কিভাবে অন্যের কাছে প্রিয় মানুষ হয়ে উঠবেন ?

অনেকে কাছে প্রিয় মানুষ হয়ে উঠতে হলে আপনাকে নিম্নের কিছু টিপস মেনে চলতে হবে-

  • ভদ্র ব্যবহার করতে হবে সবার সাথে।
  • সবসময় সত্য কথা বলতে হবে।
  • সবসময় পজিটিভ কথা বলুন, ভালো কাজে উৎসাহ দিন।
  • মানুষের আবেগ দেখে কথা পরিবর্তন করতে শিখুন।
  • আপনার চাইতে যোগ্যতায় ছোট মানুষ কে সম্মান দিয়ে কথা বলুন।
  • কারো সমস্যার সময় তাকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করুন।
  • মানুষের সাথে সবসময় হাসি মুখে কথা বলুন।
  • কথা দিয়ে কথা রাখা।

এইসব গুণাবলী আপনি নিজের মাঝে গড়ে তোলার অভ্যাস করুন।

কিভাবে একাকিত্ব কাটানো যায় ?

বর্তমানে মানুষ সব সময় টাকার পিছনে ছুটে রোবট হয়ে যাচ্ছে। তাই কেউ কারো সাথে মিশে না, যার ফলে মানুষ অনেক সময় একাকিত্ব বোধ করে। কিন্তু আপনার একাকিত্ব কাটানোর উপায় আপনাকে বের করতে হবে। এরপরও আমি আপনাকে কিছু টিপস দেওয়া হোল যাতে আপনি আপনার একাকিত্ব দূর করতে পারেন।

  • আপনি যেই কাজ পছন্দ করেন সেই কাজ তা করেন।
  • আপনার পছন্দের জায়গায় ঘুরতে যান।
  • পছন্দের গান শুনুন।
  • আর সবচাইতে ভালো হয় আপনার কোনো ট্যালেন্ট থাকলে তা প্র্যাক্টিস করুন।

উপরোক্ত কাজগুলো করলে আপনার একাকিত্ব কিছুটা দূর হয়ে যেতে পারে।

যদি কোনো একজন ব্যক্তি পরিবার বিমুখ হলে, কিভাবে তাকে পরিবারে ফিরিয়ে আনা যায় ?

অনেক মানুষ আছে যারা পরিবার বিমুখ হয়ে যায়। এবং একা  জীবন যাপন করতে চায়, যা খুবই বিপদজনক একজন মানুষের জন্য।  এতে করে সে মানসিক রুগী হয়ে যেতে পারে  অসৎ সঙ্গের কারণে জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে পরিবার বিমুখ ব্যক্তি কে পরিবারে ফিরিয়ে আন্তে হবে। নিম্নে কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হলো-

  • যদি ব্যাক্তি টি নেশাগ্রস্ত হয়, তাহলে তার নেশা ছাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
  • যদি ব্যক্তিটি পারিবারিক ঝামেলা পছন্দ না করে তাহলে, পরিবারের ঝামেলা থেকে তাকে দূরে রাখতে হবে।
  • যদি ব্যক্তির রাগ বেশি থাকার কারণে পরিবারের সদ্যদের থেকে দূরে থাকে তাহলে তার সাথে কম কথা বলে এবং তার দূরে থাকবেন। যদি সম্ভব হয় মানসিক ডাক্তার এর শরণাপন্ন হবেন।
  • যদি ব্যক্তি কোনো ঝামেলার জন্য পরিবার থেকে দূরে থাকতে চায় তাহলে তাকে কিছুদিন এর জন্য সময় দিন। এবং পরিবারে নিয়ে আসুন।

উপোরোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে দেখুন। এতে আমি আশা করি যে কাজ হতে পারে।

আপনার মতে যৌথ পরিবার ভালো নাকি একক পরিবার ভালো ?

আমার মতে একক পরিবার ভালো, কারণ একক পরিবারে অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করা যায়। তাছাড়া, বর্তমান সমাজে একক পরিবারের সংখ্যা খুবই বেশি। বিশেষ করে ঢাকায় একক পরিবারের সংখ্যা খুবই বেশি। নিম্নে একক পরিবারের সুবিধাগুলো তুলে ধরা হলো-

  • যে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত খুব সহজে নেওয়া যায়।
  • ঘরের কর্তার (মা-বাবা) সিদ্ধান্তে পরিবার পরিচালনা হয়।
  • স্বাধীনতা বেশি থাকে, নিজের ইচ্ছা মত চলা যায় এবং অর্থ সঞ্চয় খুব সহজে করা যায়।
  • পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের চাহিদা মিটানো যায়।

জীবনের উন্নয়নে পরিবার কেন গুরুত্বপূর্ণ ?

মানব জীবনে পরিবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আপনি খেয়াল করে দেখেন আপনার জীবনে অনেক বন্ধু এসেছে আবার চলে গেছে। আবার আপনার জীবনে কয়েকবার বা একবার ভালোবাসা এসেছে তা আবার চলেও গেছে, খুব কম সংখক মানুষ ভালোবাসায় সফল হয়। কিন্তু আপনি এখনো আপনার পরবিরের সাথে আছেন। যদি পরিবার না থাকতো তাহলে আপনার জীবন যাযাবর এর মতো হতো, জীবনে কোনো উন্নতি হতো না। তাছাড়া, পরবিয়ার না থাকার কারণে আপনি ভালো মন্দ বিচার না করে চলতে হতো যার ফলে আপনার ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যেত। তাই মানব জীবনে পরিবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ , কারণ মানুষের জীবনে প্রথম শিক্ষা লাভ হয় পরিবার থেকে।

কীভাবে সব বন্ধুদের সাথে ভালো বন্ধুত্ব বজায় রাখা যাবে ?

বন্ধুত্ব করার চেয়ে বন্ধুত্ব রক্ষা করা কঠিন। তাই কীভাবে সব বন্ধুদের সাথে ভালো বন্ধুত্ব বজায় রাখা যাবে, এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো-

  • সবসময় বন্ধুদের খোঁজ খবর নেওয়া।
  • যতটুকু পারেন বিপদের সময় বন্ধু কে সাহায্য করেন।
  • মাঝে মাঝে তাদের সাথে দেখা করেন।
  • তাদের সাথে কোথাও ঘুটে যাওয়ার সুযোগ পেলে ঘুরতে যান।
  • তাদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখুন।

বন্ধুর সাথে বন্ধুত্ব ভেঙে গেলে কিভাবে জোড়া লাগানো যাবে ?

যদি আপনি কোনো বন্ধুত্ব জোড়া লাগাতে চান, তাহলে আপনাকে আগে জানতে হবে যে আপনার বন্ধু কি আপনার সাথে আগের সম্পর্ক করতে চায় কিনা ! কারণ, সে যদি না চায় তাহলে আপনি পারবেন না বন্ধুত্ব জোড়া লাগাতে। এরপরও যদি বন্ধুত্ব জোড়া লাগাতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে দোষ খুঁজে বের করতে হবে। আপনি দোষ না করলেও বন্ধুর কাছে মাফ চাইবেন, কারণ বন্ধুত্ব ভাঙার পিছনে আপনার হাত রয়েছে। এরপর আপনি ওর সাথে ঘুরতে যেতে পারেন অথবা কোনো পার্টি করতে পারেন, যাতে আপনাদের মাঝে আবার হাসি- খুশি ফেরত আসে। কিন্তু পিছনের কোনো খারাপ ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা যাবে না। তাহলে বন্ধুত্ব জোড়া লাগাতে পারবেন।

কিভাবে সহজেই যে কারোর সাথে মেশা বা বন্ধুত্ব করা যায় ?

যদি আপনাকে যে কোনো মানুষের সাথে সহজে মিশে যেতে চান এবং বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে তাহলে আপনাকে কিছু বিষয় রপ্ত করতে হবে। নিম্নে বিষয় গুলো দেওয়া হলো-

প্রথমত, আপনাকে কথা বলা জানতে হবে।  যেকোনো বিষয় নিয়ে আপনি অনেক সময় কথা বলতে হবে।

দ্বিতীয়ত, মানুষ দেখে এবং তার কথা বার্তা শুনে আন্দাজ করতে হবে যে, সে কি পছন্দ করে এবং কি পছন্দ করে না।

তৃতিয়ত, আপনাকে সবসময় হাসি খুশি থাকতে হবে।

তাহলে আপনি যেকোনো মানুষের সাথে মিশে বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন।

কিভাবে মেয়েদের সাথে ভালো বন্ধুত্ব গড়ে তোলা যায় ?

একজন ছেলে ও একজন মেয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো মানসিকতা। তাই একজন ছেলে ও মেয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব বেশিদিন স্থায়ী হয় না। কিন্তু কিছু কৌশল অবলম্বন করলে আপনি বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবেন। নিম্নে কৌশল গুলো তুলে ধরা হলো-

  • মেয়েদের মন বুঝতে হবে।
  • রোমান্টিক কথা বলা।
  • অপবাদ না দেওয়া।
  • মেয়ের অতীত নিয়ে খোটা না দেওয়া।
  • মেয়ের বিশ্বাস অর্জন করুন।
  • জেন্ডার বিষয়ক কথা এড়িয়ে চলুন।

মুখোশ পরা বন্ধু কীভাবে চেনা সম্ভব ?

মুখোশ পড়া বন্ধু চিনতে পারা খুবই ভালো একটা গুণ। কিন্তু চিনতে না পারলে খুবই বিপদে আছেন। তাই আপনি যাতে সহজে মুখোশ পরা বন্ধু চিনতে পারেন এই বিষয়ে নিম্নে কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে-

  • যে সব বন্ধু আপনার পাশে থাকার আশ্বাস দেয়, কিন্তু প্রয়োজনের সময় পশে থাকে না।
  • আপনার উন্নয়ন দেখে যে হিংসা করবে।
  • সুযোগ পেলে আপনার অন্য বন্ধুদের কাছে আপনার নামে বদনাম করবে।
  • সামান্য কোনো ব্যাপার নিয়ে আপনার উপর রেগে যায়।

এই রকম বন্ধুদের কাছ থেকে দূরে থাকবেন। কারণ, এইসব বন্ধু হলো মুখোশ ধারী বন্ধু।

Exit mobile version