আমাদের উচিত ভাই-বোনের সম্পর্ক বন্ধুর মতো হওয়া উচিত। কারণ, এতে করে তারা কিশোর বা কিশোরী বয়সে কোনো ভুল করার হাত থেকে রক্ষা পায়। কারণ, আমরা অনেক সময় অনেক বিষয় মা-বাবার সাথে আলোচনা করতে ভয় পাই। কিন্তু আমাদের বহায়-বোনের সম্পর্ক যদি বন্ধুর মতো হয় তাহলে আমরা যেকোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারবো এবং সমাধান বের করতে পারবো।
Author: Rezaul Hoque
সম্পর্ক কিভাবে দীর্ঘস্থায়ী হয়ে ওঠে ?
- সম্পর্কে চাওয়া-পাওয়া কমিয়ে নিঃস্বার্থ ভাবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখুন।
- কথা কম বলুন, বেশী কথা বললে সম্পর্কে আনন্দ নষ্ট হয়ে যেতে থাকে।
- সম্পর্কের মাঝে ইগো রাখবেন না। কারণ, ইগো সম্পকে ফাটল সৃষ্টি করে।
- পৃথিবীতে এখন কেউ পারফেক্ট নয়। তাই প্রিয় মানুষের নেগেটিভ দিক ব্যাড দিয়ে পজিটিভ দিক মনে রাখুন।
- সম্পর্কে সন্দেহ করবেন না।
- প্রিয় মানুষটিকে ভুগতে চেষ্টা করুন।
- ক্ষমা চাওয়া শিখুন। কারণ, ক্ষমা চাওয়া জানলে আপনার সম্পর্ক অনেক দিন অনায়েসে টিকে থাকবে।
কিভাবে টেকনিক্যালি ‘না’ বলা যায় ?
কোন মানুষের মনে আঘাত না দিয়ে না বলা একটি শৈল্পিক ব্যাপার। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে না বলতে হবে নয়তো এর জন্য আপনাকে ঝামেলা বা যন্ত্রনা সহ্য করতে হবে। কিন্তু কাউকে কোনো বিষয়ে না বললে এর সাথে যথাযথ যুক্তি দিয়ে দিবেন। যাতে কেউ আপনার উপর কোনো দোষ অথবা রাগ না করে।
কিভাবে সহজ উপায়ে আপনি আপনার বন্ধু নির্বাচন করবেন ?
আপনি প্রধানত ৩ টি উপায়ে বন্ধু নির্বাচন করতে পারেন। উপায় তিনটি হলো-
১) আপনি আপনার নতুন বন্ধুর সাথে ১ দিনের জন্য ভ্রমণে যান।
২) নতুন বন্ধুর অতীত সমন্ধে জানার চেষ্টা করা এবং তাকে বুঝতে পারা।
৩) নতুন বন্ধুর সাথে যদি সম্ভব হয় তাহলে আংশিক লেন -দেন করুন।
কেউ পাত্তা না দিলে কী করবেন ?
যদি আপনাকে কেউ পাত্তা না দেয় তাহলে সেইসব মানুষ থেকে দূরে থাকা ভালো। কারণ, ওই সব মানুষের কাছ থেকে পাত্তা আদায় করতে গেলে উল্টো আপনাকে আরো অপমান হতে হবে। তাই এইসব মানুষ থেকে দূরে সরে যান এবং নিজের দক্ষতা ও ট্যালেন্ট বাড়ান। এবং নতুন মানুষের সাথে মিশার চেষ্টা করুন।
যে কোনো মানুষ কে কিভাবে চিনবো ?
প্রত্যেক মানুষের আচরণ আলাদা। তাই এক এক মানুষকে এক এক ভাবে চিনতে হবে। নিম্নে কিভাবে যেকোনো মানুষ কে চিনতে পারবেন, তা তুলে ধরা হলো-
- যে সব মানুষ গতিতে চলাচল করে তারা সাধারণত মানসিকভাবে অত্যান্ত শক্তিশালী ও আত্মবিশ্বাসী হয়।
- যে সব মানুষ ধীরে ধীরে কথা বলে তারা সাধারণত খুব বুদ্ধিমান হয়।
- আবার যারা খুব দ্রুত কথা তারা মানসিক ভাবে অস্থির হয়ে থাকে। তারা যে কোনো গোপন কথা খুব জলদি মানুষের কাছে বলে দেয়।
- নাম মনে রাখা খুব সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যারা নাম মনে রাখতে পারে তার সাধারণত বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে।
- যারা চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে তারা সাধারণত সাহসী এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকে।
এই ৫ গুণাবলীর উপর পর্যালোচনা করে মানুষ কে আপনি চিনতে পারবেন।
কাউকে বিয়ের আগে কি কি জানা উচিত ?
কাউকে বিয়ে করার আগে অব্যয় তার ভবিষ্যত সম্পর্কে আপনার জানতে হবে। নয়তো আপনি ভবিষ্যতে সংসার জীবনে অসুখী হতে পারেন। তাই বিয়ের আগে কিছু বিষয় অবশ্যই জেনে নিবেন। নিম্নে বিষয় গুলো তুলে ধরা হলো।
প্রথম বিষয়: ছেলে কি কোনো নেশায় আসক্ত কিনা, আর মেয়ে হলে জেনে নিবেন সে মোবাইল ব্যবহারে বেশি আসক্ত কিনা।
দ্বিতীয় বিষয়: ছেলের কোনো রোগ আছে কিনা, আর মেয়ে হলে জেনে নিতে হবে কোনো রোগ আছে কিনা।
তৃতীয় বিষয়: রক্তের গ্রুপ এর ব্যাপারে ২ জনেরই জ্ঞান থাকতে হবে জানতে হবে যে কার রক্তের গ্রুপ কোনটা।
চতুর্থ বিষয়: ছেলের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সমন্ধে জানুন , আর মেয়ে হলে তার অতীত সমন্ধে জানুন।
পঞ্চম বিষয়: ছেলে হলে জেনে নিবেন যে ছেলে ধূমপায়ী কিনা, আর মেয়ে হলে জেনে নিবেন যে মেয়ে মোবাইল এর প্রতি আসক্তি কিনা।
উপরোক্ত বিষয় গুলো জেনে বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া টা উত্তম কাজ।
বিয়ের আগে মেয়ের ব্যাপারে কী জানা উচিত ?
বিয়ের আগে একটা মেয়ের ব্যাপারে যেইসব বিষয় জানা উচিত তা নিম্নে দেওয়া হলো-
- মেয়ের চরিত্র কেমন এই বিষয়ে জানবেন।
- সবার সাথে মানিয়ে চলতে পারে কিনা তা জানবেন।
- মা বাবার সাথে কেমন ব্যবহার করে সেই বিষয়ে জানবেন।
- মেয়ের কোনো শারীরিক সমস্যা বা কোনো রোগ আছে কিনা, সেই বিষয়ে জানবেন।
- মেয়ের অতীত সম্পর্কে জানবেন।
- মেয়ের আত্মীয়দের ব্যাপারে জানার চেষ্টা করবেন।
এইসব বিষয় জেনে বিয়ে করা খুবই ভালো ভবিষৎতের জন্য।
মানুষের সাথে চলার সর্বোত্তম উপায় কি ?
জীবনে চলার পথে আপনাকে অনেক মানুষের সাথে মিশতে হবে। কিন্তু মানুষের সাথে এমন ভাবে মিশতে হবে যাতে আপনি কোনো কষ্ট না পান। এবং মানুষ আপনাকে ভালো জানুক। তাই নিম্নে কিছু উপায় দেওয়া হলো মানুষের সাথে মিশার জন্য-
- বেশী বন্ধু বানাবেন না।
- মানুষের কাছে সহজলভ্য হওয়ার দরকার নেই।
- যার তার সাথে বেশি মিশতে যাবেন না । কারণ, বেশি মিশলে পরে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় ।
- নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করুন এবং নিজের ভবিষ্যত সম্পর্কে চিন্তা করুন ।
- যদি কোনো মানুষের প্রস্তাব ভালো না লাগে তাহলে সরাসরি ‘না’ বলতে শিখুন ।
- নিজের ব্যক্তিগত বা গোপনীয় বিষয় যার তার সাথে আলোচনা করবেন না ।
আশা করি উপরোক্ত কৌশল মেনে চললে আপনি জীবনে কম কষ্ট পাবেন।
মানুষকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করার উপায় কী ?
নিম্নে উপায় গুলো দেয়া হলো-
- মানুষের সাথে কথা বলার সময় হেসে কথা বলবেন। কিন্তু, যে কোনো মানুষের সাথে কথা বলবেন না।
- পোশাক পড়ার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। উগ্র পোশাক না পড়া, মানসম্মত জুতা পড়া এবং রুচিশীল ভাবে সাজগোজ করা।
- মানুষকে অপমান করবেন না। যেমন, কারণ নাম ব্যাঙ্গ করবেন না।
- সবসময় কথা কম বলবেন, কারণ বেশি কথা বললে বেশি ভুল হওয়ার সম্ভবনা আছে। তাই কথা কম বলুন, এবং শুনুন বেশী।