শীতকালে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য কোন জায়গা উপযুক্ত ?

রাজধানী ঢাকার কাছে মানিকগঞ্জের ঝিটকা ঘুরে আস্তে পারেন। কারণ, ঝিটকায় রয়েছে দিগন্ত জোড়া সরিষার খেত। যেখানে হলো রঙের ফুল আপনার দৃষ্টি কে মুগ্ধ করবে। সেখানে দেখতে পারবেন কিভাবে মধু চাষ করা হয়। আর যদি সকাল বেলা পৌঁছাতে পারেন তাহলে পেয়ে যাবেন তাজা খেজুরের রস।

মানিকগঞ্জের ঝটিকার সরিষা খেত দেখার জন্য প্রথমে আপনাকে আসতে হবে মানিকগঞ্জ সদরে। সেখান থেকে লোকাল বাস অথবা সিএনজির মাধ্যমে আপনি ঝিটকা আসতে পারবেন।

জামালপুর জেলার দর্শনীয় স্থান এবং ঐতিহাসিক স্থাপনার নাম

নকশীকাঁথা ও হস্তশিল্প কাজের জন্য প্রসিদ্ধ জামালপুর জেলা পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত ময়মনসিংহ বিভাগের একটি জেলা। জামালপুরে কিছু দর্শনীয় স্থান আছে সাথে ঐতিহাসিক স্থাপনাও আছে। জামালপুর জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • লাউচাপড়া পিকনিক স্পট।
  • গান্ধী আশ্রম।
  • যমুনা সার কারখানা।
  • দয়াময়ী মন্দির।
  • হযরত শাহ জামাল (রঃ)-এর মাজার।
  • লুইস ভিলেজ রিসোর্ট অ্যান্ড পার্ক।
  • যমুনা সিটি পার্ক।

এই সব জায়গার ব্যাপারে আরো জানতে চাইলে ইন্টারনেটে সার্চ করতে পারেন।

রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ী

রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ী পযর্টকদের জন্য খুবই পছন্দের স্থান। রাজশাহী সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এবং রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক থেকে ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বর্তমানে এই বাড়িটি লস্করপুর ডিগ্রী কলেজে হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই বাড়িতে শ্যামসাগর নামে বিশাল একটি পুকুর রয়েছে। পুঠিয়া রাজবাড়ী প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার জন্য সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন রয়েছে যা প্রতিদিন দুপুর ২ টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায়, এবং গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এবং কল্যানপুর থেকে দেশ ট্রাভেল এবং গ্রীন লাইন রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।এছাড়া, শ্যামলি, হানিফ সোহো আরো কিছু পরিবহন রাজশাহী যায়।তাই যেকোনো রাজশাহীগামী বাস এ ছোড়ে রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ড নেমে ৫-১০ মিনিট পায়ে হেটে পুঠিয়া রাজবাড়ী যাওয়া যায়।

রাজশাহীর বাঘা মসজিদ

রাজশাহীর বাঘা মসজিদ রাজশাহী সদর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই প্রাচীন মসজিদে ৪ পাশে চারটি এবং মাঝখানে ১০ টি গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের পূর্ব পাশে ৫টি দরজা রয়েছে এবং বাকি দরজা গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে এই মসজিদের ছাদ ধসে পরে। পরে বাংলাদেশে প্রত্নতত্ব  বিভাগ এই মসজিদের ছাদ পুনঃ নির্মাণ করে। এই মসজিদের ভিতরে উঁচু বেদীতে নামাজের জন্য সংক্ৰক্ষিত জায়গা রয়েছে, যার রহস্য এখনো অজানা। এছাড়া, এই মসজিদে প্রচুর পোড়া মাটির ফলক দেখা যায়।

রাজশাহী সদর থেকে বাঘা যাওয়ার জন্য বিভিন্ন বাস আছে। আর ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার জন্য সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন রয়েছে, এবং গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এবং কল্যানপুর থেকে দেশ ট্রাভেল এবং গ্রীন লাইন রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

নেত্রকোনার বিরিশিরি

নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার একটি ঐতহ্যবাহী গ্রামের নাম বিরিশিরি। এইখানে আকর্ষণীয় স্থান হলো চীনামাটির পাহাড় এবং নীল পানি হৃদ। এছাড়া, বিরিশিরির অন্যান্য জায়গায় আরও দেখতে পারবেন সোমেশ্বর নদী, কমলা রানীর দিঘী ও রানিখং গীর্জা।

ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে জিন্নাত পরিবহন নেত্রকোনার সুখিনগর পর্যন্ত যায়। সেইখান থেকে একটা ছোট্ট নদী পার হয়ে রিকশা, বাস অথবা মোটরসাইকেল দিয়ে দুর্গাপুর যেতে হয়। সেখান থেকে হেটে অথবা রিক্সা দিয়ে আপনি আপনার পছন্দের জায়গায় ঘুরতে পারবেন।অথবা, আপনি ঢাকার কমলাপুর থেকে রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে হাওর এক্সপ্রেস এর মাধ্যমে শ্যামগঞ্জ ট্রেন স্টেশনে নেমে বাস অথবা সিএনজির মাধ্যমে বিরিশিরি যেতে পারবেন।

পঞ্চগড়ের কাঞ্চনজঙ্ঘা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য অবলোকন করা যায়। তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরে রয়েছে ভিক্টরিয়ান ধাঁচে বানানো ঐতিহাসিক ডাকবাংলো। এই ডাকবাংলোর কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে ঘিরে তৈরী করা হয়েছে পিকনিক স্পট। এই স্পট এবং ডাকবাংলোর বারান্দা থেকে শীত ও হেমন্তকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। কিন্তু কাঞ্চনজঙ্ঘা তখনি দেখা যায়, যখন আকাশ মেঘমুক্ত থাকে।

পঞ্চগড় যেতে চাইলে আপনি ট্রেন অথবা বাসে যেতে পারবেন। ঢাকার কমলাপুর থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, একতা ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে পঞ্চগড় যেতে পারেন, সেখান থেকে লোকাল বাস অথবা সিএনজির মাধ্যমে তেঁতুলিয়া যেতে হবে। অথবা, ঢাকার শ্যামলি, মিরপুর ও গাপতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে তানজিলা ট্রাভেলস, হানিফ এন্টারপ্রাইস, বরকত ট্রাভেল এবং নাবিল পরিবহনের মাধম্যে পঞ্চগড় যেতে পারবেন। সেখান থেকে লোকাল বাস অথবা সিএনজির মাধ্যমে তেঁতুলিয়া যেতে হবে।

মুন্সীগঞ্জের কিছু দর্শনীয় স্থান

মুন্সীগঞ্জের কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেখানে সবসময় পর্যটক ঘুরতে আসে। নিম্নে দর্শনীয় স্থান গুলোর নাম দেওয়া হলো:

  • ইদ্রাকপুর কেল্লা।
  • পোলঘাটা সেতু।
  • ষোলোআনি সৈকত।
  • রায় বাহাদুর শ্রীনাথ রায়ের বাড়ি।
  • ভাগ্যকুলের মিষ্টি।
  • পদ্মহেম ধাম।
  • সোনারং জোড়া মঠ।
  • বাবা আদম মসজিদ।
  • আড়িয়াল বিল।
  • ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি।
  • জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর।
  • মাওয়া ফেরি ঘাট।

এই জায়গা গুলোর ব্যাপারে আরো জানতে গুগল অথবা ইউটুবের সাহায্য নিতে পারেন।

সবথেকে ভালো তিনটি স্পট এর নাম আমি আমাদের এই পোস্ট এ পাবেন: মুন্সিগঞ্জের জনপ্রিয় ৩ টি রিসোর্ট

মুন্সিগঞ্জের জনপ্রিয় ৩ টি রিসোর্ট।

যারা নিরিবিলি পরিবেশে অবসর সময় চিত্তবিনোদনে ব্যায় করতে চান তাদের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় ৩ টি রিসোর্ট হতে পারে সবচেয়ে ভালো চিত্তবিনোদন কেন্দ্র। নিম্নে ৩ টি রিসোর্ট নিয়ে আলোচনা করা হলো।

মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্ট।

মাওয়া রিসোর্ট।

পদ্মা রিসোর্ট।

মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্ট: মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় ৩০ বিঘা জমির উপর গড়ে উঠেছে এই রিসোর্ট। এই রিসোর্টের কুটিরগুলোকে সাজানো হয়েছে নেপালী ঢঙে। যারা গ্রামের পরিবেশ এর অভিজ্ঞতা নিতে চান, তারা যেতে পারেন মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্টে।

মাওয়া রিসোর্ট: মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার কান্দিপাড়া গ্রামে তৈরি করা হয়েছে মাওয়া রিসোর্ট। যারা নিরাপদ ও নির্জন প্রাকৃতিক পরিবেশে যেতে চান, তারা মাওয়া রিসোর্টে যেতে পারেন।

পদ্মা রিসোর্ট: মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলায় গড়ে তোলা হয়েছে পদ্মা রিসোর্ট। পদ্মা নদীর তীর ঘেসে প্রাকৃতিক পরিবেশ রয়েছে এই রিসোর্টে। যারা নদী এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ পছন্দ করেন তারা যেতে পারেন পদ্মা রিসোর্টে।

এই ৩ টি রিসোর্ট আমার মতে আপনার জন্য ভালো জায়গা হতে পারে অবসর সময় কাটানোর জন্য। যদি আপনি এই রিসোর্টের ব্যাপারে আরো জানতে চান তাহলে গুগল থেকে জানতে পারবেন।

আপনি ইচ্ছা করলে প্রাইভেট গাড়ি বাড়া করে মাওয়া যেতে পারবেন। নিচের ভিডিওতে এমন একটি ভিডিও দেয়া হলো:

কিশোরগঞ্জের ভ্রমণের জায়গা গুলোর নাম

কিশোরগঞ্জ মূলত হাওর এলাকা হিসেবে পরিচিত, আর এই হাওর কে কেন্দ্র করে বর্তমানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। প্রতিবছর জুন-সেপ্টেম্বর মাসে অনেক মানুষ এই হাওর এলাকায় ঘুরতে যায়। আর কিশোরগঞ্জে মোট ৪টি হাওর রয়েছে, যার নাম নিম্নে দেওয়া হলো:

  1. নিকলী হাওর।
  2. অষ্টগ্রাম হাওর।
  3. ইটনা হাওর।
  4. মিঠামইন হাওর।
  5. বালিখলা।

এছাড়া, কিশোরগঞ্জে আরো কিছু পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে, যেইগুলোর নাম নিম্নে দেওয়া হলো:

  • কবি চন্দ্রাবতী মন্দির।
  • নরসুন্দা লেকসিটি।
  • দিল্লির আখড়া।
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু।
  • পাগলা মসজিদ।
  • শোলাকিয়া ঈদগা ময়দান।
  • ইটনা শাহী মসজিদ।
  • কুড়িখাই মেলা।
  • সত্যজিত রায়ের পৈতৃক বাড়ি।
  • জঙ্গল বাড়ি দুর্গ।
  • এগারসিন্দুর দুর্গ।
  • গঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ি।
  • কুতুব শাহ মসজিদ।

কিশোরগঞ্জ ভ্রমন করে যদি আপনি শেষ করতে চান, তাহলে আপনি ১৫ দিনের ট্যুরের আয়োজন করতে হবে। এছাড়া, আপনি যদি আরো জানতে চান তাহলে গুগল সার্চ করে জানতে পারবেন।

মিঠামইন হাওর

কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন হলো উপজলা। হাওর এলাকা হওয়া সত্ত্বেও মিঠামইন হলো প্রাচীন জনপদ। মিঠামইন হাওরে জুন-সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অনেক মানুষের সমাগম হয়। কারণ, এইখানে হাওর ছাড়া আরো কিছু জায়গা আছে ঘুরে দেখার মত। জায়গা গুলোর নাম হলো:

  • মলিকের দরগা।
  • দিল্লির আখড়া।
  • রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বাড়ি।

তাছাড়া, আপনি যদি রাত্রি যাপন করতে চান তাহলে সেখানে হোটেল আছে।

কিশোরগঞ্জ আসার জন্য কমলাপুর থেকে সকাল ৭ টায় অন্ত:নগর ১১ সিন্ধু প্রভাতী (বুধবার বন্ধ) কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এছাড়া, ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা সংলগ্ন গোলাপবাগ বা মহাখালী থেকে যাতায়াত অথবা অনন্যা সুপার বাসের মাধ্যমে আপনি কিশোরগঞ্জ সদর আসতে পারবেন। তারপর রেল-স্টেশন বা বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজি/অটো অথবা রিজার্ভ গাড়ী নিয়ে বালিখলা ঘাটে আসলেই পৌঁছে যাবেন মিঠামইন হাওরে।

Exit mobile version