ফ্রিল্যান্সার.কম এ্যাকাউন্ট ডিসেবল থেকে পরিত্রান এর উপায় কি ?

ফ্রীল্যান্সিং একাউন্ট সবসময় যত্ন সহকারে নিয়ম মেনে চালানো উচিত। কারণ, যদি আপনার একাউন্ট কোনো কারণে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। নিম্নে কারণ গুলো তুলে ধরা হলো যে কি কারণে একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়-

  • প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড সম্পাদন করলে বা অংশগ্রহণ করলে।
  • অন্য ফ্রীলান্সার বা ক্লায়েন্ট একাউন্ট ব্যবহারকারীদের অপব্যবহার বা হয়রানি করা।
  • কোন কাজ সম্পাদনের পর অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের জন্য ব্ল্যাকমেলকরলে।
  • কোনো ফ্রীলান্সার বা ক্লায়েন্ট এর সাথে প্রতারণা করা।
  • ভাইরাস বা ক্ষতিকারক সাইটের লিঙ্ক ছড়ালে।
  • নিজের আসল পরিচয় গোপন করলে।
  • রেফারেল প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যবসা করলে।
  • অ্যাকাউন্ট ক্রয় বা বিক্রয় করলে।
  • মানি লন্ডারিং, স্প্যামিং এবং হ্যাকিংয়ের মতো কাজ অথবা আমাদের শর্তাবলী লঙ্ঘন করে এমন প্রকল্পে পোস্ট করা বা অংশগ্রহণ করলে।

উপরোক্ত কাজ গুলো করলে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে. যেমন, ১০০ এর মধ্যে ৯৯ ভাগ চান্স থাকে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার।

ফ্রিল্যান্সার.কম থেকে কিভাবে আয় করতে হয় ?

ফ্রীলান্সার.কম থেকে কাজ করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে আপনার প্রোফাইল সেটআপ করতে হবে। সবসময় কনটেস্ট এ অংশগ্রহন করতে হবে এবং প্রজেক্ট এর জন্য বিড করতে হবে। কাজ সবসময় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। ক্লায়েন্ট এর সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে এবং নিয়মিত কাজের আপডেট দিতে হবে। এতে ক্লায়েন্ট নিশ্চিত থাকতে পারে, এবং অন্য সব প্রজেক্ট পাওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়।

ফ্রিল্যান্সিং শিখার পাশাপাশি কিভাবে ইন্টারনেট থেকে উপার্জন করবো ?

ফ্রীলান্সিং শিক্ষার পাশাপাশি কিছু ইনকাম করতে পারলে ফ্রীল্যান্সিং শিক্ষার ইচা তা আরো বেড়ে যায়। তাই আমি আপনাকে picoworkers.com এ কাজ শুরু করতে বলবো। কারণ, এইখানে আপনি খুব সহজ কাজ পাবেন যা আপনি ১০-১৫ মিনিট এর মধ্যে শেষ করতে পারবেন। আপনি এইখানে ০.০৫-০.৫০ সেন্ট্ পাবেন প্রত্যেক কাজ এর জন্য। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করা টাকা স্ক্রীল এর মাধম্যে উইথড্র করতে পারবেন।

কোন স্কিল বা কাজের উপর দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সমূহ কি ?

কোনো স্কীল বা কাজের উপর দক্ষতা অর্জনের জন্য সর্বপথম খুঁজে বের করুন আপনি কোন কাজ করতে পছন্দ করেন, তা নির্বাচন করবেন। এর পর কোনো Youtube চ্যানেল বা বিভিন্ন রকম অনলাইন ট্রেনিং ইন্সটিউট আছে এর মাধম্যে কাজ শিখা শুরু করা। আপনার ফেইসবুক এবং অন্য সব সোশ্যাল সাইট আপনি যেই কাজ শিখছেন সেই কাজ এর বিভিন্ন গ্রুপ জয়েন দেওয়া। কারণ, এইসব গ্রুপ এর মাধ্যমে আপনি নতুন কাজ সম্বন্ধে জানতে পারবেন এবং আপনি বিভিন্ন খবর জানতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কি ভাবে শুরু করবো ?

ফ্রীল্যান্সিং শুরু করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে যে কোনো ১টি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তারপর, Upwork, Fiverr এবং People per hour নিয়ে রিসার্চ করতে হবে এবং Youtube এ ফ্রীল্যান্সিং টিপস এবং ট্রিকস এর ভিডিও গুলো দেখে নিবেন। আমি বলবো প্রথমে আপনি Fiverr দিয়ে ফ্রীল্যান্কিং শুরু করুন এবং একটি সুন্দর পোর্টফোলিও তৈরি করুন। তারপর Upwork এ ফ্রীল্যান্কিং শুরু করুন। কারণ, Upwork ভালো ফলাফল আশা করতে হলে আপনাকে মাসিক চার্জ দিয়ে একাউন্ট চালাতে হবে।

ফাইবার এ্যাকাউন্ট ডিসেবল থেকে পরিত্রান এর উপায় কি ?

ফ্রীল্যান্সিং একাউন্ট সবসময় যত্ন সহকারে নিয়ম মেনে চালানো উচিত। কারণ, যদি আপনার একাউন্ট কোনো কারণে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। নিম্নে প্রধান কারণ গুলো তুলে ধরা হলো যে কি কারণে একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়-

এক কম্পিউটার বা একই ইন্টারনেট আইপির মধ্যে ২টি একাউন্ট পরিচালনা করলে।

  • অন্যের গিগ কপি করলে।
  • কোনো ক্লায়েন্ট আপনার ব্যাপারে অভিযোগ করলে।
  • অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের জন্য কোনো ক্লায়েন্ট কে চাপ দিলে।
  • একাউন্ট এর একটিভিটি ঠিক না থাকলে।

উপরোক্ত কারণে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে. যেমন, ১০০ এর মধ্যে ৯৯ ভাগ চান্স থাকে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার।

কিভাবে গিগ তৈরী করলে ফাইবারে অর্ডার পাওয়া যাবে ?

ফাইবার এ কাজ পেতে হলে আপনার অবসসই একটি সুন্দর গিগ থাকতে হবে। কারণ, ফাইবার এ কাজ পেতে হলে আপনাকে গিগ সুন্দর করে বানাতে হবে। কিভাবে গিগ বানালে এবং কি করলে ফাইবার এ কাজ পেতে সুবিধা হবে তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

  • অন্যের গিগ কপি না করে নিজে গিগ বানানো।
  • গিগ এর টাইটেল সুন্দর ভাবে দিতে হবে কিন্তু গিগ এর টাইটেল এস.ই.ও অপটিমাইজড হতে হবে।
  • সবসময় ক্লায়েন্ট রিকোয়েস্ট দিতে হবে।
  • যত জলদি সম্ভব ক্লায়েন্ট এর মেসেজের এর রিপ্লাই দিতে হবে।
  • নিজের গিগ এর মার্কেটিং ও এস.ই.ও করতে হবে।

উপরোক্ত কাজ গুলো সঠিক ভাবে সম্পন্ন করলে ফাইবার এ কাজ পাবার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে।

কিভাবে ফাইবার এর ক্লায়েন্ট ধরে রাখবেন ?

প্রথমত, ফাইবার কাজ এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করবেন ক্লায়েন্ট এর দেওয়া নির্দিষ্ট সময়। কারণ, ফাইবার এ নির্দিষ্ট সময়ে কাজ জমা দিতে হয়।

দ্বিতীয়ত, ক্লায়েন্ট এর মেসেজের রিপ্লাই যত জলদি সম্ভব দিবেন। কারণ, ক্লায়েন্ট সাধারণত কয়েকজন এ কাজে এর জন্য নক করে, যার সাথে কাজ এর ডিল ভালো ভাবে সম্পন্ন হয় তাকে কাজ দিয়ে থাকে। তাই যত জলদি পারেন ক্লায়েন্টের রিপ্লাই দিবেন।

তৃতীয়ত, ক্লায়েন্ট এর সাথে কাজ নিয়ে ভালোভাবে আলোচনা করবেন এবং কাজের আপডেট দিবেন. এতে ক্লায়েন্ট নিশ্চিন্তে থাকে।

উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে কাজ করলেই ফাইবার এ ভালো কাজ পাবেন।

আপওয়ার্কে কি ভাবে জবে বিড করলে কাজ পাওয়ার সম্ভবনা বেশী থাকে ?

আপওয়ার্কে যে কোনো প্রজেক্ট এ কাজ করার জন্য আপনাকে বিড করতে হবে। বিড এর মাধম্যে আপওয়ার্কে ৮৫% কাজ দেওয়া হয়। তাই বিড করার সময় কিছু কৌশল অবলম্বন করলে প্রজেক্ট কাজ করার সুযোগ অনেক বেড়ে যায় এবং ঘন্টা হিসেবে জব পাওয়া যায়। বিড করার সময় ক্লায়েন্ট এর নাম কভার লেটারে যোগ করে দিলে ক্লায়েন্ট বুঝতে পারে যে আপনি উনার প্রোফাইল দেখছেন। কভার লেটারে প্রজেক্ট এর ব্যাপারে আলোচনা করবেন কিন্তু সংক্ষিপ্ত ভাবে। কখনো কপি করা কভার লেটার দিবেন না, এতে কাজ পাওয়ার সুযোগ একদমই নেই বললেই চলে। নিজে টাইপ করে কভার লেটার লিখে জব এ বিড করবেন সবসময়।

কি কি কারণে আপওয়ার্ক এ্যাকাউন্ট ডিসেবল হয়ে যায় ?

ফ্রীল্যান্সিং একাউন্ট সবসময় যত্ন সহকারে নিয়ম মেনে চালানো উচিত। কারণ, যদি আপনার একাউন্ট কোনো কারণে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। নিম্নে কারণ গুলো তুলে ধরা হলো যে কি কারণে একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়-

  • ফেক প্রোফাইল ফটো ব্যবহার করলে।
  • একজন ব্যক্তি ২টি একাউন্ট ব্যবহার করলে।
  • কেউ যদি আপনার একাউন্ট এ লগইন করার চেষ্টা করে।
  • আপওয়ার্ক এর Timetracker সফটওয়্যার হ্যাক করার চেষ্টা করলে।
  • প্রোফাইল লোকেশন ফেক বা ভুল দিলে।
  • ফেক রিভিউ কারো কাছ থেকে ক্রয় করলে।
  • কোনো ক্লায়েন্ট যদি আপনার নাম অভিযোগ করে।

উপরোক্ত কারণে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে. যেমন, ১০০ এর মধ্যে ৯৯ ভাগ চান্স থাকে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার।