ফ্রীলান্সিং ক্যারিয়ার কতটা গুরুত্বপূর্ণ ?

আমার মতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফ্রীলাসিং ক্যারিয়ার এর মূল্য খুব ভালো। কারণ, ফ্রীল্যান্সিং একাউন্ট আপনার সিভি তে যোগ করে দিলে আপনি অনেক আই.টি ফার্ম এ এবং মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি তে অনায়েসে জব পেয়ে যাবেন। আমি অনেকেই দেখেছি, যারা প্রথম দিকে ফ্রীল্যান্সিং করতো কিন্তু এখন আই.টি ফার্ম বা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি তে জব করছে তাও ভালো স্যালারীতে। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার ফ্রীল্যান্সিং নিয়ে যুব সমাজ কে দক্ষ করে তুলছে। কারণ, ফ্রীলান্সিং কাজের মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স আসে।

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে এ্যানালাইসিসের গুরুত্ব কেমন, এবং কি ভাবে এ্যানালাইসিস করতে হয় ?

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে এ্যানালাইসিসের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে সঠিক এ্যানালাইসিসের মাধ্যমে আপনি অনেক আয় করতে পারবেন পাশাপাশি আপনি নতুন বিনিয়োগকারীদের গাইড ও করতে পারবেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লাভ হয় তখনি, যখন মার্কেট উদ্ধমুখি (বুলিশ) ট্রেন্ডে থাকে। তাই এর এ্যানালাইসিস সহজ। আপনি প্রথমে ট্রেন্ড লাইন সম্বন্ধে শিখুন, যাতে মার্কেট কোন ট্রেন্ড এ আছে তা জানতে পারেন। যেমন:- মার্কেট বুলিশ নাকি বিয়ারিশ ট্রেন্ডে আছে তা জানা। সার্পোট-রেসিসটেন্স সম্বন্ধে শিখুন, কারণ সার্পোট-রেসিসটেন্স দ্বারা ক্রিপ্টোকয়েনের প্রাইজ জোন বের করা হয়। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল ও সোশ্যাল সাইটের গ্রুপ থেকে কয়েন বাই করার ব্যাপারে ডাটা সংগ্রহ করতে পারবেন, যাকে সেন্টিমেন্ট এ্যানালাইসিস বলে। বিভিন্ন ক্রিপ্টো মুদ্রার নিউজ এর উপর চোখ রাখতে হবে। কারণ, নিউজের প্রভাব ক্রিপ্টো কয়েনের উপর প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে।  

ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং কি ?

প্রকৃতপক্ষে ক্রিপ্টোকারেন্সি সঠিকভাবে লেনদেন করার জন্য করার জন্য তেমন কোন বড় প্রতিষ্ঠান ও নেই। এই ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য একদল লোক ভলেন্টিয়ার বা স্বেচ্চাসেবক হিসেবে কাজ করে। বিনিময়ে ব্লকচেইন সিস্টেম সেসব ভলেন্টিয়ারকে ক্রিপ্টো কারেন্সি প্রদান করে, যাকে আমরা মাইনিং বলে জানি। তাছাড়া, ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য কাজ করে ডিজিটাল অর্থ উপার্জন কে বলা হয় মাইনিং। মাইনিং করার জন্য শক্তিশালী কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া একাজে বিপুল পরিমানে বিদ্যুৎ ও খরচ হয়।

ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা কি আয় করতে পারবে ?

ক্রিপ্টোকারেন্সির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে অনেক ক্রিপ্টো কোম্পানী গড়ে উঠছে এবং বিভিন্ন কোম্পানী নিজস্ব ক্রিপ্টো মুদ্রা তৈরী করছে, যেমন বর্তমানে ফেসবুক লিবরা (Libra) নামক ক্রিপ্টো মুদ্রা চালু করছে। কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবসা পরিচালনার জন্য দরকার হবে দক্ষ জনবল। তাই ক্রিপ্টো-ইকোনমিক্স নিয়ে জ্ঞান অর্জন করা ভালো। ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর মানুষকে দক্ষ করতে “Coinbase” Learn & Earn নামে একটি প্রজেক্ট চালু করেছে। যেখান থেকে আপনি শিখার বিনিময়ে ক্রিপ্টোকয়েন পাবেন। এই লিংকের মাধ্যমে আপনি আরও জানতে পারবেন- www.coinbase.com/earn

ক্রিপ্টো-ইকোনমিক্স কি ?

ক্রিপ্টো-ইকোনমিক্স এর সৃষ্টি হয়েছে দুইটি বিষয় এর উপর আলোকপাত করে, বিষয়গুলো হলো- ১. ক্রিপ্টোগ্রাফি, ২. ইকনোমিক্স। ক্রিপ্টো-ইকোনমিক্স বলতে ডিজিটাল অর্থনীতিতে পণ্য এবং পরিশেবা গুলির উৎপাদন, বিতরণ এবং ব্যবহার পরিচালনা করে৷ বøকচেইন হলো ক্রিপ্টো ইকোনোমিক্স এর মূল চালিকা শক্তি।

ক্রিপ্টোকারেন্সি স্ক্যাম থেকে বেঁচে থাকার উপায় ?

নিজের মূলধন বাঁচানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই ৫ টি ক্রিপ্টোকারেন্সি স্ক্যাম থেকে সর্তক থাকতে হবে। কারণ, হ্যাকাররা ক্রিপ্টোকারেন্সি দ্বারা লেন-দেন করে থাকে। তাই হ্যাকাররা ক্রিপ্টোকারেন্সি এ্যাকাউন্ট হ্যাক করার জন্য সদা তৎপর থাকে। নিচে ৫ টি ক্রিপ্টোকারেন্সি স্ক্যাম নাম দেওয়া হলো-

পঞ্জি স্কিম।

ফিশিং ইমেইল।

জাল এক্সচেঞ্জ এবং ওয়ালেট ওয়েবসাইট।

জাল অ্যাপস।

ICO কেলেঙ্কারী।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট কি ?

লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট ব্যবহার করে, কিন্তু তারা কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে যথেষ্ট ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে। প্রথাগত ‘পকেট’ ওয়ালেট এর বিপরীতে, ডিজিটাল ওয়ালেট গুলি মুদ্রা সংরক্ষণ করে না। প্রকৃতপক্ষে, মুদ্রাগুলি কোনো একক স্থানে সংরক্ষণ করা হয় না বা কোনো আকারে কোথাও বিদ্যমান থাকে না। যা আছে সবই ব্লককচেইনে সঞ্চিত লেনদেনের রেকর্ড।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট হল সফটওয়্যার প্রোগ্রাম যা আপনার পাবলিক এবং প্রাইভেট কী এবং ইন্টারফেস যা বিভিন্ন ব্লককচেইনের থেকে লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যালেন্স পর্যবেক্ষণ করতে পারে, ক্রিপ্টোমুদ্রা পাঠাতে পারে এবং অন্যান্য কাজ পরিচালনা করতে পারে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসায় কি ঝুকি আছে ?

ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসায় সবচেয়ে বড় ঝুকি হলো হ্যাকিং। অব্যবস্থাপনার কারনে বহু ক্রিপ্টো কারেন্সি কোম্পানিও তাদের বিপুল অর্থ হারিয়েছে। কারণ, হ্যাকরদের হাত থেকে ওয়েবসাইট রক্ষা করতে তেমন কোন নিরাপত্তা গ্রহন করে না। বিশ্বের সবচাইতে বড়ো বিটকয়েন এক্সেঞ্জ Bit stamp টকিও ভিত্তিক Coin Check এবং Mt Gox, Bit Finex, Ethereum Classic সহ অনেক ক্রিপ্টো কোম্পানি হ্যাকিং এর স্বীকার হয়েছে। যার ফলে, এইসব কোম্পানীর গ্রাহকরা বিশাল লস গ্রহন করেছে।

উপার্জন করার লক্ষ্যে কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সী ক্রয়-বিক্রয় করা যায় ?

ক্রিপ্টোকারেন্সী ক্রয়-বিক্রয় একটু জটিল বিষয়, কারণ আপনাকে সঠিক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সী ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে যাতে আপনার কষ্টের টাকা হ্যাকারদের জন্য চুরি না হয়ে যায়। আমি আপনাদেরকে ২টি ওয়েবসাইটের কথা বলবো যার মাধ্যমে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সী ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন।

১. www.binance.com/en

২. www.etoro.com

ক্রিপ্টোকয়েনে বিনিয়োগ করার জন্য উত্তম সময় কখন ?

মূলত “বাই, সেল ও হোল্ড” এই ৩ টি বিষয় এর উপর ভিত্তি করে ক্রিপ্টোকয়েনে বিনিয়োগ করতে হবে। ক্রিপ্টোকয়েনে বিনিয়োগ করার উত্তম সময় হলো যখন ক্রিপ্টোকয়েনে মূল্য কম থাকে। কারণ, বেশী দামে ক্রিপ্টো মুদ্রা ক্রয় করলে লাভের সম্ভবনা অনেক কম থাকে এবং ক্রিপ্টো মুদ্রা দীর্ঘদিন হোল্ড করে রাখতে হবে। তাই ক্রিপ্টো মুদ্রার মূল্য কমার জন্য অপেক্ষা করতে হবে এবং মূল্য কমলে ক্রিপ্টো মুদ্রা ক্রয় করতে হবে।