বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার আটঘর কুরিয়ানা বাজার বাংলাদেশে খুবই বিখ্যাত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পেয়ারার ভাসমান বাজার,যা আটঘর কুরিয়ানা ইউনিয়নে অবস্থিত। স্বরূপকাঠি বাজারের পাশ থেকে বয়ে যাওয়া সন্ধ্যা নদী থেকে যে খালের উৎপত্তি, সেই খালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ভাসমান বাজার। এই ভাসমান বাজার কুরিয়ানা খাল থেকে শুরু হয়ে আটঘর পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে এই ইউনিয়নে আরও কিছু ভাসমান বাজার রয়েছে যেমন ভদ্রংকা, জিন্দাকাঠি, আদাবাড়ি, আদমকাঠি, ব্রাহ্মণকাঠি, ধলহার ইত্যাদি। এই ভাসমান বাজারটি দেখার উপযুক্ত সময় জুন থেকে সেপ্টেম্বর।
তো চলুন ঘুরে আসি এই ভাসমান পেয়ারার বাজার।
এই ভাসমান পেয়ারা বাজারে যেতে হলে আপনাকে বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে প্রথমে বরিশাল সদরে আসতে হবে, এখান থেকে আপনি দুইভাবে আটঘর কুরিয়ানার এই ভাসমান পেয়ারা বাজারে আসতে পারবেন।
প্রথমত: নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস বা অটোরিকশায়, আপনাকে বানারীপাড়ার রায়ের হাট বাসস্টপে নামতে হবে। সেখান থেকে ইজিবাইক, রিকশা বা মোটরবাইকে করে ১৫ মিনিটে কুরিয়ানার এই ভাসমান বাজারে পৌঁছানো যায়।
দ্বিতীয়তঃ আপনি বরিশাল শহরের বটতলা মোড়ে আসবেন এবং সেখান থেকে লেগুনা/ছোট গাড়ি নিয়ে আটঘর কুরিয়ানার ভাসমান বাজারে যাবেন। ভাসমান পেয়ারার বাজার এসব আটঘর থেকে কুড়িয়ানা পর্যন্ত বিস্তৃত।
এছাড়াও, আপনি ঢাকা থেকে বাসে বা লঞ্চে সরাসরি স্বরূপকাঠি উপজেলায় আসতে পারেন, ঢাকার গাবতলী থেকে স্বরূপকাঠির জন্য সকাল ও রাতের বাস পাওয়া যায়। ঢাকার সদরঘাট থেকে স্বরূপকাঠি ও বরিশালের লঞ্চ পাওয়া যায়। স্বরূপকাঠি পৌঁছানোর পর রিকশা বা ইজি বাইকে করে সহজেই এই আটঘর কুরিয়ানা ভাসমান পেয়ারা বাজারে পৌঁছানো যায়। এছাড়াও আপনি পিরোজপুর জেলা সদর থেকে স্বরূপকাঠি উপজেলায় একটি বাসে যেতে পারেন, যেখান থেকে আপনি ইজিবাইক বা রিকশায় আটঘর কুরিয়ানা পৌঁছাতে পারেন।