেয়েছ। ‘
হাঁ,সব তেতই। আর কােনা লা নই আমার । আিম এখন তার জন বঁেচ আিছ এটুই অেনক। সে ত আেরা
কঠাক হেয় এেলা শরীরটা। তখন িজাসা করলাম,
– তুিম এতিদন কাথায় িছেল? এতিদন আসিন কন?’
‘ আমার আসেল খুব িবপদ। আমায় িকছু লাক খুঁজেছ। ওরা পেল আমায় মের ফলেব। িক আমার বঁেচ থাকাটা
খুব জরী। তাই আিসিন তামার কােছ। যিদ তামার কােনা িত হেয় যায় আমার জন। আিম তামােক হারােত
চাই না।’
‘ িক তুিম িক কেরছ, য তামায় ওরা মারেত চায়।’
‘ ওসব বাদ দাও, আেগ বেলা তামার এই অবা ক করল।
আিম সব খুেল বললাম। বলেত বলেত তার মুখটাও দখেত থাকলাম। তার মিলন মুেখ এত রাগ, এর আেগ
কােনািদন দিখিন। আমার কথা শষ হেতই উেঠ দাঁিড়েয় পড়ল।
– ক তারা!!! ওেদর আিম শষ কের ছাড়েবা। আমায় বেলা ক ? কাথায় থােক তারা।’
আমার নীরবতা জািনেয় দয়, আিম িকছুই জািন না। স িনেজর জামা পের বিরেয় যায় হনহিনেয়। আবােরা চেল
গল। স িক আর িফরেব কােনািদন? যিদ এবার সিত সিতই না ফের! তাহেল িক হেব? তাহেল বরং আিম িনেজ
িনেজেকই শষ কের ফলেবা।
পরিদন রােত। দরজায় কড়া পড়ল। ভার ৫টা বােজ। ঘুেমােত যােবা ভাবিছ, এমন সময় শামল এেলা। হােত দুটা
বড় সুটেকস। আিম িজাসা করলাম
– তুিম ! এখন ! এখােন!
– দাড়াও, িভতের ঢুিক আেগ, তারপর সব বলিছ।
বেল স িভতের ঢুেক এেলা। আিম আবার িজাসা করলাম
– এেত িক আেছ!
স বলল, ‘ এেত তামার জন একটু উপহার আেছ। দেখ ভয় পেয় যও না যন আবার, আমােক এটা করেতই হত ,
তামার জন ।
– কন? িক আেছ ওটার মেধ
তার মুেখ একটা অুত হািস। সই হািসটা মুেখ িনেয় বলল,
– খুেল দেখা। তেবই তা বুঝেব ! আা ক আেছ আিম খুেল দখাি।
বেল সুটেকেসর ডালাটা খুলল। সুটেকেসর িভতেরর িজিনসটা দেখ আমার গা িলেয় উঠেলা। তার িভতের পেড়
আেছ, িতনেট উােনা কাটা মাথা। স হাসেত হাসেত একটা একটা কের মাথা তুেল আমােক দখােত থাকেলা।
– এরাই সই লাক তা? হাঁ বােলা? এরাই তারা তা?
আিম ততেন আঁতেক উেঠ , ঘেরর একটা কানায় পৗঁেছ গিছলাম । মেন একটা অজানা আত বাসা বাঁধেত
কেরেছ । শামল তখন উােদর মতন হাসেছ
– এরাই িক সিদন আমােক ধষণ কেরেছ একটা জােনায়ােরর মেতা।
আিম ভয় পেয় তােক িজাসা করলাম,
– তুিম ক? তুিম এেদরেক িচনেল িক কের!
– এেদরেক চনা িক খুব কন ! সিদন তুিম বথার ঘাের য বণনা িদেয়িছেল আিম সটা খুব ভােলা কেরই মেন
রেখিছলাম। তারপর এই অেলর আেশপােশই ওেদরেক খুঁেজ বড়ািলাম। তারপর, ঘটনাচে ওেদরেক পেয়
গলাম তামার বগম জােনর ঘেরই।
– থাক ও কথা। আিম আর এসব নেত চাই না। …িক িক …তুিম জানেল িক কের আমার নাম মর। এখােন
তা সবাই জােন আমার নাম চােমলী।
– আজও তামােক এখােন সবাই মর নােম চেন। তুিম িনেজেক িচনেত ভুল করেছা। আর আিম ক, আিম িক, সটা
তামায় জানেত হেব না। আিম তামায় ভােলােবেস ফেলিছ এটুই তুিম জেন রােখা, এর বিশ িকছু আিম তামােক
বলেত পারব না। ধু আমার একটা অনুেরাধ রাখেব তুিম?
– িক বেলা।
– আিম এখন চেল যাি। তুিম এই বাটা িনেয় এখান থেক পািলেয় যাও। ওর িভতের একটা কানা দওয়া আেছ
সখােন িগেয় থােকা। সব ববা কের রেখ এেসিছ আিম।
– যও না শামল; শােনা! তুিম কাথায় যা! আিম এখােন একা থাকেবা িক কের। যওনা !!!!!
স আমার কথার কান উর িদল না। ধু একটা ব করা বা আমার িদেক এিগেয় িদল। তারপর ত পােয় আিম
আসিছ বেল চেল গল। আিম আবার হতভ হেয় দাঁিড়েয় রইলাম। কাথায় যাব? িকভােব যােবা? আিম িক এখান
থেক মুি পেত পারেবা এত সহেজ। যিদ সিতই পাির? একটা তা চা করেতই হেব। ভেব বাটা খুেলই
ফললাম। দেখ আমার চাখ িবেয় ও িকছুটা ভেয় িত হেয় গল ।
থের থের ২০০০ টাকার নাট সাজােনা রেয়েছ। িক, কাথায় কানা। িকেসর মুি। িকছুই খুঁেজ পলাম না। তেব
সিদন বুেঝিছলাম য স আর আসেব না। আমােকই তার কােছ যেত হেব। িক, কাথায় যােবা, িকভােব যােবা?
আর সটার উর এেসিছল িকছুেণর মেধই। বাইের হটাৎ দৗড়ােদৗিড় হেয়েছ।
‘জল জল ,জল আন!’ বেল িচৎকার করেছ ক একজন। বাইের দখেত পাই কােলা ধাঁয়া। আর দূের ,সই লাল বািড়েত
দাউদাউ কের আন লেছ। সকেল সিদেকই ছুেট চেলেছ। আিম িক করব ভেব পলাম না। মাথা কাজ করা ব
কের িদেয়েছ। িক না! এভােব চুপ কের থাকেল চলেব না। ভােলা পাশাক পের সুটেকসটা হােত িনেয় বিরেয়
পড়লাম। রােতর আঁধাের এই ধাঁয়া যন আমার ছেবশ হেয় উঠেলা। সকেলর নজর ওই আেনর িদেক। আিম তাই
খুব সহেজই সকেলর অলে পািলেয় গলাম। যিদেক পারলাম সইিদেকই দৗড়ালাম। জািননা কাথায় যাি। এখন
সটা ভাবার সময় ও নই হােত।
সকাল হেয়েছ। ঘুম ভাঙেলা আেশপােশ গািড়র আওয়ােজ । তািকেয় দেখ িচনেত পারলাম না িকছুই। রাার একটা
লাক আমার িদেক এিগেয় এেস বলল
– এই, ক তুিম? এখােন েয় কন?
লাকটার গলার আওয়াজ েন আিম ধড়মড় কের জেগ উঠলাম । উেঠ বেস লাকটােক িজেস করলাম
– এটা কান জায়গা!
– এটা ডালেহৗিস। তুিম কাথায় যােব !
– ডালেহৗিস! সটা কাথায়!
– ডালেহৗিস ত এেস বলছ ডালেহৗিস কাথায় সটা তুিম জােনা না। তুিম যােব টা কাথায় আেগ সটা বল।
– আিম িকছুই জািন না।
এই ভরা রাায় বাগ খুলেল িবপদ হেত পাের। তাই রােতর অেপা করেত থাকলাম। তারপর সই সুটেকেসর িভতর
খুঁজেত থাকলাম সই কানা। নই! কাথাও নই। না, এই তা….
ায় ৫ িদেনর চায় এেক ওেক িজাসা কের বধমােনর েন উেঠ বসলাম। শামল আমার জন বধমােন অেপা
করিছেলা? নািক আবার কােনা এক আঁধাের ভেস যাি, জািন না তা সটা।
একটা বািড়েত ভাড়ায় উঠলাম। কানায় লখা বািড়টাই এটা। িক স এেলা না। ১ মাস গেলা, ২ মাস গেলা,
িক শামেলর দখা নই। তার দওয়া সুটেকস আর টাকা েলাই যন আমার কােছ তার শষ ৃিত। সময় কেট
গেলা অেনকটাই। আিম বািড়েত বািড়েত কাজ িনলাম। বািড়র মািলক আমায় বশ পছ করত। কা কািকমা
দুজেনরই বয়স ষােটর বিশ। একিদন উপেরর ঘের ডাকেলন কা। ঘেরর কেয়কটা কাজ করেত হেব। সিত বলেত
ওনারা কােনািদন িজাসা কেরন িন আমােক য আিম একা কন থািক। তাই ওনােদর ও বশ পছ হয় আমার।
আিম ঘের িগেয় কাজ করেত লাগলাম। কািকমা এেস গ করেত করেলন। তারপর ওনার ছেলর কথা উঠেত
জানেত পারলাম ওনার ছেল কলকাতােত খুন হেয় গেছ বছর পাঁেচক আেগ। তার মৃতেদহ ও সৎকার করেত পােরিন
কউ। গায় আধ খাওয়া দহ পাওয়া যায় নািক। আিম কৗতুহেল িজাসা কেরই ফললাম, ,’ ছেলর নাম িক?’
কািকমা উর করেলা, ‘ শামল।…… এই য ছিব।’
দেখ আিম চুপ কের গলাম। এ তা আমার শামল। যার জন আিম আজ এখােন। স যিদ ৫ বছর আেগ খুন
হয়,তাহেল ৫ মােসর আেগর সই লাকটা ক?
পাট – ২
িনেজর ঘের এেস িবছানায় বেস পড়লাম। আমার হাত পা টা কমন যন কাঁপেছ। মাথা ধেরেছ আবার। এ আিম িক
নিছ! শামল নই? আমার শামল আর বঁেচ নই। তাহেল আমার ঘের মাঝরােত ওটা ক আসেতা! মাথাটা কমন
যন িঝমিঝম করেছ। ক তখনই একটা কথা মেন পড়ল। সে সে উেঠ গলাম িনেজর আলমািরর িদেক।
আলমাির খুেল ওটার িভতর থেক বর কের আনলাম একটা পুরেনা খবেরর কাগজ। এটা আিম য কের তুেল
রেখিছলাম। ওর িভতেরর একটা খবর খুব দামী আমার কােছ। ওেত লখা আেছ,
‘ কােনা এক অজানা কারেণ পুেড় ছাই হেয় গেছ উর কলকাতার খাত হাড়কাটা গিলর ৫ পিততালয়। মৃতু
হেয়েছ, অগিণত মানুেষর। গাটা কলকাতা শহর জুেড় চলেছ ধরপাকড়। ৭ জন মৃত, আহত ৪০ জেনর অিধক। আর
১ জন িনেখাঁজ! ‘
দাসরা এিেলর রাত। য রােত আিম ওই পিল জায়গা থেক পালােত পেরিছলাম, এটা সই রােতর ঘটনা যিদন
আিম পািলেয় এেসিছলাম। ওই রােতই পুেড় ছাই হেয় যায় সবিকছু। িক, আিম িক কের বঁেচ গিছলাম ! তার চেয়ও
বড় হল, ক লািগেয়িছল ওই আন! স উর খাঁজার সাহস আিম আজও পাইিন। আসেল আিম ওই নাংরা
জায়গার বুেক আর পা রাখেত চাইিন। তেব, আজ অেনক আবার চােখর সামেন এেস জেড়া হে। এখন য
আমার ক িক করা উিচত সটাই বুেঝ উঠেত পারলাম না। এই মুহূেত অত মাথাটা শা করা খুব দরকার। তাই
চুপচাপ েয় রইলাম।
নানা ভাবনা িচার াত এেস জেড়া হিল মেনর মেধ । এভােবই দুিদন কেট গল। অবেশেষ বুেক সাহস এেন
সাজা চেল গলাম দাতলায়। িগেয় সাজাসুিজ কািকমােক িজাসা করলাম
– কািকমা! একটা কথা িজাসা করার িছল। িকছু মেন করেব না তা! আসেল কেয়কটা কৗতুহল জেমেছ আমার
মেনর মেধ। তাই জনই এলাম আপনার কােছ
– বেলা মর মা! িক হেয়েছ! িকেসর কৗতূহল?
– আপিন ক বলেছন…. ওটা আপনার ছেল শামেলর ছিব ? আপনার কাথাও কােনা ভুল হে না তা?
– না কন! য ছেল ক পেট ধের মানুষ করলাম, তােক আিম িচনেত ভুল করব কন? এ কন করছ! তুিম িক
ওেক কােনাভােব চেনা
– না মােন! আিম ওেক ক িচিন না। তেব িক রকম যন মেন হয়, ওেক কাথাও দেখিছ।
– তা তা জািন না মা! তেব আমার ছেল তমন ভােলা কান লাক িছল না।
– কন? িক করত স?
– মর মা, তার কথা আর েন তুিম িক করেব িন? ওর বাবা বািড় নই এখন, থাকেল সই তামােক বলত
সবিকছু। আমার ও কথা বলেত ভােলা লােগ না।
– আপিনই বলুন না কািকমা! আমার য খুব জানেত ইে করেছ। স তা আর নই বলেছন…. তাহেল এখন তার
কথা বলেত কােনা িত নই তা?
– এটা অবশ তুিম কই বলছ। তার কথা বলেল এখন আর কােনা িত নই। স গত হেয়েছ পাঁচ বছর হেলা।
তুিম, এখেনর রাজনীিত সেক কতটা িক খাঁজখবর রােখা!
– তমন তা রািখনা কািকমা!
– আমার ছেল শামল , বঁেচ থাকেত একটা রাজৈনিতক দেল নাম িলিখেয়িছল। বড় বড় নতােদর হেয় চুির,
ডাকািত এবং খুন করত। এমনিক মেয় পাচার করত দেশ িবেদেশ।
– আা আপনার িক আর কান ছেল আেছ!
– আর কান ছেল! না তা! কন?
– না িকছু নয়। আপিন বলুন।
– এই সম খারাপ কাজ করত বেলই ওর বাবা, ওেক তাজ পু কের দয়। আমার সে অবশ িচেত যাগােযাগ
রাখত ও। মােঝ মেধ লুিকেয় লুিকেয় বািড় আসেতা। দখা করেতা। িক আিম তার ভুলেলা কানিদন মন থেক
মা করেত পািরিন। িবাস করেব না, যখন নলাম ও খুন হেয়েছ, তখন যন বুেকর িভতর একটা শাি
পেয়িছলাম। এমন একটা লাার ছেলেক জ িদেয়িছ ভেব বুকটা কঁেপ উঠেতা আমার। সই ছেলর মৃতুর
আমার ও তামার কার জীবেন দুঃখ আনেলও, িদেনর শেষ যন দুজনই শাি পেয়িছলাম।
– আা আর একটা করব! আবােরা বলিছ আমায় মা কের দেবন এসব িজেশ করার জন।
– িক ! আা! তুিম এত িকছু জানেত চাইেছা কন বলেতা!
– আপনার ছেল িক হাড়কাটা গিলেত যত?
– হাড়কাটা গিল! মােন ওই য
– হাঁ, পিততালয়। সখােন িক যত আপনার ছেল?
– ও তা শাভাবাজােরই ািম করত নতাম। আর বিশরভাগ মেয় পাচার করত ওই গিলেতই। এইটা শানার
পর ও যখন আমার সামেন এেস দাঁিড়েয়িছল, তখন আিম ওেক খুব মেরিছলাম। িবাস কেরা মর, শামল চুপচাপ
সেলা সহ কেরিছল। শেষ বেলিছল, ‘ আমার এই সম পােপর ায়ি আিম করবই মা। আর জােনা, এই কথা
বলার ক চার িদন পেরই ও মারা গল।’
এই কথা বেল কািকমা হাউ হাউ কের কাঁদেত লাগেলন। আিম িক বলেবা বুেঝ পলাম না। য মানুষ পাঁচ বছর আেগ
মারা গেছ, যার যাগােযাগ ওই হাড়কাটা গিলেত, সই একই মানুষ িক কের আমার জীবেন এেলা। কন এেলা? আর
এও বুঝেত পারিছ, স আমােক ইে কেরই তার িনেজর বািড়েত পােয়েছ। কাা থামেত কািকমা আবার বলেলন
– তুিম িক আমার ের উর এখেনা িদেলনা।
– ও ের উর আিম িদেত পারেবা না।
এই কথাটা বেলই আিম আবারও চমেক উঠলাম। িনেজর পিরচয় গাপন করার জন আিম আবার শামেলর মতন
একই কথা বলিছ! স আমার কােছ তা এই কথােলাই গাপন করেত চেয়িছল। আমােক বলেল িক হেতা শামেলর!
আা, তুিম িক এখনও বঁেচ আছ শামল? নািক আমার সহবাস হেয়িছল এক মৃত আার সােথ!
– িক হল! বল!
কািকমার ডােক আমার শ িফরল । আিম আমতা আমতা কের বললাম
– আসেল কািকমা! আমার একটা খুব খারাপ অতীত আেছ। সই অতীত শানার পর হয়েতা আপিন আমােক আর এই
বািড়েত থাকেত দেব না!
– অতীত! কমন অতীত?
– আপনার ছেলর সে আমার অতীত জিড়েয় আেছ। যিদও আমার মেন এখন হাজার ।
– আমার ছেলর সে! িক বলেত চাইেছা মা মর?
আিম তখন উেঠ দাঁড়ালাম। উেঠ দাঁিড়েয় বললাম
– তামােক একটা িজিনস দখােবা। তারপর তুিম ভােলা ম, সব িবচার কর না হয়।
একথা বেল আিম হাঁটু গেড় কািকমার িদেক িপছন িফের বসলাম। বেস বললাম
– আমার িপঠ থেক শািড়র আঁচলটা সরােত পােরা তুিম। ওখােন অেনক তিচ আেছ।
আমার কথা মত কািকমা িপঠ থেক শািড়র আঁচলটা সরােলা। আর আমার িপঠটা দেখই কাকীমা চমেক উঠেলন
– মা মর, তামার িপেঠ এটা িক হেয়েছ। এেলা সব িকেসর দাগ?
– এেলা কান সাধারণ দাগ নয় কািকমা, এেলা হল আমার পাওয়া উপহার। িপেঠর এক একটা দাগ আমার পুরেনা
পশার ার। আঁচেড়র দাগ, কামেড়র দাগ, িসগােরেটর ছাঁকা দওয়ার দাগ….
– পুেরােনা পশা! তেব িক….
– হাঁ কািকমা! ক তাই….. আিম একজন গিণকা! িক সুর না নাম টা? অথচ কাজটা ক ততটাই কদয। ওই
সুর নামটার জন ক এই মুহূত থেক আিম হয়েতা আপনার ঘার কারণ হেয় গলাম। িক, িনেজর অতীত তা
আর আিম আমার জীবন থেক মুেছ ফলেত পারেবা না। এই িসগােরেটর ছাকা ও চাবুেকর দাগ েলা সটা মুছেত
দেব না। তাই এেলা ঢেকই রািখ। ঢেক রাখেত হয়! আিম এখন চললাম! আমায় পারেল মা করেবন। আিম
আপনার িবাস ভাঙেত চাইিন। তেব আমার কােছ িকছু করার িছল না।
বেল ঘর থেক বেরােত যািলাম। ক তখনই
– মা মর ! কাথায় যা। আিম িক তামায় চেল যেত বেলিছ? আেসা, বেসা এখােন ….
ডােক িপছন িফের তাকালাম। কািকমার সই ডােক যন একটা মায়া মশােনা িছল। আিম আবার বেস পড়লাম চুপ
কের। দখলাম কািকমার চােখ জল।
– তুিম এতিদন এই কথা আমায় বেলািন কন?
– বলেত পািরিন কািকমা! বলেত লা হয়!
– জীবেনর চরম সিত কথাটা বলেত কখেনা, কােনা লা করেব না। এসব কথা লুিকেয় রেখ লাভ িক বলেতা? এই
য আমায় বলেল, এেত তামার মন তা একটু হেলও হালকা হল তাই না! িক, তুিম শামলেক িক কের িচনেল!
– স অেনক কথা। সসব ৃিত আমার কােছ বড়ই ীণ এখন। তবু বলার চা করিছ।
এরপর সবিকছু খুেল বললাম কািকমােক। কথােলা বলেত খুব ক হিল কই, তবু বললাম। শামেলর আসা থেক
কের ওর হটাৎ চেল িগেয় িফের না আসা, তারপর আমার এখােন আসার সম কথা খুেল বললাম। অপরিদেক
দখলাম, কািকমার চােখ কখেনা কাা, কখেনা িবয়, আবার কখেনা অিবােসর ছায়া। আমার কথা শষ হেত
কািকমা মুখ খুলেলন।
– তামার মেন কােনা ভুল হে মর !
– না কািকমা, আমার একদম ভুল হে না। আিম এতিদন যােক দেখিছ, যার সবা আমােক বাঁিচেয় তুেলেছ, আিম
তােক িচনব না।
– িক, সটা তা কােনামেতই সব নয় মা
– িক কের সব নয়। তাহেল সব িক? আিম যা দেখিছ সব িমেথ? আমার বঁেচ ওঠা, পািলেয় আসা, এসব িমেথ!
ওর হ, ওর য, আমার ভালবাসা সব িমেথ? সব এতটাই মূলহীন ?
– ভােলাবাসা!
আিম বলেত িগেয় চুপ কের গলাম। আমার সম কথা কািকমার বুেক িপেনর মতন িবঁধেছ । তার উপর এই
ভােলাবাসার কািহনী…. কািকমােক িভতর থেক ছারখার কের দেব এেকবাের, এটাও আিম জািন। িক, আমােক
অবাক কের িদেয় কািকমা বলল
– লা পও না মা। তামার ওই পশা তামার আেগর জীবন িছল। তাই তুিম আমার ছেলেক ভােলাবাসেল তােত
আিম কােনা দাষ দিখ না। তেব…
এতটু বেল আবার চুপ। আমার চােখর কানায় হালকা জল। তবু, িনেজেক সামেল িনলাম। কারন, মেনর ধ এখন
অন জায়গায়।
– মর মা! তুিম ঘের যাও। একটু িবাম কেরা। বুঝেল! আমারও একটু িবােমর দরকার। অেনক পুরেনা কথা মেন
কিরেয় িদেল তুিম।
আিম ধীর পােয় আমার ঘেরর িদেক চেল এলাম। বেস বেস কািকমার কথাটাই ভাবিছলাম। িক, সবিকছু িকরকম
যন অিবাস লাগেছ। এটা তা হেত পাের না। শামল তা িমেথ নয়। স ধু আমার ৃিতও নয়, আমার িতটা
অ তার শ চেন। ভীষন ভােব চেন। আমার েতকটা অনুভূিত তার অি জােন। তাহেল কানটা সিত? আর
কানটাই বা িমেথ ! চাখ ফেট কাা বর হেয় এল। বািলেশ চাখ চেপ পাগেলর মতন কাঁদেত লাগলাম। এ কাা,
জািন এখন থামেবনা। কখেনা কখেনা মেন হয় থামেত িদেতও নই। মন হালকা করার শষ চা তা এটাই।
এই ঘটনার একমাস কেট গল। আমার ও কািকমার মন থেক ধীের ধীের মুেছ যেত থাকল শামেলর অি।
চারপাশ ভের উঠল এক আকাশ ভরা সাতারার সমােবেশ। সখােন আিম বড়ই একা । তুিম আমার িবাস ভেঙছ
শামল । সূেযর আেলা এ ঘের ঢােকিন িবগত িতন মাস ধের। জানলা খালার ইেটােক দিমেয় রেখিছ, তার চেয়ও
বিশ, িনেজেক দিমেয় রেখিছ কারন তামার চােখর িদেক চাখ রাখেবা না তাই। পাথর ভাঙেত হাতুিড় লােগ, আর
আমায় ভাঙেত লােগ, আঘাত। িনেজেক সবার কােছ কন পিরচয় িদেয় আসা মানুষটাও, মাঝরােত ভােঙ, ভেঙ
চুরমার হেয় যায়। জমেত থাকা আঘােতর দাগ মাছা যায়না কােনা িকছু িদেয়ই, কবল িবাস শটা নেল, ব
হািস পায়।
মানুষেক ভেঙ দওয়া সিদন কন হয়, যিদন স মৃতুর চেয়ও বিশ শা হেয় যায়। তুিম িফরেত চাইেছা,
আসেলই িফরেত চাইেছা। িক হন করার বা না করার আিম কউ নই। তামার চােখর িদেক তািকেয় সম সিত
দখিছ আর আমার ঠাঁট আওড়াে িমেথ বুিল। আমার রাগ হয়িন একটুও, িবাস কেরা, বরং কনা িড়েয়ছ
তুিম আমার থেক। ধু সিদেনর পর তামায় বুেক জিড়েয় ধরেত পািরিন । তামােক ভােলাবাসেত বাসেত আয়নার
মেতা হেয় গছ তুিম আমার কােছ।
য বািড়েত নুন আনেত পাা ফুেরায় সখােন কখেনা িবেদ আেসনা।
আমােদর থাকা না থাকায় পৃিথবীর িকছুই যায় আেস না। আর িকছু বদলায়ও না। ধু িবাস শটা সংা পেলানা
কােনা।
এমনটাই ভাবিছলাম কিদন ধের। অনিদেক মন বসিছল আেরক পুেষর কােছ । তার নাম রাজু। পােশই থােক।
যিদও, স আমায় ক ততটা চায় না। চায় ধু আমার দহ। তাই সটাই িদই তােক। তার বদেল , একটু কের
উতা জিমেয় রািখ িনেজর মেনর গভীের। তােত যিদ বরফ একটু হেলও গেল। তেব, সিদন রােত যা ঘটল , সটা
এেকবােরই আশা কিরিন। আিম দরজা খুেল রাজুর জনই অেপা করিছলাম। হটাৎ চাখ পড়ল পদার বাইের।
– ক ,ক ওখােন! এিক তুিম!
আিম জাের িচৎকার কের উঠেত যািলাম, িক আমার মুখটা চেপ ধরল সই শিশালী হাত। তারপর ঘের ঢুেক
দরজা ব কের িদল স।
– শামল! তুিম! তুিম বঁেচ আেছা! ওহ! িক য হে….
— মর , শা হও। আিম ভূত নই। আিম জীিবত, দেখা আিম সিতই জীিবত….
– তাহেল তামার মা য বলল…
– আে মর আে, অত জাের িচৎকার কােরা না
আিম কানরকেম িনেজেক শা করলাম। িক, কমন যন একটা হে আমার শরীের। চাখ ফেট জল নেম
আসেছ। এতিদন পর আবার দখলাম তােক। কমন যন মেন হে,
আমরা কউ ায়ী নয়। কেনা িছলাম না। ধু ছুঁেয় িছলাম, িকছুটা সময়। িকছুটা মুত। যা হয়েতা বদেল যেত
পাের কােনা কারণ ছাড়াই.. এবং সই বদেলর জন য কােনা সময় িনেজেদর তির থাকেত হেব। শ থাকেত হেব।
মায়া কাটােত হেব।
যােত দুঃেখর আঁচ শ না করেত পাের, পররেক। এ কানা পিরবতনশীল।
তাই দেয়র কাছাকািছ এেস উেব যেত হেব, ক কপূেরর মেতা। িবনা অনুমিতেতই…
– কমন আেছা মর !
আমার িচার ভাঁজ িছ কের বলল স। আিম িকছু বললাম না,
– িক হল মর! জািন আমার উপর রাগ কের আেছা, িক আমার য িকছু করার িছল না।
– িছল, অেনক িকছুই করার িছল। আিম তা ফলনা। তাই আমায় একা ফেল চেল যাওয়া যায়, আমায় িনেজর
ইেমত কানায় পােয় কাঁদােনা যায়। িক, আমার কােছ আসা যায় না।
– না ,সটা নয় মর। আমার য দূের চেল যাওয়ার অেনক কারন িছল। আিম তা মৃত নই। জলজা তামার
সামেন বেস আিছ। দেখা। িক, অেনক িকছুই গাপন রাখেত হেয়েছ…. তামায় বাঁচােনার জন।
– এটােক বাঁচা বেল না। একা একা, লােকর কণায় বাঁচা ক আিম বঁেচ থাকা মেন কির না ।
– আমায় মা কেরা।
– আেরকটা কথা। তামার বািড়েত জােন য, তুিম বঁেচ নই। সটা কন?
– অেনক িকছুই হেয়েছ এই বািড়েত। আর ধু এই বািড় নয়, আিম তামার জীবেন তামার জানার আেগ থেকই
রেয়িছ।
– মােন! িক বলেল, ক বুঝলাম না
– আজ যটা বলব, সটা েন আমায় মা করেত পারেব? মেন তা হয় না, তাও বলিছ।
– িক কথা!
– যিদন তুিম পািলেয়িছেল, সিদন তামার বােগ আিম কেয়ক হাজার টাকা িদেয়িছলাম , সটা মেন আেছ!
– হাঁ আেছ, ায় ১১ হাজার টাকা
– ওই টাকা আসেল তামার টাকা!
– আমার টাকা!
– হাঁ, তামার টাকা। ওেত তামার অিধকার আেছ ।
– ওেত আমার অিধকার িকভােব আেছ শামল! তুিম য ক িক বলছ আিম িকছুই বুঝেত পারিছ না।
– কারণ ওই 11 হাজার টাকা িদেয় তামার বািড়র লাক, য অাত বির কােছ িবি কের িগেয়িছল তামােক,
সই লাকটা আমার বস িছল। আর তামােক অান কের ওই হাড়কাটা গিলেত িনেয় গিছলাম এই আিম িনেজই।
তুিম অান হেয় িগেয়িছেল বেল িচনেত পােরািন আমােক।
– িক, িক বলেল তুিম!
– হাঁ, আিম ক বলিছ। আর সবেচেয় বড় কথা, আমার য মৃতুর খবর ছিড়েয়িছল পাঁচ বছর আেগ। ওটা ভুয়া
খবর। ওটা আিমই ছিড়েয়িছলাম। নাহেল , বািড়র লােকর জীবেন এখেনর এই শািটা িফরেতা না। ওরা জােন না য
আিম বঁেচ আিছ।
– আর সই জনই আমায় পােয় িদেল এখােন? যােত আিম ওেদর দখানা করেত পাির!
– হাঁ , তুিম ওই গিল ছাড়ার পর , আিম ওখােন আন ািলেয় িদেয় এেসিছ। খবর পেয়ছ িনয়ই।
কথাটা বেল একটা িশ সুলভ হািস হেস উঠল শামল। আিম বললাম,
– আমার জন এত িকছু করেত গেল কন? এমনিক ওই িতনেট লাকেক িনেজর হােত খুন করেল! কন?
– করেত হেয়েছ! আিম দল ছেড় ফরার হেয় গিছলাম। ওরা আমার দেলরই লাক িছল। তাই ওেদর দুবলতা আিম
জানতাম। তেব, একটাই দুঃখ, বা আেপ যাই বেলা…
– িকেসর আেপ…
– য হাত তামার শ পেয়েছ, স হাত িদেয় আিম খুন কেরিছ। খুন এক পশািচক খলা মর… িনেজেক থামােত
পািরিন। তার জনই মা চাইেত এেসিছ। আমায় মা করেব তা আজ!
আিম তােক িনেজর বুেক টেন িনলাম। তার ঠাঁট দুেটােত িমেশ গেছ আমার ঠাঁট দুেটা। থেম ভয় ও পের লায়
চুপ হেয় রইলাম । অনুভব করলাম আমােদর দুজেনরই চাখ কাায় ভেস চেলেছ। আিম িনেজেক আর আটকালাম
না। দুজন ভেস গলাম িকেসর যন এক ােত, ;গভীর গাপন দেশ িনিবড় চুেনর গহীন অরেণ। আেরা শ কের
চেপ জিড়েয় ধরলাম আমরা এেক অপরেক। থামেত পারলাম না। আসেল এই ঠাঁেটর যু এমন এক যু যােত কউ
হাের না। মেনর িমলন হয়, িমলন হয় দুই পরােগর। সব েশর কােছ িজেত যায় এই শ।
রাত হেয়েছ। আিম ও শামল দুজেনই জেগ আিছ। আমার মাথা শামেলর উু বুেক। আিম বললাম
– আা শামল, একটা কথা িজাসা করব?
– বেলা!
– তামার িক িনেজর মা বাবার কথা মেন পেড় না?
-মেন পেড়,
-ওেদর কােছ যেত ইে কের না?
– না! আিম তা ওেদর কােছ মের গিছ। মের যাওয়া মানুেষর আবার কান থােক বুিঝ!
– যিদ বিল থােক? তামার মা তামার জন এখেনা কাঁেদ! সটা িক তুিম জােনা?
– না, িবাস করলাম না কথাটা! এই লাার ছেলর জন ক কাঁদেব?
– ছেল তা ছেলই হয়! স লাার হাক বা ভােলা, িনেজরই তা হয়? আসেল মেয়রা হল মােয়র জাত….. তাই
তামার মােয়র ক আিম ভােলা মতনই বুিঝ।
– তামার অত বুেঝ কাজ নই মর! আিম ওেদর সামেন আর যাব না কানিদন। তুিম ওেদরেক ভােলা রাখেব ,
আিম এটুই চাই।
– কন, আমরা দুজন িমেল ভােলা রাখেত পারব না কন!
– উরটা য আিম িদলাম এুিন…
– ওই উের আিম ভুলেবা না! কাল সকােল তুিম আমার সােথ তামার মােয়র ঘের যােব। আিম তামার মা ক সব
বুিঝেয় বলেবা
– না, মর , এই আবদারটা কেরা না। আিম রাখেত পারেবা না!
– আমার জন ও পারেব না?
– না, মর, ছেলমানুষী কােরা না। আিম িক মুখ দখােবা এই পাঁচ বছর পের! িক বলেবা িগেয়? তামােদর মরা
ছেল িফের এেসেছ ৫ বছর পের! তােক কােল তুেল নাচাও? যসব
উেিজত হেয় শামল িবছানা থেক উেঠ বেস পড়ল। আিমও উেঠ বেস বললাম
– আা, তুিম যখন চাও না ,তখন দরকার নই। আিম বড় াথপর। আসেল িনেজর মা নই তা, তামার মা ক
বড় আপন কের িনেয়িছলাম। আর তামােকও তাই…. একসােথ ঘর বাঁধা য এই পািখর ভােগ নই, আর তার
উিচতও নয় এসব দখা!
– মর ….. মর , ক পও না! আমায় ভাবেত দাও, দুিদন পের আিম িফের আসেবা আবার। এেস বলব
বেল উেঠ দাঁড়ােলা শামল। িনেজর জামাটা গিলেয় বেরােনার জন তির হেত লাগল। আিম হাত বািড়েয় তার আঙুল
দুেটা ধের বললাম
– িফের আসেব? সিত? নািক, আবার হািরেয় যােব ওই মিরচীকা ত?
– না িফের আসেবা, ধুমা তামার জন….
বেল অকাের িমিলেয় গল স। তেব, স িফেরিছল। ক পেরর িদনই। আমার হাত ধের বেলিছল,
– মর, তুিম তামার নােমর মতনই জােনা। তুিম আমায় আশার আেলা িদেয়ছ। আিম য তামায় এই নাংরা গিলেত
তুেল িনেয় গিছলাম, সটা শানার পরও তুিম আমােক মন াণ ভের কােছ টেন িনেয়ছ। এরপর ও তামার কথা না
নেল ঈর য আমােক কন শাি দেবন। চেলা, মােয়র ঘের চেলা।
এর পেরর ঘটনা খুবই সংি। শামল ক দেখ ওর মা বাবা, দুজেনই পাগেলর মতন কঁেদিছল সিদন। তারপর
িনেজর ছেলেক মন খুেল িফিরেয় আেন িনেজর ঘের। ছেলেক উেপা কের ক থাকেত পাের? ভােলাবাসার টান য
িচরন। তাই, আর কান িবেদ নয়। এবার ধুই িমলেনর গ। ধুই ভােলা থাকার গ। আর এই গ িলখেত
িগেয়, আমােক করেত হেয়েছ অেনক যু। এই যুের েতকটা মানুষ এক একটা যাা। েতেকর অ া হেয়েছ
দীঘযুের পথ ধের। এখন ধুই িবােমর পালা। আিম িনেজও খুব া। শাির খাঁেজ মাথা রািখ শামেলর বুেক।